আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

"শিবিরের ব্রেইন ওয়াশ বনাম ছাগুর ব্রেইন ওয়াশ"

"ব্রেইন ওয়াশ" শব্দটা একটা ভয়ঙ্কর শব্দ, শব্দটা শুনলেই শিবিরবিরোধীদের গা ছমছম করে। শব্দটার আভিধানিক অর্থ দাড়ায় 'মস্তিষ্ক ধোলাই' । শিবির বিরোধীদের দাবি শিবিরের কর্মীরা ব্রেইন ওয়াশের মাধ্যমে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ধর্মান্ধ করে তুলছে যা দেশ ও জাতির জন্য হুমকি স্বরূপ। এবার আসেন দেখা যাক কিভাবে শিবির ব্রেইন ওয়াশ করে। আচ্ছা, তার আগে ছাত্রলীগের ভাইয়েরা কিভাবে কী করে একটু জেনে নিন।

ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের জনৈক বড় ভাই তার রুমে দাওয়াত দিলেন। বড় ভাইয়ের কথামত সময়মত পৌঁছে গেলাম রুমে। রুম বললে ভুল হবে, আমার গ্রামের বাড়ির গোয়াল ঘরও এত দুর্গন্ধযুক্ত নয়! বছর খানেক হয়ে গেছে পরিষ্কার করে না, সিগারেটের উচ্ছিষ্ট দিয়ে রুমের মেঝে ডেকোরেশন করা হইছে, দেয়ালে বেহায়া কিছু নারীর ছবি, বেডের এক কোনায় কয়েকটা বোতল। কিসের বোতল জানতে চেয়ে নিজের কল্পনা শক্তিকে ছোট করে দেখবেন না। :p -তোর বাড়ি কই? -ভাই।

______। -তোরে কেন জানি আমার ভাল লাগে, বুচ্ছিস? শিবিরের পোলাপাইনের সাথে দেখলাম সেদিন তাই ডাকলাম। খবরদার শিবিরের হাত থেইকা সাবধান। ওরা ব্রেইন ওয়াশ করে তোরে দলে টানার চেষ্টা করবো। শালারা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে, কত খারাপ! -ভাই আপনেও তো রাজনীতি করেন, আপনি কী নিয়া রাজনীতি করেন? -আমরা হলাম স্বাধীনতার চেতনার রাজনীতি করি।

-কী রকম? -(এই ধর, আমরা স্বাধীনভাবে টেণ্ডারবাজি,হল দখল, প্রতিপক্ষ ঘায়েল,যত্রতত্র ধূমপান ও মাদক সেবন, শিক্ষককে মারধর, চাঁদাবাজি, হত্যা, লুণ্ঠন, ধর্ষণ ইত্যাদি বিভিন্ন সমাজসেবা ও ছাত্রকল্যাণ মূলক কাজে পূর্ণ স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। ) -আমরা হলাম মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি, ওরা হল দেশদ্রোহী। বুঝলি? আর ছাত্রলীগ করলে তোর চাকরি-বাকরী নিয়ে চিন্তা করা লাগবে না। -আচ্ছা ভাই, আপনের খাটের পাশের বোতলগুলা কিসের? -ভদকা। খেয়ে দেখিস, নয়তো জীবনে চরম মিস করবি।

-আচ্ছা ভাই, আপনার এখানে আসার আগে একজনের কাছে শুনলাম আপনি নাকি আবাসিক হোটেলে মেয়েসহ.... -কে বলছে? কে বলছে? আমার(ফুলের মত পবিত্র) চরিত্রে কালিমা লেপনের ষড়যন্ত্রের কূটকৌশল এইটা। এবার প্রথমে যেটা বলতে লাগছিলাম। শিবিরের ব্রেইন ওয়াশ প্রসঙ্গ। শিবিরের কর্মীরা আপনাকে প্রথমে আপনাকে ইসলামের মৌলিক কিছু বিষয়ে নিয়মিত হওয়ার পরামর্শ দিবে, যেমন: নামায, পর্দা, কোরআন অধ্যয়ন, হাদীস পাঠ। এরপর তারা আপনাকে কিছু বই দিবে পড়ার জন্য (চুশীলেরা যেটাকে জিহাদী বই আখ্যা দিয়ে থাকে), যেমন: রাসূলের(স জীবনী, সাহাবাদের জীবনী কিংবা ইসলামী আদর্শভিত্তিক অন্য কোন বই।

আপনাকে নিষেধ করবে খারাপ কাজে, যেমন: ধূমপান,মাদকসেবন, ইভটিসিং... আপনাকে বলবে ব্যক্তিগত জীবনে পর্দা মেনে চলতে। আপনাকে বলবে সুদমুক্ত, ঘুষমুক্ত জীবন গড়তে, যে কারণেই হয়তো চাকরির কোন নিশ্চয়তা দিতে পারবে না। যে জিনিসটার নিশ্চয়তার কথা বলে থাকে তারা, তা হল একজন মুসলিমের সর্বকাঙ্খিত জান্নাত। ইসলামের বিধি-নিষেধের আলোকে কিভাবে জীবন পরিচালিত করলে জান্নাতের পথ সুগম হবে সেই মেসেজটা পৌছানোর কাজটাই করছে শিবির। এই কাজের অংশ হিসেবে তারা স্বপ্ন দেখে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার।

সুশীলের ঝামেলাটা এখানেই। তারা বলবে, -ইসলাম মানব ঠিক আছে কিন্তু তা নিয়ে রাজনীতি কিসের? -বলি, আরে ব্যাটা প্রশাসন তোদের,পুলিশ তোদের,সরকার তোদের। ইসলাম পালনের পরিবেশ রাখছস দেশে? এখন তো শিবির সন্দেহে গ্রেফতার করস, কয়দিন পর মুসলিম সন্দেহে গ্রেফতার করবে এই আওয়ামি সরকার। ইসলামের কোথাও রাজনীতির কথা নাই এই কথা কইয়া তো জুতা পেটা খাইছস। এখনো বলবি এই কথা??? শেষ কয়েকটা কথা, শিবিরকে অনেক কাছ থেকে দেখেও আমার কিছু বন্ধু শিবিরের বিরোধীতা করে।

ব্যক্তিগত জীবনে এরা নামায,কোরআন,হাদীসের ধার ধারে না। বিরোধীতা করাটাই তাই স্বাভাবিক ছাত্রলীগের কুকর্ম দেখেও সেই বন্ধুগুলোই মনে মনে তাদের সমর্থন করে যায়। কারণ একটাই "ব্রেইন ওয়াশ"। শিবির ব্রেইন ওয়াশ করে। -এই বাক্যের 'ব্রেইন ওয়াশ' শব্দটাকে ব্যবহার করে সাধারণ ছাত্রদের ব্রেইন ওয়াশ করতেছে ছাত্রলীগ।

ছাত্রলীগের ব্রেইন ওয়াশ এর কবলে পরে অন্ধকার জগতের পথে চলে গেছে হাজারো ছাত্র, যাচ্ছে এখনো। অন্যদিকে শিবিরের ব্রেইন ওয়াশের কারণে আলোর পথে,ইসলামের পথে আছে লাখো যুবক। পছন্দ আপনার। কোন ব্রেইন ওয়াশটা মানবতার জন্য, ইসলামের জন্য মঙ্গলজনক??(একজন মুসলিম হিসেবে চিন্তা করবেন। ) পুনশ্চ: ছাগু= ছাত্রলীগের গুণ্ডাব্রেইন ওয়াশ শব্দটা একটা ভয়ঙ্কর শব্দ, শব্দটা শুনলেই শিবিরবিরোধীদের গা ছমছম করে।

শব্দটার আভিধানিক অর্থ দাড়ায় 'মস্তিষ্ক ধোলাই' । শিবির বিরোধীদের দাবি শিবিরের কর্মীরা ব্রেইন ওয়াশের মাধ্যমে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ধর্মান্ধ করে তুলছে যা দেশ ও জাতির জন্য হুমকি স্বরূপ। এবার আসেন দেখা যাক কিভাবে শিবির ব্রেইন ওয়াশ করে। আচ্ছা, তার আগে ছাত্রলীগের ভাইয়েরা কিভাবে কী করে একটু জেনে নিন। ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের জনৈক বড় ভাই তার রুমে দাওয়াত দিলেন।

বড় ভাইয়ের কথামত সময়মত পৌঁছে গেলাম রুমে। রুম বললে ভুল হবে, আমার গ্রামের বাড়ির গোয়াল ঘরও এত দুর্গন্ধযুক্ত নয়! বছর খানেক হয়ে গেছে পরিষ্কার করে না, সিগারেটের উচ্ছিষ্ট দিয়ে রুমের মেঝে ডেকোরেশন করা হইছে, দেয়ালে বেহায়া কিছু নারীর ছবি, বেডের এক কোনায় কয়েকটা বোতল। কিসের বোতল জানতে চেয়ে নিজের কল্পনা শক্তিকে ছোট করে দেখবেন না। :p -তোর বাড়ি কই? -ভাই। ______।

-তোরে কেন জানি আমার ভাল লাগে, বুচ্ছিস? শিবিরের পোলাপাইনের সাথে দেখলাম সেদিন তাই ডাকলাম। খবরদার শিবিরের হাত থেইকা সাবধান। ওরা ব্রেইন ওয়াশ করে তোরে দলে টানার চেষ্টা করবো। শালারা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে, কত খারাপ! -ভাই আপনেও তো রাজনীতি করেন, আপনি কী নিয়া রাজনীতি করেন? -আমরা হলাম স্বাধীনতার চেতনার রাজনীতি করি। -কী রকম? -(এই ধর, আমরা স্বাধীনভাবে টেণ্ডারবাজি,হল দখল, প্রতিপক্ষ ঘায়েল,যত্রতত্র ধূমপান ও মাদক সেবন, শিক্ষককে মারধর, চাঁদাবাজি, হত্যা, লুণ্ঠন, ধর্ষণ ইত্যাদি বিভিন্ন সমাজসেবা ও ছাত্রকল্যাণ মূলক কাজে পূর্ণ স্বাধীনতায় বিশ্বাসী।

) -আমরা হলাম মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি, ওরা হল দেশদ্রোহী। বুঝলি? আর ছাত্রলীগ করলে তোর চাকরি-বাকরী নিয়ে চিন্তা করা লাগবে না। -আচ্ছা ভাই, আপনের খাটের পাশের বোতলগুলা কিসের? -ভদকা। খেয়ে দেখিস, নয়তো জীবনে চরম মিস করবি। -আচ্ছা ভাই, আপনার এখানে আসার আগে একজনের কাছে শুনলাম আপনি নাকি আবাসিক হোটেলে মেয়েসহ.... -কে বলছে? কে বলছে? আমার(ফুলের মত পবিত্র) চরিত্রে কালিমা লেপনের ষড়যন্ত্রের কূটকৌশল এইটা।

এবার প্রথমে যেটা বলতে লাগছিলাম। শিবিরের ব্রেইন ওয়াশ প্রসঙ্গ। শিবিরের কর্মীরা আপনাকে প্রথমে আপনাকে ইসলামের মৌলিক কিছু বিষয়ে নিয়মিত হওয়ার পরামর্শ দিবে, যেমন: নামায, পর্দা, কোরআন অধ্যয়ন, হাদীস পাঠ। এরপর তারা আপনাকে কিছু বই দিবে পড়ার জন্য (চুশীলেরা যেটাকে জিহাদী বই আখ্যা দিয়ে থাকে), যেমন: রাসূলের(স জীবনী, সাহাবাদের জীবনী কিংবা ইসলামী আদর্শভিত্তিক অন্য কোন বই। আপনাকে নিষেধ করবে খারাপ কাজে, যেমন: ধূমপান,মাদকসেবন, ইভটিসিং... আপনাকে বলবে ব্যক্তিগত জীবনে পর্দা মেনে চলতে।

আপনাকে বলবে সুদমুক্ত, ঘুষমুক্ত জীবন গড়তে, যে কারণেই হয়তো চাকরির কোন নিশ্চয়তা দিতে পারবে না। যে জিনিসটার নিশ্চয়তার কথা বলে থাকে তারা, তা হল একজন মুসলিমের সর্বকাঙ্খিত জান্নাত। ইসলামের বিধি-নিষেধের আলোকে কিভাবে জীবন পরিচালিত করলে জান্নাতের পথ সুগম হবে সেই মেসেজটা পৌছানোর কাজটাই করছে শিবির। এই কাজের অংশ হিসেবে তারা স্বপ্ন দেখে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার। সুশীলের ঝামেলাটা এখানেই।

তারা বলবে, -ইসলাম মানব ঠিক আছে কিন্তু তা নিয়ে রাজনীতি কিসের? -বলি, আরে ব্যাটা প্রশাসন তোদের,পুলিশ তোদের,সরকার তোদের। ইসলাম পালনের পরিবেশ রাখছস দেশে? এখন তো শিবির সন্দেহে গ্রেফতার করস, কয়দিন পর মুসলিম সন্দেহে গ্রেফতার করবে এই আওয়ামি সরকার। ইসলামের কোথাও রাজনীতির কথা নাই এই কথা কইয়া তো জুতা পেটা খাইছস। এখনো বলবি এই কথা??? শেষ কয়েকটা কথা, শিবিরকে অনেক কাছ থেকে দেখেও আমার কিছু বন্ধু শিবিরের বিরোধীতা করে। ব্যক্তিগত জীবনে এরা নামায,কোরআন,হাদীসের ধার ধারে না।

বিরোধীতা করাটাই তাই স্বাভাবিক ছাত্রলীগের কুকর্ম দেখেও সেই বন্ধুগুলোই মনে মনে তাদের সমর্থন করে যায়। কারণ একটাই "ব্রেইন ওয়াশ"। শিবির ব্রেইন ওয়াশ করে। -এই বাক্যের 'ব্রেইন ওয়াশ' শব্দটাকে ব্যবহার করে সাধারণ ছাত্রদের ব্রেইন ওয়াশ করতেছে ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের ব্রেইন ওয়াশ এর কবলে পরে অন্ধকার জগতের পথে চলে গেছে হাজারো ছাত্র, যাচ্ছে এখনো।

অন্যদিকে শিবিরের ব্রেইন ওয়াশের কারণে আলোর পথে,ইসলামের পথে আছে লাখো যুবক। পছন্দ আপনার। কোন ব্রেইন ওয়াশটা মানবতার জন্য, ইসলামের জন্য মঙ্গলজনক??(একজন মুসলিম হিসেবে চিন্তা করবেন। ) পুনশ্চ: ছাগু= ছাত্রলীগের গুণ্ডা ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.