শনিবার এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “আমরা বলতে চাই, এ সরকারকে চলে যেতে হবে। অবিলম্বে চলে যেতে হবে। আমরা দেশে সহিংসতা ও অস্থিরতা চাই না বলে আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া চুপ করে বসে আছেন। নেত্রী ডাক দিলে এই সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না। ”
বিএনপি ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়ে লাগাতার হরতাল-অবরোধ শুরু করলে সহিংসতায় উসকানির অভিযোগে দলের অধিকাংশ শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে মামলা হয়।
এসব মামলায় বহু নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়, বাকিদের অধিকাংশই গত নভেম্বর থেকে আত্মগোপনে চলে যান।
বিএনপিহীন ওই নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে সরকারগঠন করে আওয়ামী লীগ। এরপর দলের অধিকাঙশ শীর্ষ নেতাকে জামিনে মুক্তি দেয়া হয়।
নির্বাচনের পর বিএনপি ঢাকায় সমাবেশ করলেও নতুন করে আর সারা দেশে কোনো হরতাল-অবরোধ দেয়নি। একবার কালো পতাকা মিছিলের কর্মসূচি দিলেও অনুমতি না পাওয়ায় রাজধানীতে সে কর্মসূচিও পালন করতে পারেনি।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া বলেন, দল গুছিয়ে অচিরেই নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করবেন তিনি।
খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, “এই সরকার জনগনের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আসেনি। তারা সংবিধানপরিপন্থী একটি সরকার। এখন যতোই তারা আকাশে উড়ে বেড়াক না কেন, তাদের পায়ের নিচে মাটি নেই। ”
এ সরকারকে হটাতে বিএনপি শিগগিরই আবার মাঠে নামবে বলে হুঁশিয়ার করেন তিনি।
জাতীয় প্রেসক্লাবে অল কমিউনিটি ফোরামের উদ্যোগে ‘বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপট এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্রের ভূমিক ‘ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।