আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মান্নান খানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান প্রতিবে

সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নান খানের বিরুদ্ধে গতকাল দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন অনুসন্ধান কর্মকর্তা। এতে স্ত্রীসহ তার সম্পদ বিবরণী চেয়ে নোটিস জারির সুপারিশ করা হয়েছে। অন্যদিকে, ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য আসলামুল হক আসলাম ও সাতক্ষীরা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ জব্বারের সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিস পাঠিয়েছে দুদক।

দুদকের উপপরিচালক নাসির উদ্দিন সাবেক গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী মান্নানের স্ত্রীসহ সম্পদ বিবরণী চেয়ে নোটিস জারির সুপারিশ করেছেন বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছে, পাঁচ বছর আগে সাকুল্যে ১০ লাখ ৩৩ হাজার টাকার সম্পত্তি ছিল। কিন্তু এখন তা ১১ কোটি তিন লাখ টাকা। আগে তার বছরে আয় ছিল তিন লাখ ৮৫ হাজার টাকা। যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন কোটি ২৮ লাখ টাকা। পাঁচ বছরের মন্ত্রিত্বকালে মান্নান খানের সম্পত্তি বেড়েছে ১০৭ গুণ।

আসলামের স্ত্রী মাকসুদা হক এবং জব্বারের স্ত্রী ফিরোজা বেগম, তিন ছেলে ফারুক হোসেন, সাঈদ হোসেন ও মাহবুব হোসেনের সম্পদেরও হিসাব দিতে বলা হয়েছে। দুদক এ জন্য সাত দিন সময় দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আসলামুল হকের হলফনামা বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনের আগে দেওয়া হলফনামায় বলেছেন, তিনি ও তার স্ত্রী চার একর ১৯ দশমিক পাঁচ শতাংশ জমির মালিক। এর দাম দেখিয়েছিলেন ২০ লাখ ৬৯ হাজার ৫০০ টাকা। আর দশম সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে গত বছর ১ ডিসেম্বর দেওয়া হলফনামায় আসলামুল হক বলেছেন, তিনি ও তার স্ত্রী ১৪৫ দশমিক ৬৭ একর (১৪ হাজার ৫৬৭ দশমিক ৫৪ শতাংশ) জমির মালিক। দাম উল্লেখ করা হয়েছে, এক কোটি ৯২ লাখ ৯৯ হাজার ৫০০ টাকা। অর্থাৎ পাঁচ বছরে আওয়ামী লীগের এই এমপি ও তার স্ত্রীর জমি বেড়েছে ১৪০ একরেরও বেশি। বাড়তি এ জমির মূল্য দেখিয়েছেন এক কোটি ৭২ লাখ ৩০ হাজার টাকা।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.