পিতার সঙ্গে শেষ দেখা করে রাত পৌনে ৯টায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় কাদের মোল্লার বড় ছেলে হাসান জামিল সাংবাদিকদের বলেন, কাদের মোল্লাকে শুধুমাত্র ইসলামী আন্দোলন করার জন্য অন্যায়ভাবে হত্যা করা হচ্ছে। অন্য কোনো রাজনীতি করলে তাকে এভাবে মরতে হতো না। তিনি বিত্তবৈভব নিয়ে থাকতে পারতেন। তার পিতা তাদের ধৈর্য ধরতে বলেছেন। হাসান জামিল বলেন, এ ছাড়া তিনি আমাদের পরিবারের সবার খোঁজখবর নিয়েছেন।
এর আগে জেল কর্তৃপক্ষের চিঠি পেয়ে রাত ৮টার দিকে পরিবারের সদস্যরা কাদের মোল্লার সঙ্গে দেখা করতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যান। রাত ১২টা এক মিনিটে কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকর হবে।
পরিণতি হবে ভয়াবহ : জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার জন্য আবদুল কাদের মোল্লাকে ফাঁসি দিয়ে সরকার ঘোলাপানিতে মাছ শিকার করতে চাচ্ছে। এ ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করলে পরিণতি হবে ভয়াবহ। তিনি বলেন, আইনি প্রক্রিয়া লঙ্ঘনের সঙ্গে সরকারের যে বা যারা জড়িত তাদের প্রত্যেককে জনতার কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। গতকাল এক বিবৃতিতে শফিকুর রহমান আরও বলেন, সরকার রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের উদ্দেশে, সংবিধান, সুপ্রিমকোর্ট রুলস এবং জেলকোডের বিধান অবজ্ঞা করে কাদের মোল্লাকে বিচারের নামে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে। তিনি বলেন, আবদুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় কাল্পনিক, বানোয়াট ও ভুয়া সাক্ষীদের সাক্ষ্য দিয়ে মৃত্যুদণ্ডের রায় কার্যকর করে সরকার আবদুল কাদের মোল্লাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে। তিনি বলেন, জাতিসংঘ, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, ব্রিটিশ পার্লামেন্টারি হিউম্যান রাইটস গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান লর্ড অ্যাভে বুরি, লর্ড কারলাইল, ব্রিটিশ পার্লামেন্টের অন্যতম সদস্য গ্রাহাম এলেন এমপি, এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন আবদুল কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড স্থগিতের আহ্বান জানিয়েছে। সরকার সংবিধান, আইন ও জেলকোডের নীতিমালার তোয়াক্কা না করে দ্রুত আবদুল কাদের মোল্লাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।