বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক অবস্থার প্রসঙ্গ টেনে ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দূত উইলিয়াম হানা বলেছেন, এভাবে চলতে থাকলে তাঁরা নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবেন কি না, সেটা নতুন করে ভাবতে হবে। কারণ এখানে নিরাপত্তার প্রশ্ন জড়িত।
আজ রোববার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দীন আহমেদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন ইইউ দূত। বেলা ১১টার দিকে নির্বাচন কমিশনে এ বৈঠক শুরু হয়। শেষ হয় দুপুর পৌনে ১২টার দিকে।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন উইলিয়াম হানা। তিনি বলেন, ‘আমরা এখানে এমন একটা নির্বাচন চাই, যা হবে স্বচ্ছ ও সবার অংশগ্রহণমূলক। ’
আগামী ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণার পটভূমিতে ইইউর পররাষ্ট্রবিষয়ক প্রধান ক্যাথেরিন অ্যাশটন গতকাল শনিবার এক বিবৃতি দিয়েছেন।
ওই বিবৃতিতে জনমতের পূর্ণ প্রতিফলন ঘটে—এমন নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলকে একটি গ্রহণযোগ্য ফর্মুলার ব্যাপারে সমঝোতায় পৌঁছার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে সহিংসতা ছড়ায় এমন কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার জন্য রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
হরতালের মতো সংঘাত ও ভীতি প্রদর্শনের কর্মসূচি এবং রাজনীতিক ও মানবাধিকার-কর্মীদের গ্রেপ্তারের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ২০০৮ সালের মতো এবারও নির্বাচন পর্যবেক্ষণে পর্যবেক্ষক পাঠাতে ইইউ প্রস্তুত আছে। তবে তা নির্ভর করবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা পরিস্থিতির ওপর।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।