আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেছেন, আইনের শাসন ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষা করতে বিচারকদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে। হরতাল ও সভা-সমিতি করে রায় বদলানো যায় না। রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের ব্যবস্থা আছে। আপিল বিদ্যমান থাকা অবস্থায় বা কোনো রায়ের পর এর বিরুদ্ধে হরতাল ও রাস্তায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি আইনের শাসনের পরিপন্থী। তিনি বলেন, হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে হরতাল ডাকায় আদালত ইতোমধ্যে সেই দলের (জামায়াতে ইসলামীর) কর্মকর্তাদের ডেকে ব্যাখ্যা চেয়েছেন। জবাব দিতে তারা সময় নিয়েছেন। নিবন্ধন বাতিলে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের প্রতিবাদে জামায়াতের ডাকা হরতাল প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী গতকাল ঢাকায় এ কথা বলেন। নবনিযুক্ত সহকারী জজদের ২৭তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন শেষে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট দুই মাসব্যাপী এ কোর্সের আয়োজন করে। এতে ৩৫ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশ নিচ্ছেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি খন্দকার মুসা খালেদ।
হরতাল আদালত অবমাননার শামিল : আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, হরতাল দিয়ে জামায়াত আদালত অবমাননা করেছে। আদালত জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করেছেন। দলটি এই রায়ের বিরুদ্ধে হরতাল ডেকে দেশবাসীকে দুর্ভোগে ফেলেছে। জনগণ হরতাল প্রত্যাখ্যান করেছে বলেও দাবি করেন তিনি।
গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে হরতালবিরোধী অবস্থানকালে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, পরিবেশ ও বনমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।