যুক্তরাষ্ট্রে দিনকয়েক আগে অ্যানিমেটেড ছবি 'ফ্রজেন' বঙ্ অফিসেই রেকর্ড পরিমাণ অর্থ লাভ করেছে। ছবিটি তুষার নিয়ে তৈরি। তবে এবার ছবি নয়, দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা এখন পুরো তুষারের নিচে ঢাকা পড়েছে। বাড়িঘর, দোকানপাট, রাস্তাঘাট, পুকুর-নদী সব বরফের নিচে। যেদিকে চোখ যায় শুধু শ্বেতশুভ্র তুষার। আর এর পুরুত্ব দুই ফুট ছড়িয়েছে।
এ অবস্থায় দেশটির কয়েকটি রাজ্য ও কানাডার অনেকাংশের মানুষ বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না। সরকারিভাবে সবাইকে ঘরে থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে। সবাইকে পর্যাপ্ত খাবার মজুদ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রবল শৈত্যপ্রবাহের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক এলাকার তাপমাত্রা রেকর্ড মাত্রায় নেমে গেছে। ফলে নতুন বছরের শুরু থেকেই মেরু অঞ্চল থেকে ধেয়ে আসা প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় কাবু লাখ লাখ মার্কিন নাগরিকের জীবন আরও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মিনেসোটা ও উইসকনসিনের কিছু এলাকায় তাপমাত্রা মাইনাস ৫০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড পার করেছে। এ ছাড়া শৈত্যপ্রবাহের এ ধারা অব্যাহত থাকলে গত ২০ বছরের মধ্যে দেশটিতে সবচেয়ে বেশি শীত পড়ার রেকর্ড হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় তুষারঝড়ের কারণে এরই মধ্যে দুই ফুট পর্যন্ত বরফ জমে গেছে। বন্ধ রাখা হয়েছে তুষারকবলিত এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও। সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, টেনেসির ন্যাশভিলে এলাকার সব স্কুল বুধবার পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। ওইসব স্কুলে শীতকালীন ছুটি সোমবারই শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ছাত্রছাত্রীদের ঠাণ্ডার কামড় থেকে বাঁচাতেই প্রশাসনের এ সিদ্ধান্ত। এদিকে শৈত্যপ্রবাহের কারণে গত কয়েক দিনে ১৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন। পাশাপাশি বিমানের তিন হাজার সাত শর বেশি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
শিকাগো ও পিটার্সবার্গের তাপমাত্রা গতকাল যথাক্রমে মাইনাস ২৯ ও ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে ওঠানামা করে। আজ মিনেসোটা ও উইসকনসিনে তাপমাত্রা পেঁৗছাতে পারে মাইনাস ৫০ থেকে ৬০ ডিগ্রির আশপাশে।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, এটি প্রায় অবিশ্বাস্য পরিস্থিতি। এ রকম অবস্থায় খোলা চামড়ায় পাঁচ মিনিটের মধ্যে ফ্রস্টবাইটে (তুষার কামড়) ত্বকে প্রদাহ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে জাতীয় আবহাওয়া দফতর থেকে বলা হয়েছে, এটি দীর্ঘস্থায়ী হবে না। সপ্তাহের শেষ দিকে পুরো দেশের তাপমাত্রা সহনশীল হয়ে উঠবে। উল্লেখ্য, ১৯৪৭ সালে কানাডার ইউকোন প্রদেশে তাপমাত্রা ৬৩ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে নেমে যায়। বিবিসি, এএফপি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।