কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে স্বামী-স্ত্রীসহ একই পরিবারের পাঁচজনকে জবাই করে হত্যার পর বাড়ির মালামাল লুট করা হয়েছে। এ নৃশংস ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার গভীর রাতে ভারত সীমান্ত সংলগ্ন ভুরুঙ্গামারী উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নের দিয়াডাঙ্গা গ্রামে। অন্যদিকে একই রাতে পাশর্্ববর্তী কচাকাটা থানার সরদার মোড়ে ধানক্ষেত থেকে মাদ্রাসা শিক্ষক নইমুদ্দীনের ছেলে সাবু কবিরাজের (৩৮) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত প্রায় ৩টায় পাথরডুবি ইউনিয়নের দিয়াডাঙ্গা গ্রামের কৃষক সুলতান উদ্দীনের (৬০) বাড়িতে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা সিঁধ কেটে ঘরে প্রবেশ করে জমিজমার কাগজপত্র, স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা-পয়সা লুট করে এবং গৃহকর্তা সুলতান উদ্দীন (৬০), তার স্ত্রী হাজেরা (৪৫), নাতনি আনিকা (৭), ভাগি্ন রুমানাকে (১৫) জবাই করে হত্যা করে। এ সময় মেয়ে মৌসুমী (১৫) দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মারাত্দক জখম হয়। তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকালে তার মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে। নিহত সুলতানের আদি নিবাস ভারতের কুচবিহার জেলার দিনহাটা মহকুমার শালমারা অঞ্চলের ছোট গারাঝোড়া গ্রামে। কুড়িগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সঞ্জয় কুমার কুণ্ড ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে নিহত সুলতান উদ্দিনের ভাতিজা মমিনুল ইসলাম জানান, এটি শুধুই চুরি নয়, দুর্বৃত্তরা পরিকল্পিতভাবে ওই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। অন্যদিকে একই রাতে পাশর্্ববর্তী কচাকাটা থানার সরদার মোড়ে পাকা রাস্তার অদূরে ধানক্ষেত থেকে মাদ্রাসা শিক্ষক নইমুদ্দীনের ছেলে সাবু কবিরাজের (৩৮) লাশ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার রাতে কে বা কারা সাবু কবিরাজকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ রেখে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে ভুরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ এএইচএম মাহফুজ বলেন, হত্যাকাণ্ড দুটি পূর্বপরিকল্পিত। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।