বাংলাদেশের বর্তমান অচলাবস্থা নিরসনে মার্কিন-বৃটিশ ও ভারতের দৌড়ঝাপ বেড়ে গেছে শেষ মুহুর্তে। এই দৌড়-ঝাপ দেখে শেথ হাসিনা মন্তব্য করেছেন ষড়যন্ত্র হিসেবে। নাগরিক সমাজ নির্বাচন বন্ধ করার জন্যও চেষ্টা চালাচ্ছেন যেটাকে হাসিনা ১/১১ এর কুশীলবদের সক্রিয়তা হিসেবে ইঙ্গিত দিয়েছেন।
সরকার যে কোন মূল্যে সরকার নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতায় থাকবে এবং আরো অত্যাচারী হবে। এই অত্যাচারী ভূমিকায় মার্কিন ও ভারত হাসিনা সরকারের ভূমিকার বিপক্ষে অবসস্থান নিতে বাধ্য হবে।
ভারতের পৃষ্ঠপোষকতায় ও মার্কিনীদের বিরোধিতায় সরকার কতদিন ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে তা দেখার বিষয়।
সবাই আশংকা করছে এই সহিংসতায় ও অচলাবস্থায় দেশে অসাংবিধানিক শক্তি ক্ষমতায় আসতে পারে। তার মানে-
ক. মার্কিনীদের তত্ত্বাবধানে দেশে সেনাবাহিনীর সহায়তায় তত্ববধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠিত করে নির্বাচন দিয়ে বিএনপিকে ক্ষমতায় নিয়ে আসা।
খ.সেনাবহিনীর মধ্যে যে ভারত বিরোধী শক্তি রয়েছে তারা মার্কিনীদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন না করলে তারা ইসলামী শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হিযবুত তাহরীরকে সমর্থন দিতে পারে খিলাফত বাস্তবায়নে। যেটাকে নাগরিক সমাজ মূলত উগ্রবাদীরা ক্ষমতায় আসতে পারে বলে প্রচার করছেন।
গ. 'র' এর প্রভাব যদি বেশি থাকে তাহলে সেনা বাহিনী মার্কিন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাধা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে দেশে অচলাবস্থা আরো দীর্ঘায়িত হবে এবং সহিংসতা আরো বাড়বে যেখানে মার্কিন ও ভারত শক্তি মিলে একটি সমাধানে পৌছবে। যেখানে তারা সম্মিলিতভাবে বিএনপিকে ক্ষমতায় নিয়ে আসবে যারা ভারত ও মার্কিনীদের সেবাদানে চুক্তিবদ্ধ থাকবে।
এর বাইরে কোন সমাধান আপাতত চোথে পড়ছেনা। সরকার ও বিরোধী দল যতই গণতন্ত্রের শ্লোগান দিক গণতন্ত্র আসলে মৃত।
এই মৃত গণতন্ত্রের দাফনই বাকি। এই মৃত গণতন্ত্র যেহেতেু সমাধান দিচ্ছেনা, ওপরের তিনটি অপশনের যে কোন একটিই হবে যাও অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হবে। মেদ্দাকথা সেনাবাহিনীই দেশের আশা ভরসার স্খল। তারা কী দেশের জনগণের আকাংখার প্রতিফলন ঘটাবে? এজন্য অপেক্ষা করতে হবে কিছুদিন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।