উন্নত বিশ্বের সাথে উন্নয়নশীল বিশ্বের সবচেয়ে বড় পার্থক্য হলো যে, উন্নত বিশ্বের মানুষেরা সবাই মিলে আনন্দ উপভোগ করতে চায়। অন্যের দুঃখে দুঃখিত হয় এবং অপরের দুঃখ লাঘবের চেষ্টা করে। আর আমরা অন্যের কষ্টে আনন্দ পাই, উন্নয়নের পথে যতটুকু সম্ভব তার চেয়ে বেশি বাধা দে
বন্ধু নুর মোহাম্মদ ফোন করে জানতে চাইল ২৫ ডিসেম্বর আমার বন্ধ আছে কিনা, আমি পাল্টা জানতে চাইলাম কেন ??
নুর :- তোকে তো সহজে পাওয়া যায়না , তাই কালকে যদি তোর্ বন্ধ থাকে তবে তোকে নিয়ে ঘুরতে যেতাম !
=কোথায় যাবি, গার্মেন্টস হলেও আগামীকাল বড় দিনের ছুটি ঘোষণা হয়েছে সুতরাং আগামীকাল আমার ছুটি আছে !
নুর :- আগামীকাল ‘স্বপ্নীল বাঁশখালী’র উদ্যোগে এসএসসি/দাখিল পরীক্ষায় জিপিএ-৫, জুনিয়র ও প্রাথমিক বৃত্তিপ্রাপ্ত, স্বপ্নীল মেধা বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রী সংবর্ধনা অনুষ্ঠান রয়েছে আমাদের প্রিয় স্কুল বাণীগ্রাম সাধনপুর উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে |
=জানি, তোকে বিশেষ অতিতি করা হয়েছে ! বেশতো..
নুর :- আরে অতিতি হওয়া আমার উদ্যেশ্য নয় , কালকে নাকি আমাদের প্রিয় শিক্ষক সর্বজন সম্মানিত মুহাম্মদ নাদেরুজ্জামান চৌধুরী উপস্থিত থাকবেন , ওনার সাথে দেখা হয়না অনেকদিন , ওনার সাথে দেখা করার ইচ্ছা অনেকদিনের, তাই যেতে পারলে ওনার সাথে দেখা হয়ে যেত, ওনার দুটি কথা শোনা যেত এই আর কি !
আমি আর লোভ সামলাতে পারলামনা , বললাম ঠিক আছে কাল আর কোনো কাজ করবনা , তোর্ সাথে আমার সেই প্রিয় স্কুলে যাব ! কথামত সকালেই রওনা হলাম , নুর ড্রাইভিং করলো , সাথে এন্তু এবং ওয়াজেত থাকার কথা থাকলেও ওদের ব্যক্তিগত ব্যস্ততার করনে আসতে পারেনি আমরা দু-জনই রওনা দিলাম ! যেতে যেতে মনে মনে স্বপ্নিলকে ধন্যবাদ দিলাম আর আর আমি স্বপ্নে বিভোর হচ্ছিলাম আমার সেই প্রিয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দেখব , প্রিয় অনেক শিক্ষকদের দেখব এই ভেবে ! যেতে যেতে প্রপেসর মোর্শেদ বেশ তাড়া দিলেন যাতে তারাতারি পৌছে যাই ..
আমরা যথা সময়ে পৌছে গেলাম ! যথারীতি স্যারদের সাথে দেখা হলো ! আমার বন্ধু নুর মোহাম্মদকে সবাই চেনে কারণ সে যথারীতি স্কুলের বিভিন্ন কর্মকান্ডে জড়িত এবং তার সাফল্য তাকে সবার কাছে পরিচিত করেছে | আমাকে অনেক শিক্ষক চিনলেন অনেকেই চিনলেননা কারণ হিসেবে ওনারা বললেন আমার সাস্থ্য নাকি অনেক ভালো হয়েছে তাই চেনা যাচ্ছেনা ! আমি হাসলাম অনেকক্ষণ ধরে ! সবাই আন্তরিকতার সাথে কথা বললেন জানতে চাইলেন কি করি , আমি কি বিদেশে থাকি ?? এই প্রশ্নটা আমাকে প্রায় লোকেই করে থাকে যাদের সাথে অনেদিন পরে দেখা হয় | আসলে গার্মেন্টসে চাকরি করার কারণে ছুটি একেবারেই কম আর অনেক ব্যস্ততার করনেও হয়ত পরিচিত, শুভাকাংকি অনেকের সাথে যোগাযোগ নেই | স্যারদেরকে বললাম আমি গার্মেন্টসে চাকরি করি একটা গ্রুপ অব কোম্পানির নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছি এবং আল্লাহর রহমতে ভালই আছি !! স্যারেরা বেশ খুশি হলেন এবং দোয়া করলেন ! সাথে আমার সহপাঠীদের অনেকের বিষয়ে কথা হলো যাদের সাথে আমার যোগাযোগ আছে তাদের ব্যাপারে বললাম , বিশেষ করে অধীর , রাজেশ , মহিউদ্দিন আরো অনেকেই ! স্বপ্নিলের সংগঠনের স্থায়ী পরিষদ চেয়ারম্যান কে.এম. সালাহ্উদ্দীন কামাল ভাই আমাকে চিনতেন কারণ ওনার সাথে ব্যক্তিগতভাবে আমার যোগাযোগ রয়েছে ! উনিও আমাকে স্বাগত জানালেন এবং ওনাদের অনুষ্ঠানে আসার জন্য ধন্যবাদ জানালেন !
যথারীতি অনুষ্ঠান শুরুহলো , নিয়মতান্ত্রিক ভাবেই প্রথমে সভাপতির আসন গ্রহণ ,ওমা ! এত দেখি আমাদের তুষার কান্তি ভারতী আমার সহপাঠি যাকে আমরা ভারতী বলেই ডাকতাম এখন তিনি অধ্যাপক তুষার কান্তি ভারতী এবং স্বপ্নিলের সভাপতি, ওকে দেখে খুব প্রিত হলাম এবং তাকে নিয়ে ছাত্র জীবনের অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেল ! ওর সাথে বেশ কয়েকবার চোখা চোখি হলেও রীতিমত তিনিও আমাকে চিনতে পারলেননা ! যাই হউক , অনুষ্ঠানে পরবর্তী আসন গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করাহলো অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যুগ্ম সচিব ও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন এর সচিব দীপক চক্রবর্ত্তী বাবুকে ! কিন্তু তিনি কখনই ওনার শিক্ষক , আমাদের সকলেরই শিক্ষক বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ জনাব মুহাম্মদ নাদেরুজ্জামান চৌধুরী সাহেবের আগে মঞ্চে উপবিষ্ঠ হবেননা ! উনি বললেন সবার নাম ঘোষণা করেন আমরা সবাই মাইল একসাথে উঠব ! কি বিনয় , কি সম্মান একজন বিজ্ঞ শিক্ষকের প্রতি |
প্রধান অতিথি কিন্তু ওনার জন্য নির্ধারিত আসনে বসলেননা এবং ওনার আসনে ওনার শিক্ষক আমাদের সবারই প্রিয় শ্রধ্যেয় শিক্ষক জনাব মুহাম্মদ নাদেরুজ্জামান চৌধুরী সাহেবকে বসলেন | অনুষ্ঠান উদ্ভোধন ঘোষণা এবং স্বাগত বক্তব্য দেওয়ার জন্য আসলেন যাঁকে দেখার জন্য আমার মত অনেক প্রবীন শিক্ষার্থী এসেছেন আজকে ! প্রিয় স্যার বক্তব্য শুরু করলেন কি বিনয় কি সেই ভাষা এবং বিশেষণের ব্যবহার ! পিনপতন নিরবতা , সবাই কান পেতে শুনে রইলেন প্রিয় সবারই প্রিয় শ্রধ্যেয় শিক্ষক জনাব মুহাম্মদ নাদেরুজ্জামান চৌধুরী সাহেব কি বলছেন | আসলে আমি যা দেখলাম স্বপ্নিল হচ্ছে এক ঝাঁক তরুণ উদ্যেমি শিক্ষিত যুবকদের সমন্নয়ে প্রতিষ্ঠিত সামাজিক উন্নয়ন মূলক প্রতিষ্ঠান ! স্বপ্নিলের কথা আমি আগেও শুনেছি কিন্তু তাঁদের কার্যক্রম এই প্রথম দেখলাম ! স্যারের বক্তব্যে স্বপ্নিলের সর্বস্থরের কর্মকর্তা , সমন্নয়ক এবং সদস্যদের বিভিন্ন রকম প্রেরণা দায়ক বক্তব্য দিলেন | উনি বিশেষ করে বললেন আমরা বাঙালিরা যেকোনো কিছু অনাড়ম্বর ভাবে শুরু করি কিন্তু শেষ করিনা !লক্ষণীয় বাঙালি চরিত্রের প্রধান দিক মূলত ‘শুরু করে শেষ না করা’; আরম্ভ ও শেষের মিলন না হওয়া; মাঝপথে এসে কাজ ছেড়ে দেওয়া। এর থেকেই আদতে বাদবাকি ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার জন্ম। বাঙালির জীবনচর্চায় আর কোনো ধারাবাহিকতা থাকুক না থাকুক এই ‘শুরু করে শেষ না করা’র ব্যাপারে আমরা বাঙালিরা পূর্বাপর সংগতি সম্পন্ন ।
স্যার স্বপ্নিলের সবাইকে তাঁদের কাজের ধারাবাহিকতা তাঁদের উদারতা তাঁদের সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতার প্রতি আরো আরো বেশি যত্নশীল হওয়ার আহ্বান জনালেন এবং সবাইকে ধন্যবাদ জানালেন| সর্বশেষ তিনি উপস্তিত অভিবাবকের প্রতি বললেন তাঁরা যেন তাঁদের সন্তানদের প্রতি খেয়াল রাখেন খোজ খবর রাখেন এবং আর অনেক প্রেরণা দায়ক বক্তব্য ! আমি আশা করছিলাম স্যার আরো অনেকক্ষণ বক্তব্য রাখবেন কিন্তু না তিনি শেষ করলেন এবং আমার মত অনেকেই অতৃপ্ত রয়ে গেলেন যারা আরো বেশি কথা শোনার আশায় ছিলাম ! যাই হউক যা শুনেছি তাও যদি জীবনের ব্রত করতে পারতাম তবে আরো অনেক অনেক সামনে এগিয়ে যেতে পারতাম .... !
এর পর আরো অনেকেই বক্তব্য রাখলেন আমি জোহরের নামাজে যাওয়ার কারণে সবার বক্তব্য শুনতে পারিনি ! নামাজ থেকে আসার পর দেখলাম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকা চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আ্যাডভোকেট মো. কামাল উদ্দিন সাহেব বক্তব্য রাকছিলেন ! আমি জানতে পারলাম উনি সুধুর ফঠিকছড়ির বাসিন্দা ! তিনি সুধু মাত্র এই ঐতিহ্যবাহী স্কুলের কথা শুনেই স্বপ্নিলের দাওয়াত কবুল করেছেন এবং ওনার মুখে এই স্কুলের সৌন্দর্য মন্ডিত প্রাকৃতিক পরিবেশের উচ্ছাসিত প্রশংসা করলেন !
এর পর যথারীতি প্রধান অতিথির বক্তব্য ! প্রধান অতিথি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যুগ্ম সচিব ও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন এর সচিব দীপক চক্রবর্ত্তী, যথারিরিতি তিনি অতি বিনয়ী , মিষ্ঠভাষী , সদালাপী আবার তিনি আমাদের সবার প্রিয় শিক্ষক ওনার শিক্ষা গুরু জনাব মুহাম্মদ নাদেরুজ্জামান চৌধুরীর প্রতি বিশেষ সম্মান জানিয়ে বক্তব্য শুরু করলেন ! ওনার কথাগুলু আসলে ঠিক বক্তব্যের পর্যায়ে পড়েনা, আমার মনে হলো তিনি কোনো শ্রেণী কক্ষে ওনার ছাত্রদের খুব মমতা দিয়ে ক্লাস নিচ্ছেন ! স্যারের বক্তব্যের সময় আজকের প্রধান অতিথিকে ওনার কীর্তি ছাত্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন এই জন্য উনি খুবই উচ্ছাসিত , আনন্দিত | উনি বার বার বিনয় প্রকাশ করলেন স্যারের সামনে কোনদিনও উনি প্রধান অতিথি হওয়ার যোগ্যতা রাখেননা তবুও স্বপ্নিলের কর্মকর্তাদের অনুরোধে এবং শুধুমাত্র নিয়ম রক্ষার খাতিরে আজকে তিনি প্রধান অতিথি হয়েছেন ! উনি খুব আবেগী ছিলেন ! উনি বেশ কয়েকবার ওনার আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারছিলেননা | উনি ওনার সেই পুরনো স্মৃতির কথা মনে করে বার বার সেই দিন গুলিতে ফিরিয়ে যেতে চাইলেন , কিন্তু ওনার সময় খুব কম ছিল | স্বপ্নিলের উদ্যেমি তরুনদের প্রশংসা করলেন তিনি দেশের এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতেও মেধা বিকাশের জন্য এত সুন্দর আয়োজন করার জন্য ! উনি বিশেষ করে গুরুত্ব দিলেন এই স্বপ্নিল বাঁশখালীর কার্যক্রম সারা বাঁশখালী ব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ! তিনি যুব সমাজকে আলোকিত মানুষ হওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন এবং স্বপ্নীল বাঁশখালী’র সংস্লিষ্ঠ সবাইকে আরো উদ্যেমি হওয়ার আহবান জানিয়েছেন ! তিনি বলেছেন হতাশার অতল অন্ধকারে ক্রমশই তলিয়ে যাচ্ছি আমরা। চারদিকে চলছে সীমাহীন দুর্নীতি, ভেজাল ও সন্ত্রাস। মানুষের জীবন আজ সংকটাপন্ন। সমাজ তথা রাষ্ট্রে বিরাজ করছে অস্থিরতা ও অস্থিতিশীলতা। সুশিক্ষা থেকে বঞ্চিত মূল্যবোধের চরম অবক্ষয় সমাজকে ঠেলে দিচ্ছে মারাত্মক বিপর্যয়ের দিকে।
এ সংকট থেকে উত্তরণের জন্য প্রয়োজন অধিক সংখ্যক আলোকিত মানুষের। জ্ঞান-গরিমায়, মেধা-মননে, বিবেক-বুদ্ধিতে সমৃদ্ধ আলোকিত এ মানুষেরা জাতিকে দেবে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা।
জাতীয় জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের সুনিপুণ পদচারণা দেশবাসীকে দেখাবে মুক্তির পথ, দিশেহারা হতাশাগ্রস্ত, অন্ধকারাচ্ছন্ন মানুষ পাবে সুন্দর সোনালি ভবিষ্যতের অঙ্গীকার।
এক একজন আলোকিত মানুষ হবেন এক একটি আলোক বর্তিকাস্বরূপ- যারা জ্ঞান, শিক্ষা ও সংস্কৃতির মশাল প্রজ্বলিত করে সমাজে ছড়িয়ে দেবেন আলোর দ্যুতি। কেটে যাবে অজ্ঞতা, অজ্ঞানতা, অশিক্ষা, কুশিক্ষা ও কুসংস্কারের ঘোর অমানিশা।
শুদ্ধতার বাঁধভাঙা জোয়ারে ভেসে যাবে সমস্ত অন্যায়, অনিয়ম, অসংগতি ও দুর্নীতি। তারা কাজ করবেন পরশ পাথরের মতো, তাদের ছোঁয়ায় পথহারা, বিভ্রান্ত ও বিপদগামী মানুষ পরিণত হবে সোনার মানুষে। তাদের সম্মিলিত ও সমন্বিত কর্ম প্রচেষ্টায় সুস্থ হয়ে উঠবে ব্যাধিগ্রস্ত সমাজ। মানুষের জীবনে বইতে শুরু করবে সুদিনের সুবাতাস। আলোকিত জাতি গঠনে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই , শিক্ষায় জাতির মেরুদন্ড এবং এই শিক্ষিত জাতির জন্য শিক্ষকই একমাত্র মেরুদন্ড !উনি বিশেষ করে দক্ষিন পশ্চিম বাঁশখালী এবং উপকূলীয় এলাকার শিক্ষা বিস্তারের জন্য বিশেষ ভাবে গুরুত্ব আরোপ করেছেন এবং এই ব্যাপারে ওনার সহযোগিতা আশ্বাস দিয়েছেন ! অনুষ্ঠানে আরো উপস্তিত ছিলেন বাঁশখালী কলেজের অধ্যক্ষ (অব.) অধ্যাপক হিমাংশু বিমল ভট্টাচার্য্য, সম্পর্কে তিনি প্রধান অতিথির বড় মামা হন ! প্রধান অথিতির নিজ বাড়ি বাঁশখালীর উপজেলা সদর বা জলদিতে | তিনি এই মামার বাড়িতে থেকেই এই ঐতিহ্যবাহী স্কুলে পড়া-শুনা করেছেন |স্কুল জীবনের বিভিন্ন স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি বার বার হারিয়ে যাচ্ছিলেন এবং অন্য কোনো একদিন সময় চেয়ে নিলেন যাতে এই ঐতিহ্যবাহী স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের সাথে মন খুলে কথা বলাযায় ! পরিশেষে তিনি অভিবাবকদের বললনে যাতে লেখা পড়ার বিষয়ে মেয়ে এবং ছেলের মাঝে কোনো পার্থক্য করা না হয় ! তিনি বলেন অনেক সময় খুব সু -প্রতিষ্ঠিত ছেলের চেয়ে একজন সাধারণ মেয়ে বাবা -মায়ের খোজ খবর অনেক বেশি রাখে | তাই মেয়েদের শিক্ষার প্রতি যেন সবাই বিশেষ করে যত্নবান হন সেই ব্যাপারে তাগিত দিয়েছেন | পরিশেষে সংবর্ধনার পালা ! আসলে স্বপ্নীলের এই আয়োজন ছিল ব্যাপক এবং বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে প্রায় ১৫০ জন শিক্ষার্থীকে সংবর্ধিত করা হয়।
পরিশেষে চলে আসার পালা ! এরই মাঝে আমি স্কুলে নতুন ভবন নির্মানের প্রক্রিয়া দেখে নিলাম , বিশাল পরিসরে নতুন ভবন হচ্ছে ! স্কুলের এই ভবন নির্মানের কাজে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন বর্তমান স্কুল পরিচালনা কমিটির সফল সভাপতি জনাব খোন্দকার মোহাম্মদ ছমিউদ্দীন, ওনার সাথেও দেখা হলো উনি এই দিনে ও চলে আসছেন স্কুলের দেখা ভাল করার জন্য !
আসলে আমরা অনেক কিছুই শুরু করি, শেষ করি না। ভাষা আন্দোলন শুরু করেছিলাম, এর পূর্ণতা আমরা দিতে পেরেছি কি? মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছিলো, আজ অব্দি তা শেষ হলো না। যাত্রা শুরু হয়েছিল সংসদীয় গণতন্ত্রের, এখনও পর্যন্ত সংসদ অকার্যকর। যে দল ক্ষমতায় থাকে না তারা সংসদে যায় না। ফলে আমাদের অনেক কিছুর শুভ সূচনা হয়, কিন্তু শুভ সমাপ্তি হয় না।
ব্যক্তিজীবনেও আমাদের বেশিরভাগ লোকের অবস্থা কমবেশি একই- শুরু করি অনেক কিছু, শেষ করি না একটিও। ফলে জাতির চরিত্র আর ভিন্ন হবে কি? এই দুর্যোগ মুহুর্থে স্বপ্নীল বাঁশখালীকে ধন্যবাদ দিতে চায় তাঁদের উদ্যমকে সাধুবাদ জানাতে চায় তাঁদের সামনের দিনগুলি আরো সুন্দর হউক , আরো সমৃদ্ধ হউক তাদের কর্মব্যাপ্তি ! এই যে নিবিড় কর্মোদ্যোগ এবং কাজের প্রতি তুঙ্গস্পর্শী প্রেম বা অনুরাগ এই দুইটি বিষয় যেন স্বপ্নীল বাঁশখালীকে আরো স্বপ্নময় করে এই কামনা করি |
চলে আসার সময় আমার সেই সহপাটি অধ্যাপক শ্রী শ্রী তুষার কান্তি ভারতীর সাথে এবার সামনা সামনি দেখা হলো ! তাকে আমি জড়িয়ে ধরলাম আর বললাম "কি ভারতী কেমন আছিস?" তিনি হয়ত এই আচরণের জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলেননা , আমি বুজতে পারলাম এবং ততক্ষণে তিনিও আমাকে চিনতে পারলেন বললেন হুম কি যেন আপনার নাম ?? আমি বললাম "জুয়েল তাজিম " ... (এয়ার মোঃ তাজিমুল ইসলাম) তিনি একটু স্মৃতি হাতরালেন এবং আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বললেন তুমি কি বাইরে থাক, দোস্ত তুমি কোন দেশে থাক , !! আমি বললাম কেন রে আমার কি দেশে থাকতে মানা ?? ও বলল না তা কেন হবে .... ! ও আসলে জড়তা ভোদ করছিল কেন আমি বুজলামনা ! আমরা এই একই স্কুলে ছুটোছুটি করে পাঁচটা বছর কাটিয়েছে সেই ভারতী এখন আমাকে আপনি তুমি বলে "তুই" করে বলতে পারেনা !! কিন্তু কেন !!? হয়ত সে এখন একটা কলেজের অধ্যাপক সেই জন্য ... যাই হউক আমি ওনাকে তুই করেই বললাম ...... বললাম ভারতী ভালো থাকিস ..........
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।