তবে প্রতিবছর আনুমানিক ১০ কোটি হাঙর শিকার করা হচ্ছে বলে সম্প্রতি সামুদ্রিকনীতির ওপর প্রকাশিত এক জার্নালের একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।
প্রকাশিত প্রতিবেদনের গবেষকরা জানিয়েছেন, প্রতিবছর প্রায় ১০ কোটি হাঙর বাণিজ্যিকভাবে শিকার করা হচ্ছে। আর এই বিপুলসংখ্যক হাঙর শিকার পরিবেশের জন্য একটি বড় আঘাত।
এছাড়া, অপরিকল্পিত ভাবেও হাঙর শিকার বেড়ে যাওয়ায় এ সামুদ্রিক এই প্রাণীটির বংশ বিস্তারও বাঁধার সম্মুখীন হচ্ছে।
হাঙরের পাখার স্যুপ অত্যন্ত জনপ্রিয় হওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে এর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।
ফলে অবধারিতভাবে হাঙর শিকারও বাড়ছে।
চীনা সম্প্রদায়গুলোতে হাঙরের পাখার স্যুপ এর চাহিদা সারা বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় সবচেয়ে বেশি। এ কারণে হাঙরের পাখাগুলো মূল্যবান এবং এর দাম বেশি থাকায় শিকারীদের কাছে হাঙর একটি মূল্যবান শিকারে পরিণত হয়েছে।
এদিকে, ২০১০ সালেই প্রায় সাড়ে ৬ কোটি থেকে থেকে সাড়ে ২৭ কোটি হাঙর শিকার করা হয়েছে বলে কোন কোন বিজ্ঞানী উল্লেখ করেছেন। ফলে প্রতিবছর ১০ কোটি হাঙর শিকারের পরিসংখ্যান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের স্টোন ব্রুক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ডেমিয়েন চপম্যান জানিয়েছেন, ১০ কোটি হাঙর শিকারের পরিসংখ্যানটি যথেষ্ঠ নির্ভরযোগ্য।
সারা বিশ্বে হাঙর শিকার খুবই ঝুঁকিপূর্ণ এবং ঠিক কত সংখ্যক হাঙর শিকার করা হচ্ছে তার সঠিক সংখ্যা বের করাও কষ্টকর। কারণ অনেক সময় সাগরেই হাঙর শিকার করে এর পাখা কেটে বাকি অংশটুকু ফেলে দেয়া হয় এবং সেগুলোর কোনো উল্লেখ নথিপত্রে থাকে না। আর তাই এর সঠিক সংখ্যাটিও নির্ণয় করা যায় না বলে প্রকাশিত জার্নালে দাবি করেছেন গবেষকরা।
এদিকে, পরিবেশ এবং হাঙর রক্ষার্থে কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন অঞ্চলের দেশসমূহ এ ব্যাপারে কঠোর আইন প্রণয়নের বিষয়টি বিবেচনা করছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।