মস্তিষ্কের অভ্যন্তরীণ সংযোগ প্রদর্শনের একটি নতুন পদ্ধতি (কানেক্টোম ম্যাপ) ব্যবহার করে নারী ও পুরুষের মস্তিষ্কের পার্থক্য তুলে ধরেছেন মার্কিন বিজ্ঞানীরা। যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক রাগিনী ভার্মা বলেন, মস্তিষ্কের এই গঠনপার্থক্য নারী ও পুরুষের আচরণ এবং বিভিন্ন দক্ষতার নিয়ন্ত্রক।
লিঙ্গভেদে আচরণগত পার্থক্য নির্ণয়ের একাধিক গবেষণায় দেখা যায়, নারীর মৌখিক দক্ষতা ও সামাজিক বোধশক্তি সাধারণত পুরুষের তুলনায় বেশি হয়ে থাকে। অন্যদিকে, শারীরিক পরিশ্রমের সামর্থ্য বিবেচনায় পুরুষেরা তুলনামূলক এগিয়ে থাকে।
নতুন গবেষণায় আট থেকে ২২ বছর বয়সী মোট ৯৪৯ জনের (৪২৮ নারী ও ৫২১ পুরুষ) মস্তিষ্কের চৌম্বক অনুরণনচিত্র (এমআরআই) বিশ্লেষণ করে গঠন পার্থক্য নির্ণয় করা হয়।
এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস সাময়িকীতে। ইনডিপেনডেন্ট।
পুরুষ মস্তিষ্কের প্রতিরূপ
(ওপরের অংশ)
মস্তিষ্কের একই গোলার্ধের সামনের ও পেছনের অংশের মধ্যেই রয়েছে অধিকাংশ স্নায়ুর সংযোগ। সম্ভবত এ কারণেই স্থানিক দক্ষতা ও নিজ মাংসপেশির ওপর পুরুষের নিয়ন্ত্রণ তুলনামূলক ভালো।
নারী মস্তিষ্কের প্রতিরূপ
(ওপরের অংশ)
মস্তিষ্কের বাঁ ও ডান গোলার্ধের মধ্যে প্রান্তবর্তী স্নায়বিক সংযোগ অনেক বেশি।
বিজ্ঞানীদের দাবি, এ কারণেই হয়তো কথাবার্তা ও অন্তর্জ্ঞানে নারীর দক্ষতা তুলনামূলক বেশি হয়ে থাকে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।