বৃহস্পতিবার আদালতের দেয়া রায়ের প্রতিক্রিয়ায় দলের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “সরকার তার অঙ্কিত ছকে বিচারের নামে প্রহসনের আয়োজন করে দেশের বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংসের যে ষড়যন্ত্র করছে, আজকের রায়ের মাধ্যমে তার আর এক ধাপ পূরণ হল মাত্র। ”
জামায়াত আমির নিজামী শিল্পমন্ত্রী থাকার সময় ২০০৪ সালে চট্টগ্রামে কর্ণফুলি সার কারখানার জেটিঘাটে ১০ ট্রাক সমপরিমাণ অস্ত্র আটক হয়, যা সরকারের উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিদের গোচরে ভারতের বিদ্রোহী সংগঠন উলফার কাছে পাঠানো হচ্ছিল বলে প্রমাণিত হয়েছে।
বিবৃতিতে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ বলেন, “সরকার তার পরিকল্পনা মোতাবেক দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক নেতৃত্বকে হত্যা করে দেশকে নেতৃত্বশূন্য করার যে ষড়যন্ত্র করছে, এ রায় তার একটি অংশ মাত্র। ”
জামায়াত আমির নিজামী যুদ্ধাপরাধের মামলায়ও অভিযুক্ত, ওই অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়ে দলটির শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন নেতার মৃত্যুদণ্ডাদেশ হয়েছে, একজনের দণ্ড কার্যকরও হয়েছে।
মকবুল বলেন, মামলার এফআইআর-এ মতিউর রহমান নিজামীর নাম ছিল না।
২০০৪ সালের ১১ জুন প্রথম চার্জশিটেও তার নাম ছিল না।
২০০৫ সালে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর পর ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে মামলার অধিকতর তদন্তের আবেদন করা হয়, যাতে সায় দেয় আদালত। অভিযোগ রয়েছে, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে তদন্ত বাধাগ্রস্ত করা হয়েছিল।
“সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক ২০১১ সালের ২৬ জুন দুটি মামলায় অধিকতর তদন্ত শেষে মতিউর রহমান নিজামীকে অভিযুক্ত করে সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার নীল নকশা বাস্তবায়নের জন্য চার্জশিট জমা দেয়া হয়। ”
“সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক, কথিত চোরাচালান ও অস্ত্র মামলায় মৃত্যুদণ্ডের যে রায় ঘোষণা করা হয়েছে, তা নজিরবিহীন।
এ রায়ে আমরা ব্যথিত, স্তম্ভিত এবং বিস্মিত,” বলেন মকবুল।
নিজামীকে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে দাবি করে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির বলেছেন, তারা আইনগতভাবে ও রাজনৈতিকভাবে সরকারের ‘ষড়যন্ত্র’ মোকাবেলা করবেন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।