আল্লাহর সৃষ্টি কোনো মানুষকে অবজ্ঞার চোখে দেখার সুযোগ নেই। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ধনী-গরিব নির্বিশেষে সব পেশার মানুষকে মর্যাদা দিতেন।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। এক হাবশি মসজিদে নববীতে ঝাড়ু দিত। একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে দেখতে না পেয়ে তার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন। সাহাবাগণ বললেন, সে মারা গেছে। তিনি বলেন : তোমরা আমাকে খবর দিলে না কেন? আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, সাহাবিরা তার ব্যাপারটি যেন তুচ্ছ মনে করেছিলেন (তাই তাঁকে অবহিত করেননি) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন : আমাকে তার কবর দেখিয়ে দাও। তারা তাঁকে কবর দেখিয়ে দিলেন এবং তিনি তার জানাজা নামাজ পড়লেন (বুখারি ও মুসলিম থেকে মিশকাতে)।
উলি্লখিত হাদিস থেকে স্পষ্ট হয়, সমাজে সাধারণত যেসব লোককে তাদের স্বল্প জ্ঞান-বুদ্ধি, ধন-সম্পদ অথবা নিম্ন পেশার কারণে উপেক্ষা করা হয়, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের প্রতিও খুব খেয়াল রাখতেন। অতএব আমাদেরও উচিত সমাজের সর্বস্তরের লোকের প্রতি দরদি মনোভাব দেখান। বিশেষ করে যারা গরিব এবং অপেক্ষাকৃত নিচু পেশায় নিয়োজিত তাদের উপেক্ষা না করা।
সমাজের গরিব, দুঃখী ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো, তাদের সহায়তা করা এবং সহানুভূতি জানানোর মাধ্যমে আমরা আল্লাহকে সন্তুষ্ট করতে পারি। এ ধরনের মানবিক আচরণের মাধ্যমে অশেষ পুণ্য অর্জন করা যায়। আল্লাহর সৃষ্টি মানুষের প্রতি ভালোবাসা আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের নামান্তর।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : যে ব্যক্তি বিধবা, গরিব, অভাবী ও অসহায়দের সাহায্যের জন্য চেষ্টা-তদবির করে সে আল্লাহর পথে ব্যস্ত ব্যক্তির সমতুল্য। (রাবি বলেন), আমার মনে হয়, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : সে রাত জেগে অবিরাম নফল নামাজ আদায়কারী এবং অবিরত নফল রোজা পালনকারীর সমতুল্য (বুখারি ও মুসলিম থেকে মিশকাতে)।
লেখক : ইসলামী গবেষক।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।