কাদের মোল্লার ফাঁসির দণ্ডাদেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন (রিভিউ পিটিশন) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে গতকাল খারিজ হওয়ার পর সারা দেশে রেড অ্যালার্ট ঘোষণা করা হয়েছে। রাজধানীতে নেওয়া হয়েছে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা। জামায়াত-শিবিরের নাশকতার আশঙ্কায় দুপুর থেকেই নগরীর বিভিন্ন এলাকায় র্যাব-পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। বিভিন্ন এলাকায় র্যাবের টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। সন্ধ্যায় শুরু হয় বিজিবির টহল। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু বলেছেন, সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক রাখা হয়েছে।
গতকাল দুপুর ১২টা থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কারাফটকের সামনে অতিরিক্ত কারারক্ষী ও পুলিশ-র্যাব সদস্য মোতায়েন করা হয়। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কারাগারের পাশর্্ববর্তী সুউচ্চ ভবনের ছাদে উঠে বাইনোকুলার দিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হয়। কারাগারের চারপাশে র্যাব-পুলিশ ও সাদা পোশাকে অবস্থান নেয় গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। বসানো হয় নিরাপত্তা চৌকি। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি করা হয় কারাগার এলাকায় প্রবেশকারীদের। র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল জিয়াউল আহসান জানান, দেশে সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মতো সর্বাত্দক প্রস্তুতি নিয়েছে র্যাব। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর করা নিয়ে কাউকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির সুযোগ দেওয়া হবে না। র্যাব সূত্র জানায়, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অনেক জঙ্গি রয়েছে। এ জন্য কারাগার এলাকার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। তবে নাশকতার কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) হারুন-অর-রশীদ বলেন, কেবল পুলিশের পক্ষ থেকেই তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এদিকে রাতেই রাজধানীতে বিজিপি মোতায়েন করা হয়েছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।