রংপুরে হঠাৎ করে ডাকাতির ঘটনা বেড়ে গেছে। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে মহাসড়কে চারটি, একটি পেট্রল পাম্প এবং নগরীতে দুটি বাড়ি ও একটি ছাত্রীনিবাসে ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। ডাকাতি করে পালানোর সময় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছে তিন ডাকাত। ডাকাতির ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় সড়কে যানবাহন চালক, বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মালিকদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনকেও ভাবিয়ে তুলেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২৪ থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত আটটি ডাকাতির ঘটনা ঘটে। শুক্রবার ভোরে মিঠাপুকুর উপজেলার শঠিবাড়ী ফিলিং স্টেশনে আগ্নেয়াস্ত্রের মুখে সোয়া লাখ টাকা লুট করে নেয় একদল ডাকাত। ডাকাতরা একটি প্রাইভেট কারে পালানোর সময় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় ডাকাত রিপন মিয়া, আনোয়ার হোসেন ও আহমেদ আলী। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ডাকাতদের ব্যবহৃত একটি প্রাইভেট কার, একটি পিস্তল, তিন রাউন্ড গুলি, চাপাতি ও লুট করা ১ লাখ ১৯ হাজার টাকাসহ তিন ডাকাতকে আটক করেছে। ২৭ জানুয়ারি মধ্যরাতে রংপুর নগরীর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের অদূরে সুলতানের মোড় এলাকায় 'মঙ্গলগ্রহ' নামে একটি ছাত্রীনিবাস, ছাত্রীনিবাসটির মালিক আবদুস সালামের বাড়ি ও পাশের ব্যবসায়ী রাজু মিয়ার বাড়িতে ডাকাতি সংঘটিত হয়। ডাকাতরা আগ্নেয়াস্ত্রের মুখে ২৫ জন ছাত্রীর নগদ অর্থ, মোবাইল ফোনসেট ও স্বর্ণালঙ্কারসহ ৫ লাখ টাকা; আবদুস সালামের নগদ দেড় লাখ টাকা ও গহনা এবং রাজু মিয়ার নগদ অর্থ ও একটি মোটরসাইকেল লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সুপার আবদুর রাজ্জাক ডাকাতির ঘটনা বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, বহিরাগত দুর্বৃত্তরা রংপুরে এসে ডাকাতি করছে। তবে ডাকাতি রোধে পুলিশ টহল জোরদার করার পাশাপাশি সড়কের পাশে পেট্রল পাম্পে নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য মালিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।