আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইশতেহার এবং আমার কিছু কথা

স্বপ্ন দেশকে বড় কিছু উপহার দেয়ার।

টিভিতে এক্সক্লুসিভ সব ইশতেহারর বর্ণনা শুনতেছিলাম। ভাল লাগছিল তাদের লক্ষ্যমাত্রা কিংবা সকল প্ল্যান। কিন্তু কথা হল আদৌ কতটুকু তারা সেটা ক্ষমতায় গেলে বাস্তবায়ন করবেন? বড় কথা আমাদের সরকারই তো বারবার চেইঞ্জ হয় তাহলে এই ইশতেহার ২০-৩০ বছরের দিয়েই বা লাভ কি?
আর এগুলো আমার মত বাংলাদেশের সকল মানুষই জানে।

তাই ইশতেহার নিয়ে এখানে কিছু কথা তুলে ধরতে চাই।

জনগণ সকল ক্ষমতার মালিক সংবিধানেই লেখা আছে। তাই এখানে মূলত কিছুটা হলেও ক্ষমতা জনগণের হাতে আসবে।

প্রত্যেক নির্বাচনের আগে নির্বাচনীয় এলাকায় সবাই ইশতেহার প্রদান করেন, কিন্তু কখনো তা বাস্তব কখনো তা অবাস্তব। তাই ইশতেহার হওয়া উচিত বাস্তবমুখী যার ৮০-৯০ ভাগ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। জনগণ কিংবা সুশীল ব্যক্তিত্ব যারা কোনো রাজনৈতিক কর্মকান্ডে যুক্ত থাকবেন না তারা ইশতেহারের একটি করে কপি পাবে।

নির্বাচনে জয় লাভের পর ক্ষমতার ৫ বছরকে ৫ ভাগে ভাগ করা হবে ইশতেহারকে। প্রথম বছরে মিনিমাম এই কাজগুলো করতে হবে। এভাবে বছর এগুবে, মনিটরে থাকবে সাধারন জনগণ যাদের হাতে থাকছে পরবর্তী নির্বাচনের ভোট দেয়ার ক্ষমতা। কোনো নির্বাচিত এমপি যদি তাঁর ইশতেহারের ৮০-৯০ ভাগ কাজ সম্পাদন করতে ব্যর্থ হন তাহলে সে আজীবনের জন্যে নির্বাচন করার ক্ষমতা হারাবেন এমন একটি সংসদীয় আইন পাশ করা হোক।

এতে করে এমপিরা দূর্নীতি করুক আর যাই করুক কাজ করতে তারা বাধ্য থাকবে! আর এই সকল কাজে সরাসরি জনগণ যুক্ত থাকলে কিছুটা পরিবর্তন আসলেও আসতে পারে।



আমাদের দেশের ভাগ্য পরিবর্তনে মূলত আমাদেরকেই সোচ্চার হতে হবে এবং আমাদেরই নতুন কিছুর উদ্ভাবন করতে হবে যাতে যারাই ক্ষমতা পাক না কেন তারা যেন এটা ভাবে- নেক্সট টাইম ভোটের জন্যে আমাকে জনগণের কাছেই যেতে হবে, সুতরাং দূর্ণীতি কমিয়ে কাজ করি।

((আমি ব্লগিং এ নতুন, একান্তই নিজের মতামত জানালাম। গঠনমূলক সমালোচনা সুন্দর দৃষ্টিতেই দেখা হবে))

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.