দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে অবরোধ-হরতালের সময় পূর্বাঞ্চল রেলে ২৬ নভেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ২০ দিনে ৬টি আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রা বাতিল হয়েছে ১৩ বার। প্রায় প্রতিদিনই মারাত্দকভাবে ট্রেনের শিডিউলেও বিপর্যয় হচ্ছে। মেইল ও এঙ্প্রেস ট্রেনগুলোর চলাচলেও একই অবস্থা। এতে হাজার হাজার যাত্রীকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্টেশনে বসে থাকতে হচ্ছে ট্রেনের অপেক্ষায়। ফলে প্রতিদিনই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। এ অবস্থায় গতকাল বিকালে কমলাপুর রেলস্টেশন পরির্দশন করেন পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মোহাম্মদ মকবুল আহমদ। এ সময় তিনি রেলের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিভিন্ন দিক-নির্দেশনামূলক আলোচনা করেন এবং স্টেশনের বিভিন্ন অফিস পরির্দশন করেন বলে জানিয়েছেন উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) জোবেদা আকতার। পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মোহাম্মদ মকবুল আহমদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, রেলওয়েতে ট্রেনের ইঞ্জিন ও বগির সংকট রয়েছে। কোনো ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়নি। নিরাপত্তার কারণে পাইলটিং এবং ট্রেনের গতি কমানোর ফলে টাইম শিডিউল ধরে রাখা যাচ্ছে না। তাই ট্রেনে চলাচলরত যাত্রীদেরও সাময়িক অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছে। ট্রেন চলাচলে নিরাপত্তায় রেল ও প্রশাসনসহ সবার সমন্বয়ে কাজও চলছে। তবে বর্তমানে ট্রেনে কোনো ধরনের নাশকতা নেই এবং গতকাল বুধবার থেকেই ৪০ কিলোমিটার থেকে গতি বাড়িয়ে ৫০-৫৫ কিলোমিটার গতিতে চালানো হচ্ছে। রেল সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ নভেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ২০ দিনে পূর্বাঞ্চলের ৬টি আন্তঃনগর ট্রেনে ১৩ বার যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। এদের মধ্যে ২৬, ২৭ নভেম্বর এবং ৯ ডিসেম্বরে সুবর্ণা এঙ্প্রেস (চট্টগ্রাম ও ঢাকা থেকে), ২৮ নভেম্বর ও ৯ ডিসেম্বর মহানগর গোধূলী, ২৬ ও ২৮ নভেম্বর এবং ৫ ডিসেম্বর প্রভাতী (ঢাকা থেকে), ২৭ নভেম্বর ও ২ ডিসেম্বর তূর্ণা নিশিতা (চট্টগ্রাম ও ঢাকা থেকে), ২৩ নভেম্বর উদয়ন (চট্টগ্রাম থেকে), ২৮ নভেম্বর ও ২, ৩, ১০ ডিসেম্বর পাহাড়ীকা (চট্টগ্রাম ও ঢাকা থেকে) এবং তিস্তা, পারাবত, উপকূল, জয়ন্তীকা, মেঘনাসহ অন্যান্য ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। অপরদিকে একই সময়ে চট্টগ্রাম ও ঢাকা থেকে চলাচলরত ঢাকা মেইল, চট্টগ্রাম মেইল, কর্ণফুলী এঙ্প্রেস সুরমা মেইল, জালালাবাদ এঙ্প্রেস, সাগরিকা এঙ্প্রেসসহ অন্যান্য মেইল ও এঙ্প্রেস ট্রেনগুলোর মারাত্দক শিডিউল বিপর্যয় ও যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। সর্বশেষ গত মঙ্গলবারও পাইলটিং পদ্ধতিতে গন্তব্যে পেঁৗছতে ট্রেনের সময় লেগেছে দ্বিগুণ। চট্টগ্রাম রেলস্টেশন থেকে ঢাকাগামী মহানগর গোধূলী ও সিলেটগামী উদয়ন এঙ্প্রেস ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়। একইভাবে অন্যান্য ট্রেন প্রায় ৫-৬ ঘণ্টা দেরিতে স্টেশন থেকে ছেড়ে গেছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।