আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কবিতাঃ ব্যবচ্ছেদ! মাঝরাত!

আমি শিক্ষানবীশ এবং কর্মী । সবার কাছ থেকেই শিখছি । সারা জীবনই হয়ত শিখে যাব।

অবিন্যস্ত ব্যথার সুর
সব ধমনী ঘুরে হতাশ যুবকের বুকে
নীল রঙের ধোঁয়া হয়ে ঠাঁই পেল।
সমান্তরাল রেললাইনে সবুজ পতাকার অপেক্ষায়
ষোড়শীর অপ্রাপ্ত ভালবাসা পূর্ণতার আশায় ডুকরে কাঁদে
পুরোটা রাত জুড়ে, হয়ত খানিক থামে, তারপর আবার-
বিচ্ছিন্ন গণিত হয়ে জীবন লাল কালির দাগে
আর এগোতে পারল না এবারের মত।



ভালবাসা, সে তো না পড়া খবরগুলোর মতই-
কখনও কখনও গুরুত্ব নিয়ে পড়া হলেও শেষমেশ অই আধার
কাগজওয়ালা থেকে হকারের ঝালমুড়ির ঠোঙা, আর যাওয়ার জায়গা কই?
এলোমেলো বিজ্ঞাপণের কথাগুলো দিয়ে কবিতা লিখতে খুব ইচ্ছে হয় কারও
হয়ত আমারই, কিংবা ঘুমের ভান করে থাকা আমার পাশের বন্ধুটির-
সস্তা হলেও চলবে, সাদাকালো, এক কলাম আর তিন ইঞ্চির একটা বিজ্ঞাপন
কিন্তু এমন একটা শীর্ণ কবিতাও আর রেললাইন ধরে হাঁটে না।

ব্যথাগুলো, উড়তে যেয়ে থমকে থাকা ধোঁয়াগুলো,
কিংবা বালিশের যেটুকু জায়গা চোখের জলে ভিজল, তার সব, সবই-
দূর কোন স্টেশনে ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে আছে কত শতরাত থেকে।
কেউ নেই এমন বাঁচাবার, কিংবা যদি একটা সংকেত পাঠাতো জংশনে!

আজকের শেষরাতে হয়তবা শেষ হর্ণটিও বাজানো হয়ে যাবে
অনেকগুলো ঝরা পাতা কেঁপে উঠবে লাল চোখের বিরক্তি নিয়ে
ঘাসের সাথে মিশে যাওয়া ধূলোরা অনেকদিন পর আনন্দে উড়বে কিছুক্ষণ
কিন্তু অই কিছুক্ষণ। তারপর সব চুপ-
কোন বিরক্তি নেই, কোন আনন্দ নেই, কোন ব্যথা-কান্না
নীল রঙের ধোঁয়া, কিছুই নেই, থাকবে না আর কোনদিন।

অল্প অল্প করে থেমে যাওয়াই হয়ত ভুল হয়েছে এতকাল ধরে
গণিত, লালকালি, ওসব কিছুর দরকার ছিল না এমন বিকট হৃদস্পন্দন বুঝতে
অথবা আঙুলের ফাঁকে আঙুলগুলো চালিয়ে সে কয়েকফোঁটা চোখের পানি
আরেক হাত দিয়ে খুব সহজেই মুছে দেয়া যেত।


অতকিছুর দরকার ছিল না রেললাইন ধরে হাঁটতে
আর বেশিকিছুর দরকারও নেই ধোঁয়া হয়ে উড়ে যেতে
কারও কারও পাখি হয়ে ওড়ার জন্য আকাশ থাকে না যে!


২৬/০১/১৪

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।