নতুন বছরের শুরুতে দেশের সব শিক্ষার্থীর হাতে বই তুলে দেওয়ার ঘোষণা থাকলেও এখন পর্যন্ত এ থেকে বঞ্চিত রয়েছে বরিশাল বিভাগের মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা। শিক্ষা কর্মকর্তারা মাধ্যমিক পর্যায়ে ৯০ ও মাদ্রাসার ৪০ ভাগ শিক্ষার্থীর মাঝে নতুন বই তুলে দেওয়ার দাবি করলেও বাস্তবতা সম্পূর্ণ বিপরীত। এর মধ্যে দাখিল পর্যায়ে নতুন বই বিতরণ শূন্যের কোঠায়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বরিশাল বিভাগে মাধ্যমিক পর্যায়ে বইয়ের চাহিদা ৭৭ লাখ ৫৮ হাজার ৭৯৫। এর মধ্যে বরিশাল জেলায় ২৪ লাখ ৪৯ হাজার ৩৮৯, ঝালকাঠিতে ৭ লাখ ১৪ হাজার ৪৪৯, পটুয়াখালীতে ১৩ লাখ ৪৩ হাজার ৮৮১, বরগুনায় ৮ লাখ ৭০ হাজার ৫৬৫, পিরোজপুরে ১০ লাখ ৬০ হাজার ২৫১ ও ভোলা জেলায় ১৩ লাখ ২০ হাজার ২৬০।
বরিশাল জেলার ২৩৬টি মাদ্রাসার একটিতেও নতুন বই পেঁৗছায়নি। একইভাবে ঝালকাঠির ১২৩টি ও বরগুনার ১৩২টি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা এখন পর্যন্ত নতুন বই বঞ্চিত।
পটুয়াখালী, পিরোজপুর ও ভোলা জেলায় দাখিল পর্যায়ে কিছু বই সরবরাহ হলেও তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। বরিশাল জেলায় দাখিল পর্যায়ে ৫ লাখ ৮৫ হাজার ৪২৩, ঝালকাঠিতে ২ লাখ ৫১ হাজার ৩০৮, বরগুনায় ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৮৬৫ চাহিদার বিপরীতে একটি বইও দেওয়া হয়নি। আর পটুয়াখালীতে ৬ লাখ ৬০ হাজার বইয়ের বিপরীতে ২ লাখ ৫৮ হাজার ৭৩ ও
ভোলায় ৮ লাখ ৭২ হাজার ২৭০ চাহিদার বিপরীতে ৪৪ হাজার ৬০০টি বই সরবরাহ করা হয়েছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের বরিশাল বিভাগীয় উপপরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মাধ্যমিকে চাহিদার ৯০ ভাগ বই পেয়েছেন, যার বেশির ভাগ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে। ছাপাখানায় দেরিতে যাওয়ায় মাদ্রাসার বই আসতে বিলম্ব হচ্ছে। তবে খুব শীঘ্রই মাদ্রাসার বই এসে পড়বে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।