বিরোধীদলীয় নেতা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া চলমান আন্দোলনে দেশের কোথাও যাতে সাধারণ মানুষের ওপর হামলা চালানো ও তাদের সম্পদ নষ্ট না করা হয় সে ব্যাপারে ১৮ দলীয় জোট ও আন্দোলনকারী অন্যান্য দল ও সংগঠনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে অজ্ঞাত পরিচয় দুর্বৃত্তরা নিরীহ-নিরপরাধ সাধারণ মানুষের ওপর পৈশাচিক হামলা চালিয়ে জীবন কেড়ে নিচ্ছে। যাত্রীবাহী যানবাহনে বোমা মেরে, আগুন দিয়ে জীবন্ত দগ্ধ করা হচ্ছে। বৃদ্ধ নারী ও শিশুরা এই জঘন্য হামলার শিকার হচ্ছে। অগি্নদগ্ধ লোকজন হাসপাতালে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। এসব ঘটনা প্রমাণ করে সরকার জননিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। চলমান আন্দোলনে যখন প্রতিদিনই যানবাহন পুড়ছে নারী-শিশুসহ সাধারণ মানুষ ককটেল হামলার শিকার হচ্ছে, অগি্নদগ্ধ নিরপরাধ মানুষের আহজারিতে যখন আল্লাহর আরশও কেঁপে উঠছে, তখন বিরোধীদলীয় নেতার এই বিবৃতি দায়িত্বশীলতার পরিচায়ক এবং তা ইতিবাচক আবহ সৃষ্টি করবে বলে আশা করা যায়। আমরা এ কলামে আন্দোলনের নামে যানবাহন ভাঙচুর, অগি্নসংযোগ ও ককটেল নিক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেছি। বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের কেউ এই হঠকারী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলে তাদের নিবৃত্ত করার জন্য নেতৃত্বের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি। জনগণের জানমাল রক্ষার দায়িত্ব সরকারের এ কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে এ ক্ষেত্রে প্রশাসনের ব্যর্থতারও সমালোচনা করেছি। আমরা আশা করব, বিরোধীদলীয় নেতার আহ্বানে সাড়া দিয়ে আন্দোলনের নামে ১৮ দলের যে অংশটি জ্বালাও-পোড়াও ভাঙচুরে জড়িয়ে পড়েছিল তারাও নিবৃত্ত হবে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড যে আন্দোলনের বুকে ছুরিকাঘাত হানছে তা উপলব্ধি করতেও তারা সক্ষম হবেন। পাশাপাশি জননিরাপত্তা রক্ষায় সরকারের যে নৈতিক দায়িত্ব রয়েছে, সে সম্পর্কেও তারা সচেতন হবেন। আমরা মনে করি, সংবিধানে নাগরিকদের আন্দোলনের অধিকার দেওয়া হলেও সাধারণ মানুষের জানমালের ওপর হামলা চালানোর অধিকার কাউকে দেওয়া হয়নি। যারাই অন্তর্ঘাতে জড়িত থাকুক তাদের আইনের আওতায় আনা সরকারের অবশ্য কর্তব্য এবং আমাদের বিশ্বাস এ ক্ষেত্রে যে ঘাটতি রয়েছে, তা পূরণে ক্ষমতাসীনরা সচেতন হবে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।