আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সংসদে যান না মন্ত্রীরা প্রধানমন্ত্রীর ক্ø

সংসদ অধিবেশনে মন্ত্রীদের অনুপস্থিতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, মন্ত্রীদের সবাইকে অবশ্যই নিয়মিত সংসদে উপস্থিত থাকতে হবে। কোনো অজুহাত দেখানো যাবে না। সচিবালয়ে গতকাল মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে এ বৈঠকে বহুল আলোচিত দ্রুত বিচার আইনের মেয়াদ পাঁচ বছর বাড়ানো সংক্রান্ত খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে।

বৈঠক শেষে একাধিক সিনিয়র মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী সংসদ অধিবেশনে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের উপস্থিতির চিত্র তুলে ধরে অসন্তোষ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, 'মন্ত্রীরা নিয়মিত সংসদে উপস্থিত থাকছেন না। এটা খুবই দুঃখজনক, বিব্রতকর। সবাইকে নিয়মিত সংসদে উপস্থিত থাকতে হবে, কোনো অজুহাত দেখানো যাবে না।' তিনি বলেন, 'ঢাকায় থেকে অনেকেই সংসদে উপস্থিত হন না। এখন থেকে মন্ত্রিসভার সদস্যরা ঢাকায় থাকলে অবশ্যই সংসদে উপস্থিত হতে হবে। মন্ত্রণালয়ের যত গুরুত্বপূর্ণ কাজই থাকুক না কেন সংসদ বাদ দেওয়া যাবে না। সংসদে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের দফতর রয়েছে। কোনো জরুরি নথি বা কাজ থাকলে সেগুলো সেখানে বসেই করা যেতে পারে।' একটি সূত্র জানায়, দশম সংসদ গঠনের পর মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের কারা কারা নিয়মিত সংসদে যান না, প্রধানমন্ত্রী তার নিয়মিত খোঁজখবর রাখছেন। তিনি এ সংক্রান্ত তথ্য দেখেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

দ্রুত বিচার আইনের মেয়াদ বাড়ল : 'আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) (সংশোধন) আইন-২০১৪' এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের জানান, ২০১৯ সালের ৭ এপ্রিল পর্যন্ত এ আইনের কার্যকাল বাড়ানো হয়েছে। আগামী ৭ এপ্রিল এর মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। সচিব বলেন, 'স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চার বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করলেও মন্ত্রিসভা গুরুত্ব বিবেচনা করে পাঁচ বছর বাড়িয়েছে। এখন যাচাই-বাছাই শেষে এটি সংসদে তোলা হবে। এ আইন অনুযায়ী যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা বা বিঘ্ন সৃষ্টি, ক্ষতিসাধন, সরকারি বা সংবিধিবদ্ধ কোনো সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির সম্পত্তি নষ্ট বা ভাঙচুর করা, কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ভয়ভীতি দেখানো বা দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়ার মতো অপরাধ প্রমাণিত হলে দুই থেকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড হতে পারে।'

প্রতি জেলায় গঠিত এক বা একাধিক দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে এ আইনের মামলার বিচার চলে। আইনে ১২০ দিনের মধ্যে বিচারকাজ নিষ্পত্তির বিধান আছে। এ সময়ে না হলে আরও ৬০ দিন পাওয়া যাবে। অবশ্য সময়সীমা বেঁধে দেওয়া থাকলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যথাসময়ে বিচার শেষ করা সম্ভব হয় না বলে বিচারপ্রার্থীদের অভিযোগ রয়েছে। দ্রুত বিচার আইনটি করা হয়েছিল বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে ২০০২ সালে। দুই বছরের জন্য আইনটি করা হলেও পরে বিভিন্ন সময়ে মেয়াদ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ২০১২ সালে আরও দুই বছর আইনটি বলবৎ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। আর এবার পাঁচ বছর বাড়ানো হলো। মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য জানান, আইনের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টি বৈঠকে গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মামলা যত দ্রুত হচ্ছে বিচারকাজ তত দ্রুত হচ্ছে না। এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যেসব ঘটনা ঘটেছে, বিশেষ করে মানুষ পুড়িয়ে, বোমা মেরে হত্যা, গাছ কাটাসহ এ ধরনের অপরাধের বিচার দ্রুত করার জন্য আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে কী করা যায়, তার পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ঘটনাস্থলেই বিচারের ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া যায় কিনা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি দ্রুত বিচার আইনের আওতা বাড়ানোর বিষয়েও গুরুত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.