অজ্ঞাত রোগে ঠাকুরগাঁওয়ের একটি আদিবাসী গ্রামে ৪৮ ঘণ্টায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এর ১৫ দিন আগে আরও দুজনের মৃত্যু হয়। অসুস্থ হয়ে পড়েছেন নারী-পুরুষসহ ১০ জন। এ নিয়ে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের চণ্ডীপুর উড়াও সম্প্রদায়ের আদিবাসী গ্রামের বুধি এক্কা নামে এক মহিলার মৃত্যুর পর একে একে আরও ৫ জন মারা যান। গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ১০ জন। তারা হলেন দিলীপ এক্কা (২৭), বীরসা কুজুর (৬০), এতোয়ারি (৬৫), বিশ্বনাথ কুজুর (৩০) ও বাবুল এক্কা (৪২)। গণমৃত্যুর ঘটনায় গ্রামবাসী মনে করছেন এলাকায় দৈত্যের আগমন ঘটেছে বা ডাইনির আসর বসেছে। এ আতঙ্কে সন্ধ্যার পর নারী-পুরুষ-শিশু-বৃদ্ধরা ঘরের বাইরে বের হওয়ার সাহস পাচ্ছে না। হাটবাজারেও যাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন গ্রামবাসী। নিজ বাড়িও নিরাপদ মনে করছেন না তারা। অনেকে নিজ আশ্রয় ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ওই গ্রামের ৭৫ বয়সী বুধু এক্কা জানালেন তিনি এর আগে এ রকম মৃত্যুর ঘটনা দেখেননি।
তিনি জানান, কয়েক দিনে চারজনের মৃত্যুর ঘটনা তাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বাবু লাল নামে এক আদিবাসী যুবক জানান, স্থানীয় চিকিৎসকের চিকিৎসা নিয়েও ওদের বাঁচানো যায়নি। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান লিটন জানান, ওই গ্রামের লোকেরা দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিল। তবে কী রোগে আক্রান্ত হয়েছিল তা শনাক্ত করা যায়নি। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গতকাল সকাল ১০টায় ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) ডা. আবু মোহাম্মদ খয়রুল কবিরের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল টিম ওই গ্রামে অসুস্থদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে। এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন (ভারপ্রাপ্ত)-এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, একজন জন্ডিস রোগে অন্যরা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। অসুস্থদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। গ্রামবাসীর অধিকাংশই আধুনিক চিকিৎসাবিমুখ। তাদের মধ্যে কুসংস্কার জড়িয়ে আছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।