গতকাল থেকে শুরু হয়েছে নবম জাতীয় সংসদের শেষ অধিবেশন। সংসদ বর্জনে রেকর্ড স্থাপনকারী বিরোধী দল নবম সংসদের শেষ অধিবেশনের প্রথম দিনে যোগ না দিলেও চলতি অধিবেশনে তাদের যোগদান এবং অংশগ্রহণ অনেকটাই নিশ্চিত বলে আভাস দেওয়া হয়েছে। বিরোধী দল বিগত অধিবেশনেও যোগ দিয়েছিল এবং তাদের অংশগ্রহণের সুবাদে প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছিল সংসদ। সংসদের চলতি অধিবেশনের দিকে পুরো জাতি নজর রাখছে। দশম সংসদ নির্বাচন কীভাবে হবে সে প্রশ্নে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে সমঝোতা প্রতিষ্ঠার সুযোগ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে সংসদের চলতি অধিবেশনটি। দশম সংসদ নির্বাচন কীভাবে অনুষ্ঠিত হবে তা নিয়ে সুস্পষ্ট মতপার্থক্য বিরাজ করছে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে। সরকার চায় সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে। অন্যদিকে বিরোধী দল নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবি করছে। বিরোধী দলের দাবি অনুযায়ী দশম সংসদ নির্বাচন করতে হলে সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন হবে। চলতি অধিবেশন সে ক্ষেত্রে শেষ সুযোগ বলে বিবেচিত হবে। সরকার অবশ্য বলে আসছে তারা সংবিধানের বাইরে কোনো সমঝোতায় যাবে না। সংবিধানের আওতায় বিরোধী দল প্রস্তাব দিলে সরকার সে ক্ষেত্রে সমঝোতার কথা বিবেচনা করবে। সংবিধান বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমান সংবিধানের আওতায়ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার গঠন করা সম্ভব। সংসদে যোগ দিয়ে বিরোধী দল এ সংক্রান্ত প্রস্তাব আনতে পারে। স্মর্তব্য, সংবিধান অনুযায়ী আগামী ২৭ অক্টোবর থেকে ২৪ জানুয়ারির মধ্যে দশম সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা। এ সময় সংসদ বহাল থাকলেও কোনো অধিবেশন হবে না। ফলে সমঝোতার জন্য চলতি অধিবেশন শেষ সুযোগ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সমঝোতা না হলে অর্থাৎ বিরোধী দলের অনুপস্থিতিতে একক নির্বাচন হলে সংঘাত দানা বেঁধে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ আশঙ্কা রোধে সরকার ও বিরোধী দল চলতি অধিবেশনে উদ্যোগী ভূমিকা রাখবে জাতি তেমনটিই দেখতে চায়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।