আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফসলি জমিকে ভিটা দেখিয়ে কোটি টাকা আত্মসাৎ

কুষ্টিয়ায় কালেক্টরেটের এলএ শাখায় বিভিন্ন প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণে ব্যাপক জালিয়াতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধানি জমিকে ভিটা শ্রেণী দেখিয়ে অধিগ্রহণ করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র। বর্তমান জেলা প্রশাসক চার মাস আগে দোষীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে ভূমি সচিবকে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিলেও এখন পর্যন্ত বিষয়টি সেভাইে রয়ে গেছে। অনুসন্ধান জানা গেছে, ভেড়ামারা-খুলনা গ্যাস সঞ্চালন পাইপ লাইন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে জেলার ভেড়ামারা উপজেলায় ৩টি, মিরপুর উপজেলায় ১৪টি ও সদর উপজেলায় ১৪টিসহ মোট ৩১টি মৌজায় ২০০৯-১০ অর্থবছরে এলএ কেসের মাধ্যমে ৮৭ দশমিক ৪০ একর ভূমি অধিগ্রহণ এবং ২০১০-১১ অর্থবছরে ১৫২ দশমিক ৩০৭ একর ভূমি অস্থায়ীভাবে হুকুম দখল করা হয়। হুকুম দখল করা জমির বড় একটি অংশ ধানি থেকে ভিটা দেখিয়ে কোটি কোটি আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে।

২০১১ সালের ১০ জানুয়ারি তৎকালীন ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা, কানুনগো ও দুই সার্ভেয়ার সমন্বয়ে ৬.৫৯৪৯ একর জমি তদন্ত করে দাগ ভিত্তিক ধানি ও ভিটা শ্রেণীর চূড়ান্ত দাগ সূচি তৈরি করে প্রতিবেদন দেন। কিন্তু বর্তমান ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা চলতি বছরের ২৯ এপ্রিল সরেজমিন তদন্ত করে ওই জমির বেশির ভাগে ধান ও কিছু জমিতে আখ ক্ষেত পেয়েছেন। জগতি ইউনিয়ন ভূমি অফিসও যে তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছে তাতে অধিগ্রহণ করা জমি ধানি শ্রেণী হিসেবে রেকর্ডভুক্ত। জেলা প্রশাসনের তদন্ত প্রতিবদনে বলা হয়েছে, ৩ ধারার নোটিস জারির মাধ্যমে এক বছরের মধ্যে বটতেল মৌজায় বিক্রীত জমির দলিল সংগ্রহ করা হয়। ওইসব দলিলের মূল্যের ভিত্তিতে ২০১১ সালের ১১ সেটেম্বর মূল্যহার প্রতিবেদন ও ক্যালকুলেশন সিট তৈরি করেন তখনকার কর্মকর্তারা। মূল্যহার প্রতিবেদনসহ ৫০ ভাগ ক্ষতিপূরণসহ ধানি শ্রেণীর জমি একর প্রতি ১২ লাখ ৯৯ হাজার ৪৮০ টাকা ও বাড়ি শ্রেণীর মূল্য একর প্রতি নির্ধারণ করা হয় ৭৪ লাখ ৫১ হাজার ৫৬৮ টাকা। ৩ দশমিক ৩৯৩ একর জমি বাড়ি দেখানো হলেও এসব জমি ফসলি। এ ফসলি জমির বাজার মূল্য ৪৪ লাখ ৯ হাজার ১৩৫ টাকা। তবে বাড়ি দেখিয়ে ব্যয় দেখানো হয় ২ কোটি ৫২ লাখ ৮৩ হাজার ১৭০ টাকা। এতে সরকারের অর্থ গচ্চা গেছে ২ কোটি ৮ লাখ ৭৪ হাজার ৩৪ টাকা।

এছাড়া ২০১১-১২ অর্থবছরে ভেড়ামারায় কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্লান্ট বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণেও জালিয়াতির আশ্রয় নেওয়া হয়। ৪ দশমিক ৯০ একর জমি অধিগ্রহণে জমির মূল্য নির্ধারণ করা হয় ২ কোটি ২ লাখ ৩৪ হাজার ৫৫০ টাকা। বর্তমান জেলা প্রশাসক অধিগ্রহণকৃত জমির মূল্য নির্ধারণের জন্য পুনরায় একটি সমীক্ষা চালান। তিনি সরেজমিন যাচাই বাছাই করে একই জমির মূল্য নির্র্ধারণ করেন ৭৩ লাখ ৯৭ হাজার ২৪৫ টাকা।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.