ব্রিটেনে নতুন অভিবাসী আইন অনুযায়ী অবৈধ ব্যক্তিদের বসবাস করা আরও অনেক কঠিন হবে। এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টেরেসা মে। প্রক্রিয়াধীন অভিবাসন বিল অনুযায়ী, ব্রিটেনে ব্যাংক হিসাব খোলার ক্ষেত্রে আবেদনকারীর অভিবাসন মর্যাদার বিষয়টি পরীক্ষা করাতে হবে। এ ছাড়া ভাড়াটেদের সম্পর্কেও বাড়ির মালিকেরা একই ধরনের খোঁজখবর নেবেন। প্রস্তাবিত নতুন আইনে অভিবাসন সংক্রান্ত মামলায় আপিল-প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করারও ব্যবস্থা থাকবে। তবে বিরোধী লেবার দল বলেছে, এই বিলে অভিবাসন বিষয়ে সবচেয়ে জটিল কিছু সমস্যা সমাধানের কথা নেই।
সম্প্রতি ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির সম্মেলনে দেওয়া ঘোষণা অনুযায়ী, নতুন বিলে প্রবাসী অপরাধীদের প্রথমে ব্রিটেন থেকে বিতাড়িত করার ব্যবস্থা রাখা হবে। পরে তাদের আপিল শোনা হবে। সে ক্ষেত্রে ওই ব্যক্তি বড় ধরনের কোনো হুমকি সৃষ্টি করতে পারবে না। এ ছাড়া ব্রিটেনে পড়াশোনা কিংবা অন্য কোনো কারণে যারা সাময়িকভাবে অভিবাসী হবেন তাদের সরকারের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা (এনএইচএস) কর্মসূচির সেবা পেতে কিছু অর্থ ব্যয় করতে হবে। ব্রিটিশ অভিবাসনবিষয়ক মন্ত্রী মার্ক হারপার বলেছেন, যেসব অভিবাসী বিভিন্ন সরকারি সেবা পাওয়ার যোগ্য নন, তারা যাতে তা না পান নতুন আইনে সে ব্যবস্থা করা হবে। এই আইনে যে কারণে মানুষ ব্রিটেনে যেতে চান, সেসব সুযোগও কমানো হবে। আর যেসব মানুষকে ব্রিটেনেরও দরকার নেই তাদেরও সহজে দেশ থেকে সরানো সম্ভব হবে। ব্রিটেনে ১৯৯৭ সাল থেকে প্রায় প্রতি দুই বছর পর পর অভিবাসী আইন পরিবর্তন করা হচ্ছে। এ বিষয়ে স্থায়ী কোনো নীতি গ্রহণ করা হয়নি। তবে সমালোচকরা বলছেন, নতুন আইন বাস্তবায়ন করা কঠিন হবে। অনেকে পাসপোর্ট জালিয়াতি করেন। কোনো ভাড়াটের পাসপোর্ট প্রকৃত নাকি ভুয়া তা নিশ্চিত করতে বাড়ির মালিকদের পাসপোর্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠতে হবে। উল্লেখ্য, ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের দেশগুলো থেকে আসা অভিবাসীর সংখ্যা বছরে এক লাখের নিচে রাখতে চাচ্ছে। তবে দেশটিতে অভিবাসীর সংখ্যা বাড়ছে। বিবিসি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।