Lead us from the unreal to the real; From darkness into light; From death into immortality
; আমি খুব বেশি জায়গায় ঘুরে বেড়াতে পারিনি। তবে এর মাঝে আমার দাদুবাড়িতে যাওয়ার অভিজ্ঞতা সব থেকে চমৎকার। আমাদের দেশে 'রকেট সার্ভিস' নামে এক ধরনের 'ষ্টীমার সার্ভিস' আছে, যা মূলতঃ ঢাকা থেকে মোড়লগঞ্জ পর্যন্ত চলাচল করে। লঞ্চ আর এই 'ষ্টীমার সার্ভিস' এর মাঝে মূল তফাত হল এটা প্যাডেল বোট টাইপের। এর পাখা দুটো দুই পাশে।
এর কেবিন গুলো বেশ সুন্দর। অভিজাত ভাব এবং জমিদারী ঢঙ্গের। প্রথমশ্রেণীর কেবিনগুলোর মাঝে বিরাট এক ডাইনিং টেবিল আছে, যেখানে অনেক মানুষজন মিলে খাওয়া দাওয়ার মজাই আলাদা। প্রথম শ্রেণীর কেবিনগুলো দো'তলায় এবং একদম সম্মুখভাগে। শীতকালে রাতের বেলায় কুয়াশার মাঝে এখানে বসে থাকতে যে কিরকম ভাল লাগে! তা বলে বোঝানোর নয়! আমি একজনকে ফোনে সেই বসে থাকার/ভাল লাগার গল্প বলেছিলাম।
একজনের ভাল লাগা যে খুব সহজেই আরেকজনের ভাল লাগাকে স্পর্শ করতে পারে তা সেদিন বুঝেছিলাম। ফোনে কান্নার শব্দ ভেসে আসছিল! মানুষ আসলে অজাগায় এবং অকারণ আবেগপ্রবণ।
যাইহোক আমি যেহেতু ভোজনরসিক মানুষ তাই অবশ্যই খাওয়া-দাওয়ার কথা বলতে চাই। কেবিনগুলোতে যে খাওয়া পরিবেশন করা হয় তা অতি চমৎকার। অবশ্য পানিতে ভ্রমণকালীন পেটে ক্ষুধা'র উদ্রেক ও বেশি হয়! তাদের রান্না করা মুরগির মাংস, সবজি আর ভাত যেন অমৃত! বিকেলের নাস্তা হিসেবে ফিশ কাটলেট আর চা এর কোন তুলনা নেই।
সকাল বেলা পাউরুটি আর চিকেন ফ্রাই খেতেও অতুলনীয় লাগে। তবে 'ঝালকাঠি' তে স্টিমার পৌঁছালে নৌকাতে করে কিছু মানুষ ডাব বিক্রি করে। আহা! পানিতে বসে ডাবের পানি'র তুলনা! হয় না, হবেও না।
একটা সময় এটা ছিল আমার স্বপ্নের 'ভ্রমণ। ' সময়ের সাথে মানুষ বদলায়, স্বপ্ন বড় হয়।
আল্লাহ তৌফিক দিলে এখন 'হজ্জে' আর 'লাদাকে' যাইতে চাই। আপনারা দোয়া রাখবেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।