চলন্ত বাসে আগুন লেগে মৃত্যু হলো ৪৫ জনের। মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের মেহবুবনগরে। গতকাল ভোরে যাত্রী বোঝাই এই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ভলভো বাসটি ব্যাঙ্গালুরু থেকে হায়দরাবাদ যাওয়ার পথে একটি ডিভাইডারে ধাক্কা মারলে হঠাৎই আগুন লেগে যায়। পুলিশ সূত্রে খবর ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ প্রচণ্ড গতিতে যাওয়া এই ভলভো বাসটি অন্য একটি গাড়িকে পাশ কাটাতে গেলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি ডিভাইডারে ধাক্কা মারলে বাসটির তেলের ট্যাঙ্কারে আগুন লেগে যায়। মুহূর্তেই বাসটিতে বিস্ফোরণ ঘটে, আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায় পুরো বাসটি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৩৬ জনের। মৃতদের মধ্যে পাঁচজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। তারা প্রত্যেকেই আসন্ন দীপাবলী উৎসবে পরিবারের সঙ্গে যোগ দিতে ছুটি নিয়ে কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। বাসটিতে মোট ৪৯ যাত্রী ছিল বলে জানা গেছে। দুর্ঘটনার সময় প্রায় সব যাত্রীই ঘুমিয়ে ছিলেন। আগুন ছড়িয়ে পড়ার আগে জানালা ভেঙে বাসের চালক ও সহকারীসহ পাঁচজন বাইরে বেরিয়ে আসতে পেরেছেন। আহতদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে স্থানীয় হাসপাতালে। মৃতদের শরীর বিকৃত হয়ে যাওয়ায় তাদের শনাক্তকরণে অসুবিধা হচ্ছে বলেও জানা গেছে পুলিশ সূত্রে। চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। অন্যদিকে জেলা কালেক্টর এম গিরিজা জানান, বাসটিতে সেন্ট্রাল লকিং সিস্টেম থাকায় কেউই দরজা খুলে বাইরে বেরোতে পারেননি। আপতকালীন দরজাটিও বন্ধ ছিল। অতিরিক্ত গতির জন্যই বাসটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বলেই জানিয়েছেন তিনি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কিরণ কুমার রেড্ডি এ দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। ভয়াবহ এ দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। একই সঙ্গে দুর্ঘটনায় আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।