'জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য হয়ে কৃষকের সন্তান যোগ দিলেন এবং এটি সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার মহানুভবতার পরিপ্রেক্ষিতে'-এ তথ্য প্রকাশ করেন শেরপুর জেলা সদর থেকে সরকারদলীয় এমপি আতিউর রহমান আতিক। ১৯৯৬ সাল থেকে তিনি ৩টি নির্বাচনে ওই এলাকা থেকে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকে। ৬৮তম সাধারণ অধিবেশনে যোগদানের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সফরসঙ্গীদের অনেকেই বাংলাদেশে ফিরে গেছেন ২৯ সেপ্টেম্বর সকালে (বাংলাদেশ সময় সোমবার সকাল)। আতিক অতিরিক্ত দুই দিন অবস্থান করলেন শেরপুরের প্রবাসীদের সঙ্গে মতবিনিময় করার জন্য। তিনি ঢাকার উদ্দেশ্যে নিউইয়র্ক ত্যাগ করেন ১ অক্টোবর সকালে (বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যায়)। খবর এনার। শেরপুর জেলা সমিতি তাকে বিপুলভাবে সংবর্ধিত করেছে ২৯ সেপ্টেম্বর। জ্যাকসন হাইটসে কাবাব অ্যান্ড কিং পার্টি হলে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কৃষকের সন্তান হিসেবে আজকের পর্যায়ে আরোহণের বিস্তারিত ইতিহাস বিবৃত করেন। তিনি বলেন, ১৯৬৯ সালে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র ছিলাম। সে সময়েই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেই। এরপর একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ১১ নম্বর সেক্টরের কনিষ্ঠতম মুক্তিযোদ্ধা ছিলাম। তিনি বলেন, ছাত্রলীগ, যুবলীগ হয়ে এখন শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি। ১৯৯৬ সালে এমপি হওয়ার আগে শেরপুর সদর উপজেলার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন আতিক। দুই বছর পরই এমপি পদে প্রার্থী হয়ে জিতে যান। তিনি বলেন, জনপ্রতিনিধি হিসেবে গত ১৭ বছরে কারও কোনো কাজে তদ্বিরের জন্যে এক কাপ চা পর্যন্ত পান করিনি। আতিক তার রাজনৈতিক গুরু বেগম মতিয়া চৌধুরীর কথা বলতে গিয়ে বলেন, 'সকালে ঘর থেকে পেট ভরে ভাত খেয়ে বের হই। লোকজনকে বলি যে, রোজা রেখেছি। এভাবেই নির্বাচনী এলাকার মানুষের পাশে রয়েছি। মানুষের ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, আশীর্বাদ এবং আস্থা রয়েছে বলে বারবার জয়ী হতে পারছি।' আতিক বলেন, দিন-রাত ২৪ ঘণ্টাই এলাকার মানুষের পাশে রয়েছি। এটি আমার বড় অঙ্গীকার। তার এলাকার পুরো অংশই চর অর্থাৎ কোনো ইউনিয়নের সঙ্গেই জেলা সদরের যোগাযোগ ছিল না। সে ধরনের অসহনীয় অবস্থা থেকে রক্ষা পেয়েছেন এলাকাবাসী। প্রতিটি ইউনিয়ন সদরের সঙ্গে জেলা সদরের পাকা রাস্তা হয়েছে- উল্লেখ করেন আতিক। তিনি দাবি করেন, থানা-পুলিশে তদ্বির করি না কিংবা জেনেশুনে কারও ক্ষতিও করিনি। এখন পর্যন্ত স্ত্রী এবং সন্তানদের কোনো পাসপোর্ট করিনি। অথচ তারাও লাল পাসপোর্টের যোগ্য- বলেন আতিক। আতিক বলেন, আমার প্রতিষ্ঠিত কলেজে দিনমজুর, ঠেলাগাড়িচালক এবং গরিব কৃষকের সন্তানরা ফ্রি শিক্ষা নিতে পারে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের ছাত্রদের জন্যে ১১০টি সাইকেল রয়েছে। 'এমপি হচ্ছেন জনগণের সম্পদ, তাই ব্যক্তি প্রয়োজন রয়েছে এমন কারও এমপি হওয়ার প্রয়োজন নেই'- মন্তব্য আতিকের। এ সংবর্ধনা সভায় সভাপতিত্ব করেন অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা শেরপুর জেলা সমিতির নেতা আবুল কাশেম লেবু এবং পরিচালনা করেন সুব্রত সাহা লিপন। আতিক এমপির সার্বিক সাফল্য কামনা এবং ভবিষ্যতে তিনি মন্ত্রী হিসেবে নিউইয়র্ক আসবেন এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বক্তব্য রাখেন মনির হোসেন, নাহিদ রায়হান লিখন, জসীমউদ্দিন, আক্তারুজ্জামান, আনোয়ার হোসেন, এ বি সিদ্দিক, ফারুক মিয়া এবং লাবলু আনসার। শুরুতে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানায় ছোট্টমনি আমিয়া সিমি এবং ইফফাত। এরপর তাকে স্ট্যাচু অব লিবার্টির প্রতীক ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।