লক্ষ্মীপুরে আওয়ামী লীগ ও সিরাজগঞ্জে বিএনপির এক নেতা খুন হয়েছেন।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার কুশাখালী ইউনিয়নের নলডগী গ্রামে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য মোহাম্মদ উল্লাহকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। তার লাশ গতকাল বেলা ১১টার দিকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। মোহাম্মদ উল্লাহ নলডগী গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনা কেন্দ্র করে বিএনপি নেতা হুমায়ুন ও তার ভাই ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জামাল উদ্দিনের বসতঘরে অগি্নসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাট করেছেন আওয়ামী লীগ সমর্থকরা।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, বুধবার রাতে মোহাম্মদ উল্লাহকে বাড়ি থেকে মোবাইল ফোনে ডেকে নেওয়া হয়। স্থানীয়রা গতকাল সকালে ডিবি রোডের পাশে তার হাত-মুখ বাঁধা শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপানো ও গলা কাটা লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবুল ফয়েজ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা জামাল উদ্দিনের স্ত্রী জেসমিন ও তার বোন জোছনা বেগম অভিযোগ করেন, 'আওয়ামী লীগের লোকজন একটি মিছিল নিয়ে এসে ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। তারা আসবাবপত্র ভাঙচুর ও লুটপাট চালান।' সদর থানার ওসি ইকবাল হোসেন জানান, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে মোহাম্মদ উল্লাহকে হত্যা করা হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তদন্ত চলছে।
অন্যদিকে, সিরাজগঞ্জে জবান আলী (৩৫) নামে এক ইউনিয়ন বিএনপি নেতার গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের পূর্ব বাঐতারা গ্রামের আজিজুর রহমানের ছেলে। জবান আলী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম হত্যা মামলার প্রধান আসামি ছিলেন। তার বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জ মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন ও তার শ্যালক টিক্কা হত্যা, নৌপথে ডাকাতি-ছিনতাইসহ বেশ কয়েকটি মামলা ছিল। সাইফুল হত্যা মামলার অন্যতম আসামি ও জবান আলীর সহযোগী বাবলু গত ৩০ জানুয়ারি রাতে র্যাবের ক্রসফায়ারে নিহত হন। সদর থানার এসআই গোলাম মোস্তফা জানান, বুধবার রাত ২টার দিকে সিরাজগঞ্জ-কড্ডা আঞ্চলিক সড়কে টহল দেওয়ার সময় কোনাগাতী ব্রিজের উত্তরে রাস্তার পাশে জবান আলীর লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। ওসি হাবিবুল ইসলামের উপস্থিতিতে আশপাশের লোকজনকে ডেকে লাশ শনাক্ত করা হয়। ওসি জানান, জবান আলীকে কে বা কারা হত্যা করেছে তা জানা যায়নি। সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবার মামলা না করলে পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা করা হবে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।