'অধিকার' নামক দ্বীপকে নিজেদের দাবি করে অত্যাধুনিক অস্ত্র সজ্জিত 'ওয়েস্টল্যান্ডে'র নৌবাহিনী তা দখল করে নেয়। ইস্টল্যান্ড নৌবাহিনী পরে সমরাস্ত্র নিয়ে পুনরুদ্ধারের জন্য রওনা হয় অধিকারের দিকে। শুরু হয় দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল যুদ্ধ। একে অপরকে ঘায়েল করতে ব্যবহার করে এসওয়াই-ওয়ান ক্ষেপণাস্ত্র, বিমান বিধ্বংসী মিসাইল সোল্ডার লঞ্চ, সাবমেরিন বিধ্বংসী রকেট ডেপথ চার্জ এবং চলে সারফেস ফায়ারিং। তুমুল যুদ্ধের পর ইস্টল্যান্ড নৌবাহিনী পুনরুদ্ধার করে অধিকার দ্বীপ। অধিকার দ্বীপ, ওয়েস্টল্যান্ড এবং ইস্টল্যান্ড নৌবাহিনী কল্পিত হলেও বর্ণিত চিত্র ছিল না কল্পিত কিছু। হলিউডের ছবিকে হার মানানো এ যুদ্ধের চিত্র দেখা গেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বার্ষিক মহড়া 'এঙ্ারসাইজ সি থান্ডার'-এ। গতকাল গভীর বঙ্গোপসাগরে যুদ্ধকালীন প্রস্তুতির এ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। জানা যায়, 'এঙ্ারসাইজ সি থান্ডার' হচ্ছে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সর্ববৃহৎ সামরিক মহড়া। এ মহড়ায় ব্যবহৃত হয় নৌবাহিনী থাকা সর্বাধুনিক সব সমরাস্ত্র। যার মধ্যে রয়েছে, জাহাজ থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য দূরপাল্লার সারফেস টু সারফেস মিসাইল, সোল্ডার লঞ্চড, টার্গেট ড্রোনসহ অত্যাধুনিক সব সমরাস্ত্র। ১৬ দিনব্যাপী এ মহড়ায় অংশ নিচ্ছে দেশের সর্ববৃহৎ যুদ্ধজাহাজ সমুদ্রজয়, ফ্রিগেট, করভেট, ওপিভিসহ বিপুলসংখ্যক জাহাজ, নৌবাহিনীর মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট ও হেলিকপ্টার। নৌবাহিনী ছাড়াও এ মহড়ায় প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে অংশ নেয় বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, সেনা ও বিমানবাহিনীসহ মেরিটাইম সংস্থাসমূহ। মহড়া পর্যবেক্ষণ শেষে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব). তারিক আহমেদ সিদ্দিক বলেন, 'নৌবাহিনীতে বর্তমানে যে সমরাস্ত্র রয়েছে তা দিয়ে যে কোনো শত্রু মোকাবিলা করতে পারবে। দেশে আসার অপেক্ষায় থাকা সাবমেরিন ও নতুন যুদ্ধজাহাজ যুক্ত হলে এ বাহিনী আরও শক্তিশালী হবে।'
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।