একবার নয়, টানা দুইবার নিউজিল্যান্ডকে বাংলাওয়াশ করেছে বাংলাদেশ। এটা মনে হয় পছন্দ হয়নি ভারতীয়দের। তাই তো খানিকটা ঠেস দিয়ে ভারতীয় এক মিডিয়ায় শিরোনাম করা হয়েছিল 'বাংলাদেশও হোয়াইটওয়াশ করে!' -এটা খুবই স্বাভাবিক। ভারতীয়রা এমনটা ভাবতেই পারে। কপিল দেবরা যখন বিশ্বকাপ (১৯৮৩ সাল) জিতেছে, তখন ক্রিকেটে বাংলাদেশকে শিশু বললেও ভুল হবে_নবজাতক মাত্র। তাছাড়া সব মিলে ভারত এখন দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দল। প্রথম টি-২০ বিশ্বকাপের শিরোপাও তারা ঘরে তুলেছে। বর্তমানে ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর দল। তাছাড়া টানা ছয়টি ওয়ানডে সিরিজ জিতে অসীম এক উচ্চতায় পৌঁছে গেছে ভারতীয়রা। সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে ধোনিরা যেন আকাশে উড়ছিল। কিন্তু মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে তাদেরকে টেনে হিঁচড়ে মাটিতে নামাল দক্ষিণ আফ্রিকা! ভারতীয়রা বাংলাদেশকে ঘরের মাঠের বাঘ বলে উপহাস করেছিল, এবার তারাই দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে উপহাসের পাত্র হয়েছে!
টানা দুই ম্যাচে হেরে ওয়ানডে সিরিজ তো শেষ, ভারত এখন উল্টো হোয়াইটওয়াশের সামনে দাঁড়িয়ে। কাল সেঞ্চুরিয়নে হারলেই লজ্জায় পড়তে হবে আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দলটিকে। মাত্র কদিন আগেই যারা ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ওয়ানডে সিরিজে হারাল, টেস্টে হোয়াইটওয়াশ করল, এখন সেই ভারতই নাস্তানাবুদ!
মজার ব্যাপার হচ্ছে, সপ্তাহ খানেক আগেই ঘরের মাঠে পাকিস্তানের কাছে ওয়ানডে সিরিজ হেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আর সেই প্রোটিয়াদের সামনে যেন দাঁড়াতেই পারছে না ভারত। প্রথম ম্যাচে ১৪১ রানে হার, দ্বিতীয় ম্যাচে ১৩৪ রানে। বিশাল ব্যবধানে দুই পরাজয়ই বলে দিচ্ছে ভারতের শক্তিমত্তা কেমন।
ক্রিকেটে একটা বাজে ঐতিহ্য রয়েছে- ঘরের মাঠে প্রতিপক্ষকে নাজেহাল করতে খেয়াল-খুশিমতো উইকেট তৈরি করা। আর এই কাজে ওস্তাদ ভারতীয়রা। তাই যে দলটি কিছুদিন আগেই ঘরের মাঠে সিংহের মতো গর্জন করল, তারাই কিনা সপ্তাহের ব্যবধানে বিদেশের মাটিতে বিড়ালের মতো মিউ মিউ করছে। ২০১১ সালে একই অবস্থা হয়েছিল ভারতের।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।