বিনিয়োগকারীদের সহায়তায় পুনঃ অর্থায়নে ঋণ আবেদনের সময় ১৫ দিন বাড়ানো হয়েছে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এঙ্চেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ঋণ সহায়তা তহবিল কমিটি এ সময়সীমা বৃদ্ধি করেছে। গত ৩০ নভেম্বর ঋণ আবেদনের সময় শেষ হলেও এখন ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবে শেয়ারবাজারে ক্ষতিগ্রস্তরা। তবে ঋণ পেতে কোনো শর্ত শিথিল করেনি বিএসইসি। সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক ৩০০ কোটি টাকা ছাড় করলেও ঋণের জন্য মাত্র ৫০ কোটি টাকার আবেদন জমা পড়ে। পুনঃঅর্থায়ন কার্যক্রমে বিনিয়োগকারীদের অনীহার কারণ অনুসন্ধানে শীর্ষ স্টেক হোল্ডারদের নিয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে প্রথম কিস্তির ৩০০ কোটি টাকা বণ্টনের সময় আরও একমাস বাড়ানোর দাবি জানায় মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকাররা। একই সঙ্গে এ বিষয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যে অনীহা রয়েছে তা দূর করতে শর্ত শিথিলেরও প্রস্তাব দেওয়া হয় ব্রোকারদের পক্ষ থেকে। তিনি বলেন, এ কারণেই ঋণ আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা শর্ত শিথিল করার দাবি করলেও তা করা হয়নি। তহবিল থেকে ঋণ পেতে শর্তগুলো হলো_ ঋণের জামানত হিসেবে সংশ্লিষ্ট মার্চেন্ট ব্যাংক বা স্টক-ব্রোকারকে করপোরেট গ্যারান্টি প্রদান করতে হবে। ঋণ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এঙ্চেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সংশ্লিষ্টদের জরিমানা করতে পারবে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের (মাচেন্ট ব্যাংক/ স্টক ব্রোকার) নিবন্ধন বাতিল করতে পারবে। এসব শর্তের জন্য আগ্রহ দেখাচ্ছেন না ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।