বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যজীবীদের পুনর্বাসনের জন্য সরকারের কাছে ১৫ দফা দাবি জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু মৎস্যজীবী পরিষদের সভাপতি নাসিরউদ্দিন এ ফেরদৌস।
গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি কনফারেন্স রুমে বঙ্গবন্ধু মৎস্যজীবী পরিষদ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তিনি। মৎস্যজীবীদের পুনর্বাসনের জন্য বিষয়টি সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে লিপিবদ্ধ করারও দাবি জানান নাসিরউদ্দিন এ ফেরদৌস। 'জলবায়ু পরিবর্তনে ও সমুদ্রসীমা বিজয়ে মৎস্যসম্পদ ও মৎস্যজীবী' শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে নদী ও সমুদ্রের মৎস্য প্রজনন ও আহরণে হাজার বছরের নিয়ম পরিবর্তন হয়েছে। ফলে নির্ধারিত সময়ে মৎস্য আহরণে যাওয়া যায় না। এ ছাড়া যখন তখন আবহাওয়া খারাপ হয়ে সমুদ্রে ঘূর্ণিঝড় হয়ে শত শত মৎস্যজীবীর প্রাণহানি ঘটে। সমুদ্রের পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় সমুদ্রোপকূলে ছোট ছোট খাল-বিলে মৎস্য আহরণ কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নাসিরউদ্দিন এ ফেরদৌস। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান, সহ-সভাপতি ফখরুল আলম প্রমুখ। ১৫ দফার মধ্যে রয়েছে- ইলিশের বংশ বৃদ্ধি ও আহরণ বাড়ানোর জন্য জাটকা নিধন বন্ধ করা। উপকূলীয় মৎস্যজীবীদের সাহায্য করা। মাসে প্রতি পরিবারে ৫২ কেজি চালের পরিবর্তে ২০০ কেজি এবং ২০০ টাকার পরিবর্তে ৩ হাজার টাকা প্রদান। এ সাহায্য ১ লাখ পরিবার থেকে বাড়িয়ে ৪ লাখ করা। মৎস্যজীবীদের ঋণের মাধ্যমে জাল-নৌযান কেনার ব্যবস্থা করা।
এ ছাড়াও মৎস্যজীবীদের বার্ষিক ৫০০ টাকা প্রিমিয়াম দিয়ে ৫ লাখ টাকার জীবন বীমা করার সুযোগ সৃষ্টি। উপকূল অঞ্চলে মৎস্য সংরক্ষণাগার নির্মাণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মাধ্যমে উপকূল এলাকায় ডাক্তারসহ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। উপকূল এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন। মৎস্য আহরণ স্থান ইজারা। মৎস্যজীবীদের নিরাপত্তা। বাজারজাতব্যবস্থা। মৎস্য যান বীমা চালু। মোট ইলিশ উৎপাদনের ৬০ শতাংশ বঙ্গোপসাগরে রাখা। মহিলা মৎস্যজীবীদের ঋণের ব্যবস্থাসহ মৎস্যজীবী লীগ গঠন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।