পেশাদার চালকদের জন্য লাইসেন্স নবায়নের ক্ষেত্রে যোগ্যতা পরীক্ষার শর্ত শিথিল করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) জারি করা সার্কুলারের কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী এবং বিচারপতি মো. হাবিবুল গণির সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে ড্রাইভিং কম্পিটেন্সি টেস্ট বোর্ডের পরিবর্তে গাড়ি পরিদর্শককে দেওয়া পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নের ক্ষমতার বিষয়ে ৩১ ডিসেম্বরের চিঠি কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তার কারণ জানতে চেয়েছেন আদালত। দুই সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র ও যোগাযোগ সচিব, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান, বিআরটিএর পরিচালক (প্রকৌশল), হাইওয়ে পুলিশের উপমহাপরিদর্শক, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (ট্রাফিক), বিআরটিএর সহকারী পরিচালক (প্রকৌশল) এবং বিআরটিএর গাড়ি পরিদর্শককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। গত ৩১ ডিসেম্বর বিআরটিএ ওই সার্কুলার জারি করে। এতে লাইসেন্স নবায়নের ক্ষেত্রে ড্রাইভিং কম্পিটেন্সি টেস্ট বোর্ডের পরীক্ষার পদ্ধতি পাশ কাটিয়ে একজন পরিদর্শকের মাধ্যমে লাইসেন্স নবায়নের সুযোগ দেওয়া হয়। এ বিষয়টির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে এ রিট দায়ের করা হয়। সার্কুলারে বলা হয়, মোটরযান অধ্যাদেশ অনুসারে পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নে পরীক্ষাগ্রহণ করতে হয়। বর্তমানে ড্রাইভিং কম্পিটেন্সি টেস্ট বোর্ড এ পরীক্ষা নেয়। যা আইনে বাধ্যতামূলক নয়।
মেয়াদ শেষে ১৫ দিনে এই নবায়নের বিধান থাকলেও ওই বোর্ড কোনো জেলায় মাসে একবার আবার কোনো জেলায় দুই-তিন মাসে একবার বসে। এতে নবায়নকালে চালকদের জরিমানা পরিশোধসহ সময়ক্ষেপণ এবং জটিলতা সৃষ্টি হয়। এ কারণে ওই পরীক্ষা মোটরযান পরিদর্শক গ্রহণ করবে। আইন ও অধ্যাদেশের সব শর্ত পূরণ করে লাইসেন্স নবায়ন করবে। আদালতে রিটের পক্ষে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোখলেসুর রহমান।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।