দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকারের নতুন মন্ত্রীরা শপথ নিচ্ছেন আজ। বিকাল ৩টায় বঙ্গভবনে নতুন মন্ত্রীদের শপথ বাক্য পাঠ করাবেন রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ। গতকাল সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সরকার গঠন নিয়ে একান্তে কথা বলেছেন। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক শেষে বঙ্গভবনে উপস্থিত সাংবাদিকদের মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভুইঞা এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আজ বিকাল ৩টায় বঙ্গভবনে নতুন মন্ত্রীদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে নতুন মন্ত্রিসভায় বিএনপির কোনো প্রতিনিধিত্ব থাকছে না। এ নিয়ে বিএনপি আগেই জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে কোনো মন্ত্রিসভায় যোগ দেবে না।
জানা গেছে, মন্ত্রিসভায় নতুন মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিচ্ছেন বিভিন্ন দলের বেশ কয়েকজন। এদের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদ। জাতীয় পার্টি থেকে বেগম রওশন এরশাদ, রুহুল আমীন হাওলাদার, জিএম কাদের, ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মুজিবুল হক চুন্নু, জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু প্রমুখ। এবার ওয়ার্কার্স পার্টি থেকে মন্ত্রী হচ্ছেন রাশেদ খান মেনন এবং জাসদ থেকে মঈনুদ্দিন খান বাদল। তবে বর্তমান মন্ত্রিসভার সদস্য হাসানুল হক ইনুও থাকছেন নতুন মন্ত্রিসভায়। নির্বাচনকালীন সরকারে থাকার প্রশ্নে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ বেশ কিছুদিন ধরেই থাকবেন না বলে আভাস দিলেও আজকের শপথ অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টির একাধিক নেতা নতুন মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিচ্ছেন। এছাড়া নানা গুঞ্জনের অবসান ঘটিয়ে নির্বাচনকালীন সরকারে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির প্রতিনিধিত্বও নিশ্চিত হলো। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব সাংবাদিকদের আরও বলেন, নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভার আকার ছোট হবে। মন্ত্রিসভায় যারা নতুন অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন তারাই কেবল আজ শপথ নিচ্ছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভার যেসব সদস্য বহাল থাকবেন তাদের মন্ত্রী হিসেবে নতুন করে শপথ নেওয়ার প্রয়োজন নেই। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতির কাছে কোনো মন্ত্রীরই পদত্যাগপত্র জমা দেননি। তবে যারা থাকছেন না তাদের পদত্যাগ প্রসঙ্গে কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি সচিব। মোশাররাফ হোসাইন ভুইঞা জানান, প্রধানমন্ত্রী দেশের সার্বিক পরিস্থিতি ও সরকারের কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেছেন। নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকারেরও বিষয়ে অবহিত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এই মন্ত্রিসভা হবে বর্তমানের চেয়ে আকারে ছোট। এর কাঠামো ও কার্যক্রম সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেছেন। রাষ্ট্রপতি এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে এর সাফল্য কামনা করেছেন বলেও সচিব জানান। সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গভবনে পেঁৗছলে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তাকে অভ্যর্থনা জানান। প্রায় এক ঘণ্টা আলোচনা করেন তারা। এদিকে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সরাসরি হজরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যান প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাককে স্বাগত জানান।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।