বৃহস্পতিবার দুপুরে আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও চট্টগ্রাম মহানগর পিপি কামাল উদ্দিন একথা বলেন।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “এ মামলাকে সাধারণ কোনো মামলা হিসেবে দেখার সুযোগ নেই। এটি নজিরবিহীন ঘটনা ও স্পর্শকাতর মামলা। এ বিবেচনায় আদালত তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি দিয়েছে। ”
আইনজীবী কামাল বলেন, “এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ যেসব সাক্ষী উপস্থাপন করেছে তা বিশ্বাসযোগ্য ও অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এই ১৪ জন আসামিকে অস্ত্র ও চোরাচালান মামলায় সার্বোচ্চ শাস্তি দিয়েছে।
”
২০০৪ সালের ১ এপ্রিল রাতে চট্টগ্রামের সিইউএফএল জেটিঘাটে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র আটকের ঘটনায় অস্ত্র চোরাচালানের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর আমির ও জোট সরকারের শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী এবং বিএনপি নেতা ও তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৪ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে এনএসআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আবদুর রহীম এবং ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়াও রয়েছেন।
রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত হয়ে এ মামলার রায় হয়েছে বলে আসামিপক্ষের অভিযোগ নাকচ করে পিপি বলেন, “এ ঘটনায় যারা সাক্ষ্য দিয়েছেন তারা তৎকালীন সরকারের অধীনস্থ উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা। এটা রাজনৈতিক হয়রানির মামলা নয়। ”
তিনি বলেন, এসব অস্ত্র ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার জন্য আনা হয়েছিল বলে তদন্তে বেরিয়ে এসেছে।
অস্ত্রগুলো ধরা না পড়লে ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদর হাতে যেত অথবা দেশে থাকলে একটা সংকট তৈরি হতো।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।