শ্যামাপূজা উপলক্ষে গতকাল সকালে কাঁটাতারের দুই ধারে বাংলাদেশ-ভারতের আত্দীয়স্বজনদের দেখা করার সুযোগ করে দেয় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী। সেই সুযোগে কাঁটাতারের ভেতরে সমবেত হয়েছিল হাজারো মানুষ। আর তাই গতকাল সকালে আবালবৃদ্ধবনিতা ছুটে আসে হাতীবান্ধার গেন্দুকুড়ি সীমান্তে। মুহূর্তে কাঁটাতারের দুই পাড়ে শুরু হয় হাসি-কান্নার মিলনমেলা। এতে লালমনিরহাট জেলার পাশাপাশি আশপাশের জেলাগুলো থেকে মানুষজন এসেছিল তাদের ভারতে থাকা আপনজনদের এক পলক দেখতে। সরেজমিন দেখা যায়, দীর্ঘদিন পর বাংলাদেশ-ভারতের স্বজনদের এই মিলনস্থানে কান্নার পাশাপাশি খুশির শেষ ছিল না অনেকেরই। বছরের পর বছর প্রিয়জনের অদেখা মুখ দেখে অনেকেই আনন্দের জোয়ারে ভাসছিল। এ সময় ভারতে থাকা নাতি সঞ্জিবকে কাঁটাতারের ওপারে দেখে ও কথা বলতে পেরে হাতীবান্ধার ধওলাই গ্রামের ষাটোর্ধ বৃদ্ধা পেড়ি মোহন বলেন, 'আমরা গরিব মানুষ তাই পাসপোর্ট ও ভিসা করে ভারতে যাওয়ার মতো সামর্থ্য নেই। এভাবে প্রতি বছর আমাদের একটু দেখা করার সুযোগ দিলে ওটুকুই আমাদের একমাত্র সান্ত্বনা। এ কথা শুধু পেড়ি মোহনেরই নয়, গতকাল কাঁটাতারের ওই মিলনমেলায় আসা অনেকের। তারা প্রতিবছর এমন সুযোগ অব্যাহত রাখতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধও জানান। এদিকে কাঁটাতারের দুই পারে সমবেত হওয়া স্বজনদের মিষ্টি, কাপড়সহ নানা খাদ্যসামগ্রী বিনিময় করতে দেখা গেছে। এসব তারা কাঁটাতারের ওপর দিয়ে একে অপরের দিকে ছুড়ে দেয়। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে এই মিলনমেলা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রচণ্ড ভিড় দেখা যায় মানুষের। উপচেপড়া ভিড় সামলাতে বেশ তৎপর ছিল বিএসএফ। এ পারেও নিজস্ব সীমারেখায় বিজিবির সদস্যরা ছিল অনেকটা সতর্কাবস্থায়। লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ থেকে আসা শাহিন জানান, ২-৩ বছর ধরে সেখানে শ্যামাপূজা উপলক্ষে বিএসএফ দুই দেশের স্বজনদের মিলিত হওয়ার সুযোগ দিয়ে আসছে।
অথচ এ বছর বিজিবির বাধার কারণে নির্ধারিত সময়ের প্রায় দুই ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা মিলল তাদের। এতে অনেকেই আত্দীয়র সঙ্গে ভালোভাবে কথা বলার সুযোগ পায়নি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।