তিনি বলেছেন, “দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে চীন। দেশটির প্রচুর অংকের সঞ্চয় রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বড় দেশে চীনের বিনিয়োগ রয়েছে। চীনকে ছাড়া এখন বিশ্ব অর্থনীতি ভাবাই যায় না। ”
এসব বিবেচনায় নিয়েই অর্থনীতির আকারে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে বিশ্বের শীর্ষস্থানটি নিতে যাওয়া চীনকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে বলে জানান মুহিত।
বৃহস্পতিবার জাপানের উন্নয়ন সহায়তা সংস্থা জাইকার বিদায়ী মিশন প্রধান তাকাও তোদার সঙ্গে বৈঠকের পর উন্নয়নে চীনমুখিতার কথা সাংবাদিকদের বলেন মুহিত।
যমুনা নদীতে রেল সেতুসহ বেশ কিছু বড় প্রকল্পে চীন অর্থায়ন করতে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “কাজেই এই মুহূর্তে বাংলাদেশের উন্নয়নে জাপানের সাথে সাথে সবচে বেশি প্রভাবশালী হয়ে উঠছে চীন। ”
বাংলাদশের বৃহত্তম উন্নয়ন সহযোগী দেশটির প্রতিনিধি তাকাও টোদা মুহিতের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের বলেন, অতীতের মতোই বাংলাদেশের উন্নয়নে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে জাইকা।
পদ্মা সেতুর অর্থায়নে জাইকা ফিরে আসবে কি না- এই প্রশ্নের সরাসরি উত্তর না দিয়ে তিনি হেসে বলেন, “পদ্মা সেতু হলে আমি বাংলাদেশে আসব। নিজে এই সেতুর ওপর দিয়ে গাড়ি চালাব।
”
প্রায় ৫ বছর বাংলাদেশে দায়িত্ব শেষে শুক্রবার ফিরে যাচ্ছেন জাইকার আবাসিক পরিচালক তাকাও তোদা। তার স্থানে এসেছেন মিকিও হাতায়েদা।
চীন প্রসঙ্গে মুহিত আরো বলেন, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক সব সময়েই বন্ধুত্বপূর্ণ। নব্বইয়ের দশকে চীন-মৈত্রী সেতুসহ ছয়টি সেতু, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রসহ বেশ কয়েকটি বড় প্রকল্পে অর্থায়ন করেছে দেশটি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।