তফসিল স্থগিত নয়, এবার দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাতিলের দাবিতে আগামী ৫ জানুয়ারি ভোটের দিন পর্যন্ত টানা আন্দোলন কর্মসূচির দিকে যাচ্ছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোট। প্রথম দফায় কাল মঙ্গলবার থেকে আবারও সপ্তাহব্যাপী অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা দিতে যাচ্ছে বিরোধী দল। পর্যায়ক্রমে ৫ জানুয়ারি ভোট পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে। অবশ্য আগামী শুক্রবার এবং ২৫ ডিসেম্বর 'বড়দিন'-এ আন্দোলন কর্মসূচির আওতামুক্ত রাখা হতে পারে। আজ যে কোনো সময় প্রথম পর্যায়ে অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। এ দিকে তিন দফা বৈঠকে সংলাপের দ্বার উন্মোচিত না হওয়ায় জোটের নেতাদের আন্দোলনমুখী হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া। জানা গেছে, প্রথম দফায় অবরোধের পর আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত টানা অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেবেন বিএনপি চেয়ারপারসন। অসহযোগ কর্মসূচি চলাকালে ঢাকায় ১৮-দলীয় জোট নেত্রী বেগম জিয়ার নেতৃত্বে গণঅবস্থান করতে পারেন নেতা-কর্মীরা। দেশের সব বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোতেও কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে জোটের নেতা-কর্মীরা অবস্থান নেবেন। জানা যায়, দুই পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা নিয়ে গত শুক্রবার আওয়ামী লীগের সঙ্গে তৃতীয় দফা বৈঠকের পর সরকারের পক্ষ থেকে ইতিবাচক কোনো সাড়া পায়নি বিএনপি। তাছাড়া শীঘ্রই আবার বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও সরকার বিএনপিকে কিছুই জানায়নি। বরং বিএনপি জোটের আন্দোলনে আর কোনো ছাড় না দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে। এ ছাড়া আনুষ্ঠানিক সংলাপের দ্বার উন্মোচন করতে তফসিল স্থগিত রাখার পাশাপাশি শীর্ষ নেতাদের মুক্তির দাবিও উপেক্ষিত বলে মনে করে বিএনপি। ক্ষমতাসীনদের অনড় অবস্থানের কারণে বিএনপিও এখন আর সংলাপের পথে না হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংলাপে অংশ নেওয়া নেতাদের রাজপথে আন্দোলন কর্মসূচির মাধ্যমেই দাবি আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন বেগম জিয়া। জানা যায়, বিএনপি চেয়ারপারসন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে অসহযোগ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারেন। ঘোষণায় তিনি সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্ব পালন না করার আহ্বান জানাতে পারেন। একই সঙ্গে তাদের আন্দোলনে শরিক হওয়ার দাবি জানাবেন তিনি। তাছাড়া বেগম জিয়া সরকারবিরোধী সব রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনসহ দেশবাসীকে রাজপথে নামার আহ্বানও জানাবেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, সরকার সংলাপ-নাটক করছে। এ নিয়ে তাদের সদিচ্ছা থাকলে তফসিল স্থগিত করত। বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের মুক্তি দিত। কিন্তু এর কোনো আলামতই আমরা দেখছি না। তাই সমঝোতা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। আওয়ামী লীগের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেওয়া বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী জানান, 'সামনে কবে বৈঠক হবে তা আমিও জানি না। বৈঠক হলে অবশ্যই সবাই জানবে।' দেড় শতাধিক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর সংলাপ সমঝোতার সম্ভাবনা কতটুকু জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এ বিষয়ে আমি বলতে পারব না। দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলতে পারবেন।'
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।