নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়কের দাবিতে ঈদের পর কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে- এমন হুঙ্কার দিয়েও সরকারকে আবার এক মাসের সময় দিল বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোট। আগামী এক মাস বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা ছাড়াও রাজধানী ঢাকাসহ আট জেলায় ১৮-দলের উদ্যোগে জনসভা করবেন বিএনপি চেয়ারপারসনবেগম খালেদা জিয়া। কর্মসূচি ঘোষণাকালে গতকাল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, কোনো চাপে নয়, সরকারকে আমরা আরও সময় দিচ্ছি। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রথম জনসভা হবে ৭ সেপ্টেম্বর নরসিংদীতে। এরপর ১৫ সেপ্টেম্বর রাজশাহী, ১৬ সেপ্টেম্বর রংপুর, ২২ সেপ্টেম্বর খুলনা, ২৮ সেপ্টেম্বর বরিশাল এবং ৫ অক্টোবর সিলেটে জনসভা করবে ১৮-দল। তবে কোরবানি ঈদের পর ঢাকা ও চট্টগ্রামে জনসভা করবেন বিএনপি চেয়ারপারসন। ওই জনসভার তারিখ পরে ঘোষণা করা হবে বলে জানান ফখরুল। জানা যায়, ঢাকার সমাবেশ থেকেই ১৮-দল চূড়ান্ত কর্মসূচি ঘোষণা করবে।
মির্জা ফখরুল দলের নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমরা সহিংসতা চাই না। সরকারকে এখনো সময় দিচ্ছি। আমরা আশা করি, যারা দেশ ও জনগণের জন্য রাজনীতি করেন শেষ মুহূর্তে হলেও তাদের (সরকারের) শুভবুদ্ধির উদয় হবে। রাজনৈতিক সংকটের গভীরতা উপলব্ধি করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, অযথা একগুঁয়েমি আর সময় নষ্ট না করে জনগণকে স্বস্তি এবং মুক্তি প্রদানের জন্য নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংবিধানে সনি্নবেশিত করুন। এর আগে অনুষ্ঠিত ১৮-দলীয় জোটের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য ড. রেদোয়ান উল্লাহ শাহিদী, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ নেজামী, অ্যাডভোকেট আবদুল মোবিন, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, ড. রেদোয়ান আহমেদ, ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, খন্দকার আলমগীর মজুমদার, ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ প্রমুখ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।