নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সারা দেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। ২৬ ডিসেম্বর সেনাবাহিনীকে মাঠে নামানো হতে পারে। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র এ তথ্য দিয়ে বলেছে, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে আজ বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিতব্য আইনশৃঙ্খলার বৈঠকে এ বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে। বৈঠকে অংশ নিতে সারা দেশের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপাররা এখন ঢাকায় অবস্থান করছেন।
এদিকে দেশব্যাপী নাশকতাকারী জামায়াত-শিবির ক্যাডারদের গ্রেফতারে দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় যৌথবাহিনীর অভিযান চলছে। রাজধানীতে এ অভিযান পরিচালনার প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। যে কোনো মুহূর্তে এ অভিযান শুরু হবে। জামায়াত-শিবির অধ্যুষিত জেলা সাতক্ষীরায় অভিযানের সময় যৌথবাহিনীর ওপর আবারও হামলার ঘটনা ঘটেছে। নীলফামারীতে গতকাল ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটিয়েছে জামায়াত-শিবিরের ক্যাডাররা। তবে সারা দেশে ১৮ দলের ৭২ ঘণ্টা অবরোধের শেষ দিন গতকাল রাজধানীর পরিস্থিতি ছিল একেবারেই স্বাভাবিক।
সেনা মোতায়েন : সূত্র জানায়, নির্বাচনকালীন রাজধানীসহ দেশের ৫৯ জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেনাবাহিনী মোতায়েনের নীতিগত সিদ্ধান্ত রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। আজকের বৈঠকে এ নিয়ে সিদ্ধান্তটি চূড়ান্ত করা হবে। সূত্র জানায়, ৫৯ জেলায় জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেনাবাহিনীর ৫০ হাজার সদস্য নির্বাচনকালীন সময়ে মাঠে রাখার প্রস্তাব রয়েছে ইসির। আগামী ২৫ ডিসেম্বর খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের 'বড় দিন'-এর পরদিন ২৬ ডিসেম্বর সেনা মোতায়েন করতে চায় ইসি। সেক্ষেত্রে এর তিন দিন আগে ২৩ ডিসেম্বর সেনাসদস্যরা নিজ নিজ জেলায় পেঁৗছতে শুরু করবে। সূত্র মতে, ভোট গ্রহণের দুই দিন আগে, ভোট গ্রহণের দিন এবং পরের দুই দিন, মোট পাঁচ দিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঠে রাখার পরিকল্পনা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি)। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মাঠে থাকবে সেনা, র্যাব ও বিজিবি। এক্ষেত্রে অন্তত ১২ দিন সেনাবাহিনীকে মাঠে রাখা হতে পারে। অন্যদিকে ২২ ডিসেম্বর থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত বৈধ অস্ত্র প্রদর্শন নিষিদ্ধ করছে নির্বাচন কমিশন। এ জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দ্রুত একটি নির্দেশনা জারির আবেদন করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে জেলা পর্যায়ে নির্বাচনী দ্রব্যাদি পেঁৗছানো এবং জেলা থেকে উপজেলা ও উপজেলা থেকে ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনী মালামাল পেঁৗছানোর ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর সহায়তাও নেওয়া হতে পারে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ জানিয়েছেন দশম সংসদ নির্বাচনে ক'দিন সেনা মোতায়েন থাকছে তা শুক্রবার জানানো হবে। সূত্র জানায়, ইসির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা অনুযায়ী এবার সংসদ নির্বাচনে মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে ১৪ থেকে ১৬ জন। আর মেট্রোপলিটন এলাকায় ১৮ থেকে ২০ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করার প্রস্তাব রাখছে ইসি। এ ছাড়া বিশেষ এলাকায় (পার্বত্য, দ্বীপাঞ্চল, হাওর) ১৭ থেকে ১৮ জন আইনশৃঙ্খলা সদস্য রাখা হবে।
আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় সেল : নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে ১ জানুয়ারি সকাল ১০টা থেকে আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় সেল স্থাপন করা হবে। এই সেলে একজন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য থাকবেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য পহেলা জানুয়ারি থেকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে ও রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে মনিটরিং সেল খোলা হবে এবং প্রাপ্ত পরিস্থিতি সম্মিলিত বাহিনীকে অবহিত করবে এই সেল।
যৌথবাহিনীর অভিযান : সারা দেশে যৌথবাহিনীর অভিযান চলছে। ফেনী, লালমনিরহাট ও সাতক্ষীরায় যৌথবাহিনীর অভিযানে ২৮ জনকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে সাতক্ষীরা শহরতলির রইচপুর এলাকায় যৌথবাহিনীর সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। গতকাল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ সংঘর্ষে সাতক্ষীরার (সদর) সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) কাজী মনিরুজ্জামান ও সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইনামুল হক আঘাত পান। এ ছাড়া রাজধানীতে আগামী ২-১ দিনের মধ্যেই যৌথবাহিনীর অভিযান শুরু হবে। পুলিশের একটি সূত্র এ তথ্য দিয়ে বলেছে, নাশকতাকারীদের তালিকা নিয়ে যৌথবাহনীনির এই অভিযান শুরু করবে।
অবরোধে ঢাকা : ১৮ দলের অবরোধ কর্মসূচী চলাকালে রাজধানীতে তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। দূরপাল্লার যানবাহন ছাড়া লঞ্চ ও ট্রেন চলাচলও ছিল স্বাভাবিক। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সতর্ক ও কঠোর অবস্থানের কারনে অন্য যে কোন সময়ের হরতাল-অবরোধের তুলনায় গতকাল রাজধানীতে পিকেটারদের উপস্থিুত ছিল তুলনামুলকভাবে বেশ কম। রাজধানীর উত্তরা, যাত্রাবাড়ি, কমলাপুর, সদরঘাট, সায়দাবাদ, গাবতলী, মতিঝিল, ফার্মগেট, গুলিস্তান, পল্টন, মালিবাগ, মগবাজার, শাহবাগ, মিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুড়ে এ চিত্র দেখা গেছে।
সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে সকাল থেকে নিয়মিতভাবে ছেড়ে গেছে সকল রুটের লঞ্চ। অন্যান্য হরতাল-অবরোধেও সদরঘাট থেকে নিয়মিত লঞ্চ চলাচল করলেও যাত্রী সংখ্যা থাকতো খুবই কম। কিন্তু গতকাল ছিল এর ব্যাতিক্রম।
যাত্রাবাড়িতে প্রচুর লোকাল বাস চলতে দেখা গেছে। বাসগুলোতে যাত্রীদের ঠাঁসাঠাঁসি ভিড়ও লক্ষ্য করা যায় এসময়। এখানে যানজটে পড়ে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে সাধারন মানুষকে। যানজট দেখা গেছে মতিঝিলও। এখানে গাবতলীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া ৮ নং গাড়ির ড্রাইভার মোখলেস বলেন, এখন আর কেউ হরতাল-অবরোধ মানছে না। আর কত মানবে! সবকিছুর একটা সহ্যসীমা আছে। সীমা ছাড়িয়ে গেছে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো। সায়দাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে স্বল্প সংখ্যক দূরপাল্লার বাস দুপুর একটার পর টার্মিনাল ছেড়ে যেতে দেখা গেছে। গাবতলী এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সেখান থেকে শুভযাত্রা, ৭ নং ও তানজিল পরিবহনসহ অসংখ্য বাস যাত্রাবাড়ি, ফার্মগেট, শাহবাগ ও গুলিস্তানের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছে। বাসগুলোতে যাত্রীদের ঠাঁসাঠাঁসি ভিড়ও লক্ষ্য করা যায় এসময়। কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে নির্ধারিত সময়ের পর হলেও সকল রুটের ট্রেন ছেড়ে গেছে বলে তথ্যকেন্দ্র থেকে জানানো হয়। এখানে যাত্রী উপস্থিতিও ছিল প্রচুর।
রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, বড় বড় শপিংমল থেকে শুরু করে সব ধরনের দোকান-পাট খোলা রেখেছেন দোকান মালিকরা। পলওয়ের মার্কেটের দোকানী ইদ্রিস জানান, হরতাল-অবরোধের কারনে গত কয়েকদিন বেচাবিক্রির অবস্থা খুব খারাপ থাকলে আজ (গতকাল) বিক্রি ভাল। তবে কয়েকটি স্থানে অগি্নসংযোগের ঘটনা ঘটে। বেলা ৩টার দিকে হাতিরঝিলের সামনের রাস্তায় একটি সিএনজি অটোরিঙ্ায় আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। এ সময় টহল পুলিশ থাকলেও কাউকে আটক করতে পারেনি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, হাতিরঝিলের সামনের রাস্তায় কয়েকজন দুর্বৃত্ত একটি সিএনজি থামিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। অগি্নকাণ্ডের সময় অটোরিঙ্ার চালক দ্রুত গাড়ি থেকে নেমে যায়। লালমনিরহাট : বাউরায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেনের পূর্বনির্ধারিত নির্বাচনী মতবিনিময় সভায় অতর্কিত হামলা চালিয়েছে বিএনপি-জামায়াত কর্মীরা। অনুষ্ঠানে হাতীবান্ধা-পাটগ্রাম সংসদীয় আসনের প্রার্থী মোতাহার হোসেনের যোগ দেওয়ার কথা ছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা হাইস্কুল মাঠে অনুষ্ঠান শুরুর কিছু সময় আগে অতর্কিত হামলা চালায় বিএনপি-জামায়াত কর্মীরা। এতে আহত হন অন্তত ২০ জন। এ সময় সেখানে থাকা আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ৪৯টি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয় বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা। সাতক্ষীরা : শহরতলির রইছপুর এলাকায় পুলিশের গুলিতে বিদ্ধ হয়েছেন তিন জামায়াত কর্মী। জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে যৌথবাহিনীর সংঘর্ষের সময় গতকাল এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আহত হন পুলিশের সদর সার্কেলের এ এস পি মনিরুজ্জামান মনির। এ ছাড়া একজন কনস্টেবল বোমার স্প্লিন্টার ও ইটের আঘাতে আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে ১৮ দলের ছয় নেতা-কর্মীকে আটক করার পর প্রত্যেককে এক বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এদিকে শীতকালীন মহড়ায় অংশ নিতে সাতক্ষীরায় পেঁৗছেছে সেনাবাহিনীর একটি অগ্রবর্তী দল। শতাধিক সদস্যের দলটি জেলা স্টেডিয়ামে অবস্থান নেয়। এর পরই মানুষের মুখে মুখে চলে আসে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সাতক্ষীরায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার জানান, অন্য কোনো উদ্দেশ্যে নয়, শীতকালীন মহড়ায় অংশ নিতে সেনাবাহিনীর এই আগমন।
মেহেরপুর : সদর উপজেলার রাজনগর শেখপাড়া ও হিজুলী গ্রামে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে আটক করেছে ৩৭ জনকে। এদের মধ্যে পাঁচজন নারী। এ সময় জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা প্রতিরোধ করতে গেলে যৌথবাহিনী গুলিবর্ষণ করে। পুলিশ, র্যাব, বিজিবি কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে বিএনপি-জামায়াত নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি চিরুনি অভিযান চালায়। অভিযানের সময় কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগি্নসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। ময়মনসিংহ : গফরগাঁওয়ে শিবগঞ্জ রোডে সন্ধ্যায় উপজেলা বিএনপির অফিস, স্বেচ্ছাসেবক দলের উপজেলা যুগ্ম-আহ্বায়ক আবু সায়েম ও যুবদলের আহ্বায়ক সরদার খুররমের বাড়ি এবং বিএনপি নেতা-কর্মীদের অন্তত ২০টি দোকানে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন দিয়েছে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা। সন্ধ্যার আগে শিবগঞ্জ রোডে তেজপাতা মার্কেট নামক স্থানে গাছ ফেলে অবরোধের চেষ্টা করে বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এ সময় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য প্রার্থী ফাহমি গোলন্দাজ বাবেলের পক্ষে নির্বাচনী গণসংযোগ শেষ করে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মোটর শোভাযাত্রা নিয়ে এ হামলা চালায়। সিলেট : নগরীর কদমতলী পয়েন্টে ১৮ দলের সমাবেশ চলাকালে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটলে পুলিশ এসে লাঠিচার্জ করে ও গুলি ছোড়ে। এ সময় পুলিশের গুলিতে আহত হন বিএনপি নেতা ললি্লক আহমদ চৌধুরী। লাঠিচার্জে আহত হন আরও অন্তত ১০ জন। ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
চট্টগ্রাম : ১৮ দলীয় জোটের ৭২ ঘণ্টার অবরোধের পাশাপাশি গতকাল চট্টগ্রামে ছিল জাতীয় পার্টির সকাল-সন্ধ্যা হরতাল। আওয়ামী লীগের এমপি আবুল কাশেম মাস্টারের বাড়ি-সংলগ্ন এলাকায় প্রথমে একটি মালবাহী ট্রাকে আগুন দেয় অবরোধকারীরা। পাবনা : চাটমোহরে পৌর সদরের একটি মার্কেটের ছাদ থেকে র্যাব-১২ সদস্যরা ১০টি পেট্রলবোমা ও ১৫টি তাজা ককটেল উদ্ধার করেছে। বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সেখানে এক অভিযান চালিয়ে এগুলো উদ্ধার করা হয়। বরিশাল : সকালে নগরীর জেলেবাড়ির পুল এলাকায় সড়কে পেট্রল ঢেলে অগি্নসংযোগ করে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। একই সময় নগরীর নবগ্রাম রোড নলী দাসের পোল এলাকায় গাছের গুঁড়ি ফেলে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে মহানগর ছাত্রদল। জামালপুর : সকালে শহরের কম্পপুরে একটি ট্রাক এবং মহিলা কলেজ গেট এলাকায় একটি যাত্রীবাহী লেগুনা ভাঙচুর করে অবরোধকারীরা। গাইবান্ধা : গোবিন্দগঞ্জের ফুলবাড়ী ইউনিয়নের ভাতদড়িয়া গ্রামে একটি বাঁশঝাড় থেকে নয়টি পেট্রলবোমা উদ্ধার করেছে র্যাব। মানিকগঞ্জ : একদলীয় নির্বাচনের প্রতিবাদে এবং অবরোধের সমর্থনে শহরে ঝাড়ুমিছিল করেছে জেলা জাতীয়তাবাদী মহিলা দল। মৌলভীবাজার : কমলগঞ্জে জামায়াতের দুজনসহ এক ছাত্রদল নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। সিরাজগঞ্জ : কোনাবাড়ী ও সীমান্ত বাজার এলাকায় ভোরে দুটি পণ্যবাহী ট্রাকে আগুন দিয়েছে যুবদল ও ছাত্রদল কর্মীরা। এ সময় আরও পাঁচটি ট্রাক ভাঙচুর করা হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পেঁৗছে রাবার বুলেট, টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। নাটোর : সকালে চকবৈদ্যনাথ রেলগেট এলাকায় রেললাইনে আগুন দিয়ে বিক্ষোভ করে ছাত্রদল। এ ছাড়া শহরের হাফরাস্তা এলাকায় নাটোর-রাজশাহী মহাসড়কের ওপর টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল। জয়পুরহাট : জয়পুরহাট-হিলি সড়কের পুরানা পৈল এলাকায় একটি ট্রাক আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। সকালে সিইসির বিরুদ্ধে শহরে জুতামিছিল করেছে বিএনপি। ঝিনাইদহ : কোটচাঁদপুর উপজেলায় দুপুরে মেইন বাসস্ট্যান্ডে অবস্থিত আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে অগি্নসংযোগ ও ভাঙচুর করেছে ১৮ দলের নেতা-কর্মীরা। কয়েক শ নেতা-কর্মী বিক্ষোভ মিছিলসহ আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে গিয়ে লোহার গেট ভেঙে প্রবেশের পর অগি্নসংযোগ করে। বগুড়া : মহাসড়কে টায়ারে আগুন, গাছের গুঁড়ি ও মিছিল সমাবেশের মধ্য দিয়ে অবরোধের শেষ দিন পার হয়েছে। গত দুই দিনে র্যাব-পুলিশের যৌথ অভিযানে আটক করা হয়েছে ১৫ জন। শহরের তিনমাথা ও মাটিডালি মোড়ে ১৮ দলের সমর্থকরা মহাসড়কে টায়ারে অগি্নসংযোগ ও গাছের গুঁড়ি ফেলে বিক্ষোভ করে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।