আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গাড়ি ভাড়ার বিস্তারিত

Never argue with idiots. They bring you down to their level and then beat you with experience
বিয়ে-পিকনিক ইত্যাদি দরকারি কাজে যে কোনও গাড়ি ভাড়ার জন্য সকল তথ্য পাবেন এই পোষ্টে


পরিবার-পরিজন ও বন্ধু, স্কুল-কলেজ কিংবা প্রতিষ্ঠানের সদস্যদের নিয়ে শীতের এই মিঠে হিম হাওয়ায় বনভোজনের মজাই আলাদা। কিন্তু ইট-কাঠ পাথরের বন্দিশালা এই ঢাকায় কোথাও বন আর কোথায়-ই-বা ভোজন ! এজন্য আপনাকে যেতেই হবে ঢাকার বাইরে। আর আরামে যাওয়ার জন্য চাই ভালো একটা গাড়ি। সবার তো আর নিজের গাড়ি থাকে না। তাই ভরসা রেন্ট এ কার!


চার থেকে ছয়-সাত সদস্যের পরিবার নিয়ে পিকনিকে রওনা হলে এ জন্য প্রয়োজন হবে ছোট গাড়ি অথবা মাইক্রোবাস।

আর একটি প্রতিষ্ঠানের সব সদস্য নিয়ে পিকনিকের প্রস্তুতি নিলে দরকার ভালো একটি বাসের।

ঢাকা থেকে এর আশপাশে একদিনের জন্য ছোট গাড়ি ভাড়া নিলে পড়বে দুই থেকে তিন হাজার টাকা (যাবতীয় সব খরচ রেন্ট এ কারের), খরচ নিজে বহন করলে পড়বে দেড় হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা। ঢাকার বাইরে হলে ওই টাকার মধ্যে আরও দুই থেকে তিন হাজার টাকা যোগ হবে (যাওয়া-আসা)।


বিয়ের গাড়ি ভাড়া

শীতকাল আবার বিয়ের মৌসুম। বিয়ের বরযাত্রা মানেই একসময় ছিল ঘোড়ার গাড়ি ও পালকি।

আর এখন বরযাত্রা হয় ফুলের সাজে সজ্জিত গাড়িতে। আর বরযাত্রায় কার-মাইক্রোবাস কিংবা বাস ভাড়ার ঝক্কি। এছাড়া ঈদ কিংবা বিভিন্ন উৎসবেও বাস-ট্রেনের দুর্ভোগ এড়াতে এখন ঘরমুখো মানুষ ঝুঁকেছেন রেন্ট এ কারের দিকে। রেন্ট এ কার থেকে ভাড়া নিচ্ছেন কার কিংবা মাইক্রোবাস।

আগের দিনের বিয়ের দৃশ্য কল্পনা করতে গেলে আমাদের মানসপটে ভেসে ওঠে একটি পালকির চিত্র।

ছয় বেহারা কাঁধে করে বয়ে নিয়ে যাচ্ছেন পালকিটি। আর পেছনে হেঁটে হেঁটে যাচ্ছেন বরযাত্রীরা। এটা অনেক পুরনো গ্রামবাংলার বরযাত্রার চিত্র। কিন্তু এখন সময় পাল্টেছে। পাল্টেছে যাতায়াতের মাধ্যমও।

সময়ের পটপরিবর্তনের ফলে আধুনিকায়নের ছোঁয়া লেগেছে মানবজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে। এখন বরযাত্রা হয় গাড়িতে করে। এমনকি হেলিকপ্টারে করে যাওয়াও কল্পনাতীত নয়।


গাড়ি ভাড়ার ক্ষেত্রে

গাড়ি ভাড়া করার কয়েকটি প্রক্রিয়া রয়েছে। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল জ্বালানি খরচ, রাস্তার টোল কে বহন করবে।

যাত্রাপথে রাস্তায় কোনো স্থানে দেরি হবে কি না ইত্যাদি আগেই ঠিক করে নেওয়া।


বাস-মিনিবাস ভাড়ায়

রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনাল, গাবতলী বাস টার্মিনালসহ সায়েদাবাদ আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল থেকে বাস ভাড়া করতে পারেন। তবে এর জন্য উৎসবের ঠিক এক সপ্তাহ আগেই বাস ভাড়া করে রাখতে হবে।

বাস ভাড়ার ক্ষেত্রে ছোট গাড়ি ও মাইক্রোবাসের মতো কিছু পূর্ব আনুষ্ঠানিকতা কনফর্ম করতে হবে। তা হল জ্বালানি খরচ, চালক ও তার সাহায্যকারী এবং রাস্তার টোল খরচ কে বহন করবে ইত্যাদি।

এ ক্ষেত্রে সব খরচ বাস কর্তৃপক্ষকে বহন করার ভার দেওয়াই ভালো হবে।

২৫ থেকে ৩৫ জন লোক হলে এর জন্য আপনি ভাড়া নিতে পারেন মিনিবাস। এর সিটসংখ্যা ২৮ থেকে ৩০। ঢাকা ও এর আশপাশে হলে একদিনের জন্য ভাড়া পড়বে ছয় থেকে দশ হাজার টাকা। ঢাকার বাইরে হলে একদিনের জন্য ভাড়া পড়বে আট থেকে ১৫ হাজার টাকা।



অন্যদিকে সদস্যসংখ্যা ৫০ কিংবা এর বেশি হলে আপনার দরকার হবে বড় মাপের একটি বাস। ঢাকা ও এর আশপাশের জন্য ভাড়া লাগবে সাত থেকে ১২ হাজার টাকা আর ঢাকার বাইরে হলে একদিনের ভাড়া পড়বে ১২ থেকে ১৬ হাজার টাকার মধ্যে। আপনি ভাড়া যত টাকায় ঠিক করেন তার পর পরই সঙ্গে কর্তৃপক্ষ কিংবা বাসচালকের স্বাক্ষর সংবলিত একটি রসিদ করিয়ে নেবেন, অন্যথায় বিপাকে পড়তে পারেন। সঙ্গে চালকের মুঠোফোনের নম্বর ও যাত্রা করার স্থান নির্দিষ্ট করে বলে দিতে হবে।

ঢাকার বিভিন্ন নামকরা পরিবহনগুলোর কাছ থেকেও ভাড়া বাস নিতে পারেন।

সে ক্ষেত্রে ভাড়ার টাকার অর্ধেক আপনাকে আগেই দিতে হবে। টাকার পরিমাণও তুলনামূলকভাবে বেশি হবে। আর স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীর সংখ্যা কিংবা প্রতিষ্ঠানের সদস্যা খুব বেশি হলে আপনাকে বেশ কয়েকটি বাস ভাড়া নিতে হবে। সে ক্ষেত্রে কোনো ভালো মানের প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বাস ভাড়া করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে। নতুবা পরে দেখা যাবে দু-একটি বাস না-ও আসতে পারে।

এছাড়া বাসসংখ্যা যদি পাঁচের বেশি হয়, তা হলে পার্কিংয়ের জন্য খুব বড় জায়গার প্রয়োজন হবে। এদিকটিও আপনার মাথায় রাখতে হবে।



প্রাইভেট কার

সাধারণত বরকে বহনের জন্য প্রাইভেটকারই বহুল প্রচলিত। যারা ভাড়ার প্রাইভেট কার ব্যবহার করতে চান, তাদের জন্য টয়োটার নরমাল প্রাইভেটকারগুলোই সহজলভ্য।
সাধারণ মানের এই প্রাইভেটকারগুলোর ভাড়া প্রতিদিন পনেরশ’ থেকে তিন হাজার টাকার মধ্যে।

যাদের সচ্ছলতা বেশি তারা অনেকেই একটু বিলাসবহুল গাড়ি ব্যবহার করতে চান। বিলাসবহুল গাড়িগুলোর ভেতরে ঢাকা শহরে ভাড়া পাওয়া যায় মার্সিডিস বেঞ্জ, মিৎসুবিশি ল্যান্সার জিএল এক্স, টয়োটা করোলা জিএক্স ইত্যাদি। এই গাড়িগুলোর ভাড়া প্রতি ১০ ঘণ্টার জন্য ১০ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে। এ ছাড়া জিপগাড়ির ভেতরে পাওয়া যায় টয়োটা প্রাডো, হ্যারিয়ার, পাজেরো ইত্যাদি।

তবে বিয়েতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় মাইক্রোবাস।

অধিক আসন থাকায় এবং সহজলভ্য হওয়ায় মাইক্রোবাসগুলো বেশি জনপ্রিয় এবং মাইক্রোবাসগুলোর সুবিধা হচ্ছে খুব সাধারণভাবে এগুলো ব্যবহার করা যায়। ঢাকার মধ্যে এবং ঢাকার বাইরে মাইক্রোবাসের ভাড়া পরিবর্তন হয়। নয় সিটের মাইক্রোবাসগুলো ঢাকার মধ্যে ভাড়া দুই থেকে তিন হাজার টাকার মধ্যে। আর ঢাকার বাইরে ভাড়া চার হাজার থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা। ১২ সিটের মাইক্রোবাসের ভাড়া দুই হাজার টাকা থেকে তিন হাজার টাকার মধ্যে।

এ ছাড়া টয়োটা নোয়া ও ভক্সের ভাড়া ঢাকার মধ্যে প্রতি ১০ ঘণ্টায় তিন হাজার টাকা এবং ঢাকার বাইরে সাড়ে তিন হাজার টাকা থেকে চার হাজার টাকা। এই গাড়িগুলো সাধারণত নয় সিটের হয়ে থাকে।

এই গাড়িগুলোর ভাড়া পড়বে প্রতি ১০ ঘণ্টায় ১৫ হাজার টাকা। বিলাসবহুল গাড়ি সরবরাহের ক্ষেত্রে একটি প্রতিষ্ঠান ‘হাটজ’। এখানে অনেক রকম বিলাসবহুল গাড়ি ভাড়ায় পাওয়া যায়।

ফোন : ৯৮৮৪৩১১, ৮৮১৩২৪২, ০১৯১৩২২২২৯।



বিলাসবহুল কার

মার্সিডিস বেঞ্জ : ৪ ঘণ্টার জন্য ১৫ হাজার টাকা, ৬ ঘণ্টার জন্য ১৬-১৮ হাজার এবং ১০ ঘণ্টার জন্য ২২-২৫ হাজার টাকা ভাড়া দিতে হবে।

মিৎসুবিশি ল্যান্সার জিএল এক্স : ১০ ঘণ্টার জন্য ভাড়া নিতে ১০ হাজার টাকা দিতে হবে।
টয়োটা করোলা জিএক্স : ঢাকার মধ্যে ভাড়ার জন্য ২ হাজার ৫০০ টাকা আর ঢাকার বাইরে ভাড়া নিতে চাইলে দিতে হবে তিন হাজার টাকা, প্রতি ১০ ঘণ্টার জন্য।
টয়োটা ১১০ : সাধারণ মানের এই প্রাইভেটকার ভাড়া নিতে পারেন ১৫০০ থেকে ২ হাজার টাকার মধ্যে।

এই টাকায় ভাড়া পাবেন ১০ ঘণ্টার জন্য।

জিপ
টয়োটা প্রাডো : ৪ ঘণ্টার জন্য ছয় হাজার, ৬ ঘণ্টার জন্য আট হাজার এবং সারা দিনের জন্য ভাড়া পড়বে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার মধ্যে।
হ্যারিয়ার : এটি ৪ ঘণ্টার জন্য আট হাজার, ৬ ঘণ্টার জন্য ১০ হাজার আর ১০ ঘণ্টার জন্য ভাড়া পাবেন ১৫ হাজার টাকা।
মিৎসুবিশি পাজেরো : ৪ ঘণ্টার জন্য ৫ হাজার ৬ ঘণ্টার জন্য ১০ হাজার আর ১০ ঘণ্টার জন্য ভাড়া পড়বে ১২ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকার মধ্যে।

মাইক্রোবাস
মাইক্রোবাস হলে ঢাকার জন্য খরচ হবে আড়াই থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা আর ঢাকার বাইরে হলে পাঁচ থেকে নয় হাজার টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন গাড়ি (যাওয়া-আসা)।

বছরের সব সময় প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাসের চাহিদা থাকে বলে তিন থেকে পাঁচ দিন আগেই গাড়ির বিষয়টি চুকিয়ে নিতে হবে।
নয় সিটের মাইক্রোবাসগুলো ঢাকার মধ্যে ভাড়া দুই থেকে তিন হাজার টাকার মধ্যে। আর ঢাকার বাইরে ভাড়া নিতে চার হাজার টাকা লাগবে। ১২ সিটের মাইক্রোবাস পাবেন ২ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকার মধ্যে। এছাড়া টয়োটা নোয়া ও ভক্স ঢাকার মধ্যে ভাড়ার জন্য প্রতি ১০ ঘণ্টায় ৩ হাজার টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৩ হাজার ৫০০ থেকে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত।


এই গাড়িগুলো সাধারণত নয় সিটের হয়ে থাকে। টয়োটা সুপার জিএল এবং জিএল ১২ সিটের ২০০৪-০৫ মডেলের মাইক্রোবাস ঢাকার মধ্যে ১০ ঘণ্টার জন্য ভাড়া ২ হাজার ৫০০ টাকা। ঢাকার বাইরে নিতে চাইলে ৩ হাজার টাকা পড়বে।

ঘণ্টা হিসেবে গাড়ি ভাড়া

ঘণ্টা হিসেবে গাড়ি ভাড়া করতে চাইলে প্রতি ঘণ্টার জন্য ভাড়া দিতে হবে ক্ষেত্রভেদে ১৫০ থেকে ২০০০ টাকা আর প্রতি কিলোমিটার ২৫ থেকে ৩৫ টাকা পর্যন্ত। ঘণ্টা হিসাবে ভাড়া করতে চাইলে যাত্রীকে অবশ্যই কমপক্ষে চার ঘণ্টা গাড়ি ব্যবহার করতে হবে।

এমনটাই জানা গেল বিভিন্ন রেন্ট এ কারের সুত্রে।

গাড়ি ভাড়ার ক্ষেত্রে মনে রাখুন

১. যদি সময় হিসাবে গাড়ি ভাড়া নিতে চান, সেক্ষেত্রে কতক্ষণের জন্য গাড়ি ভাড়া নেবেন সে ব্যাপারে পুরোপুরি নিশ্চিত হয়ে নিন।

২. গাড়ি ভাড়া করতে হলে কমপক্ষে দু’দিন আগে বুকিং দেওয়া উচিত।

৩. জ্বালানি খরচ সাধারণত যিনি গাড়ি ভাড়া নেন, তার নিজেকেই বহন করতে হয় (তবে অনেক সময় প্যাকেজ চুক্তিতেও গাড়ি ভাড়া নেওয়া হয়। সে ক্ষেত্রে আনুষঙ্গিক কোনো খরচ যিনি ভাড়া করেন তাকে বহন করতে হয় না)।



৪. গাড়ির প্রতিষ্ঠান এবং চালকের সম্বন্ধে বিস্তারিত তথ্য আগেই জেনে নিন এবং তাদের ফোন নম্বর রেখে দেওয়াটাও জরুরি।

৫. তেল কিংবা গ্যাস খরচ সম্পূর্ণই নিজেদের বহন করতে হবে এবং চালককে দিতে হবে ন্যূনতম ১০০ টাকা। ঢাকার বাইরে ভাড়া নিলে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকার বেশি আলোচনা সাপেক্ষে দিতে হবে।

৬. গাড়ি ভাড়া করার সময় চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স, গাড়ির ফিটনেসের কাগজপত্র দেখে নেওয়া উচিত। বিয়ে কিংবা উৎসবের দিন আপনার একটু সচেতনতার অভাব যেন দুশ্চিন্তার কারণ না হয়ে দাঁড়ায়।



৭. এ ছাড়া পরিবহন মালিক সমিতির কিছু শর্তও যেমন-কাঁচা সড়ক দিয়ে গাড়ি না চালানো, ভাঙা ব্রিজ দিয়ে না চলাচল, অবৈধ দ্রব্যাদি বহন না করা, এসব দায়িত্ব গ্রহণ করে আপনাকে গাড়ি ভাড়া নিতে হবে।

৮. বিয়ের গাড়িতে ফুল দিয়ে সাজানো হয় বলে এতে টেপ ও ময়লা লেগে যায়। এক্ষেত্রে ২০০-৩০০ টাকা গাড়ির মালিককে দিতে হতে পারে গাড়ি পলিশের জন্য।

৯. গাড়ির জন্য আনুষঙ্গিক খরচ যেমন-টোল, পার্কিং চার্জ ইত্যাদি নিজেকেই বহন করতে হবে।


ইতিহাসের পাতা থেকে
প্রথম ভাড়া গাড়ি

মোটরগাড়ি আবিষ্কারের আগে চলাচল কিংবা মালপত্র আনা-নেওয়ার কাজে ঘোড়ার গাড়ি বেশি ব্যবহার হতো।

১৬৪০ খ্রিস্টাব্দে প্যারিসে নিকোলাস শ্যাভেজ নামে এক ব্যক্তি অর্থের বিনিময়ে প্রথম ঘোড়ার গাড়িতে মালপত্র আনা-নেওয়ার কাজ শুরু করেন। তবে তারও আগে অর্থাৎ ১৬৩৫ খ্রিস্টাব্দে ইংল্যান্ডে অর্থের বিনিময়ে ঘোড়ার গাড়িতে মানুষের চলাচল এবং মালপত্র আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথম ভাড়াটে গাড়ি আইন পাস হয়। ট্যাক্সিক্যাব বা ট্যাক্সি অথবা ক্যাব-আমরা বাহনটিকে যে নামেই ডাকি না কেন, এটি তৈরি করা হয়েছে অর্থের বিনিময়ে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সহজেই যাতায়াত করার জন্য।

ট্যাক্সিক্যাবের নামকরণ করা হয় ট্যাক্সিমিটার থেকে। ট্যাক্সিমিটার হচ্ছে এমন এক যন্ত্র, যা নির্ধারিত ভাড়ায় সময় বা দূরত্ব অনুযায়ী অত্যন্ত দ্রুতগতিতে চলাচল করতে সক্ষম।

১৮৯১ খ্রিস্টাব্দে জার্মানির বিজ্ঞানী উইলহেম ব্রার্ন ট্যাক্সিমিটার উদ্ভাবন করেন। ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দে গোটলিয়েব ডেইমলার বিশ্বের প্রথম সম্ভ্রান্ত ট্যাক্সি ডেইমলার ভিক্টোরিয়া তৈরি করেন। এটি তৈরি করা হয় ট্যাক্সিমিটার দিয়ে। ফ্রেড্রিস গ্রেইনারই বিশ্বের প্রথম উদ্যোক্তা, যিনি ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দে ট্যাক্সিকে গতিদায়ক কোম্পানিতে পরিণত করেন। ট্যাক্সি কোম্পানির মালিক হ্যারি অ্যালেনই প্রথম ব্যক্তি, যার ট্যাক্সিটিতে হলুদ রঙের চিত্র অঙ্কিত ছিল।

বলা যায়, তার সেই ট্যাক্সি থেকেই মানুষ পরিবহনে হলুদ ট্যাক্সি ব্যবহার শুরু হয়। এরপর ফ্রেডিস গেইনার ফোর্ড মটরসের সাথে যুক্ত হন এবং ১৯ শতকের প্রথম দিকে ভাড়ায় ট্যাক্সি ক্যাবকে জনপ্রিয় করতে ভূমিকা পালন করেন।


 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.