গেল বছরটি হামলা-মামলা, জুলুম নির্যাতন ও সিটি নির্বাচনের বিজয়ের মধ্য দিয়েই কেটেছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির। বছরজুড়ে সরকারবিরোধী আন্দোলনে সফলতার পাশাপাশি ব্যর্থতাও কম ছিল না। তবে বিএনপির সবচেয়ে ভালো সময় কেটেছে জুন-জুলাইয়ে। পরপর পাঁচটি সিটি নির্বাচনে বাজিমাত করে দলটি। পাঁচ বছরে রাজনীতিতে বিরোধী দলের এ সময়টায় চাঙ্গাভাব লক্ষ্য করা যায়।
এরপর পর্যায়ক্রমে বিএনপির রাজনীতিতে আবারও জুলুম নির্যাতনের খড়গ। বিদায়ী বছরের সর্বশেষ দিন গতকালও অবরুদ্ধ অবস্থায় কেটেছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার। প্রায় সপ্তাহব্যাপী গুলশানের নিজ বাসভবনে নেতা-কর্মীবিহীন নিঃসঙ্গ সময় কাটছে বিরোধীদলীয় নেতার। অন্যদিকে দলের শীর্ষপর্যায়ের নেতারা কারাগারে অন্তরীণ। বাইরে যারা আছেন তারাও গ্রেফতার এড়াতে আত্দগোপনে।
নতুন বছরের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে 'প্রহসনের নির্বাচন' আখ্যা দিয়ে তা বাতিল করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবিতে আজ বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকালের অবরোধ কর্মসূচি দিয়ে ২০১৪ সালের যাত্রা শুরু করল দলটি। বিএনপির কেমন কাটল-২০১৩ জানতে চাইলে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ২০১৩ সাল শুধু বিএনপির জন্য নয়, পুরো জাতির জন্যই একটি হতাশার বছর ছিল। ১৬ কোটি মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি এ বছরে। গণতন্ত্র ও আইনের শাসন ভুলণ্ঠিত হয়েছে পদে পদে। প্রধান বিরোধী দল হিসেবে বিএনপি তার দায়িত্ব পালনে চেষ্টা চালিয়েছে।
গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ে সভা-সমাবেশ, রোডমার্চ, হরতাল ও অবরোধ করেছে। প্রাপ্তি হয়তো পুরোটা হয়নি। তারপরও চেষ্টার কমতি ছিল না। তবে দাবি আদায়ে বছরজুড়েই জনগণের নৈতিক সমর্থন পেয়েছে। পাঁচটি সিটি নির্বাচনের সবগুলোতেই জিতেছে।
তবে অবরোধের মধ্য দিয়েই আবার নতুন বছর শুরু হচ্ছে। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের পাশাপাশি গণতন্ত্র রক্ষায় দেশের মানুষ বিএনপির পাশে থাকতে এটাই আমার প্রত্যাশা। গেল বছরের শুরুতেই বিএনপি জোটের পক্ষ থেকে জানুয়ারি মাসে প্রথম হরতালের ডাক আসে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে। এ সময় গ্রেফতার করা হয় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের কয়েকজন সিনিয়র নেতাকে। এ সময় কালো পতাকা মিছিল ও রাজধানীতে মানবপ্রাচীর কর্মসূচি পালন করে বিএনপি।
জানুয়ারি মাসে অন্তত ৩৮টি সাংগঠনিক টিম গঠন করে সারা দেশে গণসংযোগ করেন ১৮ দলের সিনিয়র নেতারা। ফেব্রুয়ারি মাসে যুদ্ধাপরাধের বিচার ইস্যুতে গণজাগরণ মঞ্চের সৃষ্টি হলে বিএনপি প্রথমে স্বাগত জানায়। পরে মঞ্চের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা ও পক্ষপাতদুষ্ট অবস্থানের অভিযোগে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এ সময় যুদ্ধাপরাধ বিচারের রায়কে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সারা দেশ। মানিকগঞ্জ, কঙ্বাজার, সাতক্ষীরা, বগুড়া, জয়পুরহাটসহ কয়েকটি জেলায় সরকার ও বিরোধীদলীয় কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ সময় পুলিশের গুলিতে বেশ কয়েকজন মারাও যায়। সারা দেশে সংঘটিত নানা ঘটনায় মামলার আসামি প্রায় দুই লাখ বিরোধীদলীয় কর্মী-সমর্থক ও সাধারণ মানুষকে।
জোটের শরিক জামায়াতের হরতালের কারণে ভারতের সফররত প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জির সঙ্গে ৪ মার্চ বৈঠকটি বাতিল করেন বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া। অবশ্য পরবর্তীতে এই বৈঠকে যোগদান না করার সিদ্ধান্তকে ভুল ছিল বিএনপির নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে অনুশোচনা আসে। ১১ মার্চ রাতে দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক কালো নজির সৃষ্টি করে সরকার।
সন্ধ্যা রাতে অভিযান চালানো হয় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা ও বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকসহ দলের নেতা-কর্মী ও কার্যালয়ের কর্মচারীসহ গ্রেফতার করা হয় ১৫৭ জনকে। শীর্ষনেতাদের কারাবন্দী করার প্রতিবাদে নতুন প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদের শপথ অনুষ্ঠান বর্জন করে বিরোধী দল। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে পূর্বঘোষিত ২ মে হরতাল স্থগিত করে। ৪ মে শাপলা চত্বরে আয়োজিত মহাসমাবেশ থেকে সরকারের উদ্দেশে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন বেগম খালেদা জিয়া।
৫ মে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি ছিল হেফাজতে ইসলামের। কিন্তু পথে বাধা দেওয়ার প্রতিবাদে শাপলা চত্বরে অবস্থান নেয় হেফাজতের কর্মী-সমর্থকরা। সারা দেশ থেকে আসা হেফাজত কর্মীদের পাশে থাকতে দলের নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দেন বিরোধী নেতা। শাপলা চত্বরে হেফাজতের মঞ্চে গিয়ে বিএনপির পক্ষে সমর্থন ঘোষণা করেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। ২০১৩ সালের জুন ছিল বিরোধী দলের উদ্দীপনার মাস।
চারটি সিটিতেই বাজিমাত করে বিএনপি। সিলেটে আরিফুল হক চৌধুরী, খুলনায় মনিরুজ্জামান মনি, বরিশালে আহসান হাবিব কামাল এবং রাজশাহীতে মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বিজয়ী হন। উজ্জীবিত হয় বিএনপি নেতা-কর্মীরা। দীর্ঘদিন পর সংসদের বাজেট অধিবেশনে যোগ দেয় বিরোধী দল। বাজেট অধিবেশনে অংশ নিয়ে সংসদকে প্রাণবন্ত করে তুলে বিরোধী দল।
সংসদে দীর্ঘ বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসন। জুনে একচ্ছত্র বিজয়ের পর জুলাই মাসে গাজীপুরেও বিজয়ী হয় বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী। ৬ জুলাই লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম এ মান্নান। জুলাই মাসে পুরো রমজানের ইফতার রাজনীতি করে বিএনপি। আগস্টের শেষ সপ্তাহে নির্বাচনকালীন সরকার ইস্যুতে সংলাপের জন্য সরকার ও বিরোধী দলের প্রতি আহ্বান জানান জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন।
সরকারের অনড় মনোভাবে আগস্টের শেষ সপ্তাহে নানা তৎপরতা শুরু করেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ ও কূটনীতিকরা। সেপ্টেম্বরের বিভাগীয় শহর ও কয়েকটি জেলা সফরে বের হন বিরোধী নেতা খালেদা জিয়া। ৯ সেপ্টেম্বর নরসিংদী দিয়েই শুরু হয় সে সফর। নানা মহল থেকে আসা ফর্মুলা যাচাই-বাছাই করে এ সময়ে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের একটি রূপরেখা প্রণয়ন করে দলটি। কিন্তু সরকারের অনড় অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে সিইসির সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক ফোনালাপ করেন খালেদা জিয়া।
তিনি সিইসিকে বিএনপির আদর্শ ও প্রতিষ্ঠাতার নাম ভাঙানো বিএনএফ নামের নতুন রাজনৈতিক দলটিকে নিবন্ধন না দেওয়া ও একতরফা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা না করার অনুরোধ জানান। এ সময় জাতিসংঘ অধিবেশন চলাকালে বাংলাদেশের চলমান সংকট উত্তরণে আলোচনায় বসার জন্য আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুটি প্রতিনিধি দলকে আমন্ত্রণ জানান। আলোচনায় সরকারের অনীহার কারণে বিএনপি নেতাদের অংশগ্রহণ বাতিল হয়।
৫ অক্টোবর খালেদা জিয়ার সিলেট সফরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ব্যাপক শোডাউন দেয় বিরোধী দল। সিলেটের জনসভা থেকে একদলীয় নির্বাচন প্রতিহত করতে সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটির ঘোষণা খালেদা জিয়া।
২১ অক্টোবর তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে বিকল্প প্রস্তাব দেন বিরোধী নেতা। ২৩ অক্টোবর খালেদা জিয়ার প্রস্তাবটি সংসদে আনুষ্ঠানিকভাবে উত্থাপন করেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার। ২৫ অক্টোবর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত মহাসমাবেশ থেকে সরকারের প্রতি আলোচনায় বসার দুই দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়ে ৬০ ঘণ্টার হরতাল ঘোষণা করেন। পরদিন ২৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় খালেদা জিয়াকে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শর্ত সাপেক্ষে দাওয়াত দিলেও সরকারের তরফে আর যোগাযোগ না করায় ইতিবাচক মানসিকতা দেখিয়েও গণভবনে যাওয়া হয়নি বিরোধী নেতার।
অক্টোবরে কয়েক দফা হরতালের পর নতুন কর্মসূচি হিসেবে দফায় দফায় টানা অবরোধের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয় বিরোধী দলে। ৩ নভেম্বর ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করে মহাসচিব পর্যায়ে আলোচনার প্রস্তাব দিলে সায় দেন খালেদা জিয়া। হরতালকে কেন্দ্র করে ৭ নভেম্বর রাত থেকে নজরদারি শুরু হয় বিরোধী নেতা খালেদা জিয়ার বাসভবন ঘিরে। পরদিন রাতে গ্রেফতার অভিযান শুরু করে পুলিশ। একে একে গ্রেফতার করা হয় বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, এম কে আনোয়ার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়াকে।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে গ্রেফতার করা হয় চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টু ও বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাসকে। ১৯ নভেম্বর ২০ সদস্যের প্রতিনিধি দল নিয়ে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিরোধী নেতা। এ সময় বারবার যোগাযোগ করে সৈয়দ আশরাফের সঙ্গে দুই দফায় কথা বলেন মির্জা আলমগীর। শেষে সরকারের অনড় অবস্থানের কারণে ২৬ নভেম্বর থেকে দফায় দফায় টানা অবরোধ কর্মসূচি দেয় ১৮ দল। অবরোধে সংঘটিত সহিংসতা ও পুলিশের গুলিতে দেশের বিভিন্ন জেলায় নিহত হন অর্ধশতাধিক বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মী।
৩০ নভেম্বর মধ্যরাতে মই বেয়ে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢুকে রিজভী আহমেদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রিজভী আহমদকে গ্রেফতারের পর থেকে গ্রেফতার আতঙ্কে নয়াপল্টন বিমুখ হয়ে পড়ে নেতা-কর্মীরা। নভেম্বরের শেষ ও ডিসেম্বরের প্রথম দুই সপ্তাহে সারা দেশে সাবেক এমপিসহ অর্ধশত নেতা-কর্মী নিখোঁজ হন। গ্রেফতার করা হয় ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা, ছাত্রদল সভাপতি-ভারপ্রাপ্ত সভাপতিসহ কয়েকজন নেতাকে। অবরোধের মধ্যেই বাংলাদেশে আসেন জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব অস্কার ফারনান্দেজ তারানকো।
তিনি সরকার ও বিরোধী দলের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেন। তারই উপস্থিতিতে সংলাপে বসেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুটি প্রতিনিধি দল। তবে অচিরেই সে সংলাপ ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। ২৪ ডিসেম্বর ৪ দফা নীতি কৌশলসহ এক ঘোষণায় ২৯ ডিসেম্বর জাতীয় পতাকা হাতে রাজধানী অভিমুখে মার্চ ফর ডেমোক্রেসি বা গণতন্ত্রের অভিযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া।
মহাজোট সরকারের প্রথম থেকে নানা অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় বিএনপির একাধিক কেন্দ্রীয় নেতাকে।
পরে কিছু নেতা মুক্তি পেলেও অনেকেই এখনো কারাভোগ করছেন। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এমপির বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নাসিরউদ্দিন আহম্মেদ পিন্টুর বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া মৃত্যুবরণ করেছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান রাজিয়া ফয়েজ, সাবেক দুই এমপি হেমায়ত উল্লাহ আওরঙ্গ, আবু লেইছ মবিন উদ্দিনসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের অর্ধশত নেতা।
অর্ধশত কারাবন্দী বিএনপির শীর্ষ নেতারা : বিভিন্ন মামলায় এ বছর গ্রেফতার হয়ে কারান্তরীণ রয়েছেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, এম কে আনোয়ার, আ স ম হান্নান শাহ, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা, হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টু, মীর মোহাম্মদ নাছিরউদ্দিন, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, মাহবুব উদ্দিন খোকন, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আকবর খন্দকার, সংসদ সদস্য শাম্মী আক্তার, সহ-ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, কেন্দ্রীয় নেতা বেলাল আহমেদ, রওশন আরা ফরিদ, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মীর সরফত আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল বারী, ছাত্রদলের সভাপতি আবদুল কাদের ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশীদ হাবিব, সিনিয়র সহসভাপতি বজলুর করিম চৌধুরী আবেদসহ অর্ধশত কেন্দ্রীয় নেতা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।