আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মামলা থেকে নানকসহ ১৮ জনকে অব্যাহতি

২০০৪ সালে বাসে আগুন দিয়ে ১১ জনকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় আওয়ামী লীগের নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক, মির্জা আজম ও সাঈদ খোকনসহ ১৮ জনকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।  আজ রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম কেশব রায় চৌধুরী এ আদেশ দেন। চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারিতে সিআইডি এই মামলায় আসামিদের অব্যাহতি চেয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়।

চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৪ সালে রমনা থানা এলাকায় শেরাটন হোটেলের সামনে বাসে গান পাউডার দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এতে ঘটনাস্থলে সাতজন মারা যান।

পরে চিকিত্সাধীন অবস্থায় আরও চারজন মারা যান। এ ঘটনায় আসামি সফিকুল ইসলাম ওরফে কালুকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তদন্তকালে দেখা যায়, আসামি শফিকুল ইসলাম ওই সময় পৃথক একটি মামলায় কারাগারে আটক ছিলেন। অথচ শফিকুল ইসলাম তাঁর জবানবন্দিতে বলেন, ২০০৪ সালের ৪ জুন (ঘটনার দিন) বিকেলে তাঁর বন্ধু হাবিবের সঙ্গে দেখা হয়। শফিকুল ইসলাম ও হাবিব পার্টি অফিসে যান।

আওয়ামী লীগের নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক, মির্জা আজম ও সাঈদ খোকন তাঁদের হরতালে গাড়িতে আগুন দিতে বলেন। এ জন্য তাঁদের টাকাও দেন। কিন্তু স্বীকারোক্তি দেওয়া আসামি ২০০৪ সালের ১ জুন রমনা থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার হন। ৫ জুন রিমান্ড শেষে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। এতে বোঝা যায়, আসামির জবানবন্দি মিথ্যা বানোয়াট ও সাজানো।

অপর দুজনও পুলিশের ভয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন বলে অধিকতর তদন্তকালে জানানো হয়।

আদেশে বলা হয়, অধিকতর তদন্তকালে ঘটনার রহস্য উন্মোচিত হয়নি। ভবিষ্যতেও আর সম্ভাবনা নেই। আদালত চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে আসামিদের অব্যাহতির আদেশ দেন।
অব্যাহতিপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন সাবেক এলজিইডি প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, হুইপ মির্জা আজম ও ঢাকার সাবেক মেয়র মোহাম্মদ হানিফের ছেলে আবু সাঈদ খোকন।

এ ছাড়া আবদুল মান্নান, জাহাঙ্গীর আলম, শহীদুল ইসলাম, আবু হান্নান সিদ্দিকী, মো. মনির, উজ্জ্বল মাহমুদ, রেজাউল করিম, মো. মাছুম, গাজী হাবিবুল আলম হাবিব, আনোয়ার হোসেন সুজন, শফিকুল ইসলাম কালু, হাসানুর রহমান ইকবাল, রুহুল আমিন বড় মিয়া ও এ এফ এম মিজানুর রহমান।

২০০৪ সালের ৪ জুন রাজধানীর শেরাটন হোটেলের (বর্তমান রূপসী বাংলা) সামনে গান পাউডার দিয়ে বিআরটিসির একটি বাসে আগুন দিয়ে ১১ জনকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় রমনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. হারুন অর রশীদ বাদী হয়ে মামলা করেন। পরে ওই মামলায় ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের মধ্যে শফিকুল ইসলাম, বাসের হেলপার মাসুম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।



আওয়ামী লীগ ক্ষমতা গ্রহণের পর ২০০৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর মামলাটি সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি মর্মে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়। ২০১০ সালের ৯ মে মামলাটিতে পুনরায় তদন্তের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। ৭ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় সিআইডি।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.