আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নারদ নদে যমুনার বর্জ্য ফেলার নিষেধাজ্ঞা চ

বিষাক্ত বর্জ্য ফেলে নারদ নদ দূষণের দায়ে যমুনা ডিস্টিলারির চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাবুলসহ ১০ জনের নামে নাটোর আদালতে মামলা হয়েছে। আদালত বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে কেন মূল মামলার চূড়ান্ত শুনানি না হওয়া পর্যন্ত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে না মর্মে নোটিস প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর আদেশ দিয়েছেন রবিবার বিকাল ৫টার দিকে।

যমুনা ডিস্টিলারির অপরিশোধিত বর্জ্য সরাসরি নারদ নদে ফেলে মৎস্য ও প্রাণী ধ্বংস, জনস্বাস্থ্যের জন্য চরম ক্ষতিকর এবং পরিবেশ বিনষ্টের জন্য দায়ী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাবুল, ম্যানেজিং ডিরেক্টর শামসুল হাসান, পাঁচজন পরিচালক যথাক্রমে সালমা ইসলাম, শামীম ইসলাম, রোজলীনা ইসলাম, মনিকা ইসলাম, রওশন আরা মাহাবুব, মহাব্যবস্থাপক অশোক চক্রবর্তী, পরিবেশ অধিদফতর, বগুড়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালক ও জেলা প্রশাসক, নাটোরকে মামলার বিবাদী করা হয়েছে (মামলা নম্বর ১৫/২০১৪ অ: প্র:)।

বাদী পক্ষে মামলাটি করেছেন অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম।

রবিবার দুপুরে নাটোর প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করেছেন নাটোরের কান্দিভিটা মহল্লার মৃত আবদুস সাত্তারের ছেলে সিরাজুল ইসলাম ও নাটোর সদর থানার তেবাড়িয়া উত্তরপাড়া গ্রামের সাইফুল ইসলাম। এ ছাড়াও আদালতের বিচারক মোছা. ইশরাত জাহান বাদীর আবেদন শুনানি ও আরজি পর্যালোচনা করে আগামী ২৪ মার্চ মূল মামলার শুনানির দিন দিয়েছেন। মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়, নাটোর শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত নারদ নদ ৪০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই নদের নাটোর শহরের মধ্যে অবস্থান ৬ কিলোমিটার। এই নদকে কেন্দ্র করে নারদের তীরে সুপ্রাচীনকালে জনপদ গড়ে ওঠে। অতীতে এই নদের বুক চিরে বয়ে চলত বড় বড় জাহাজের নৌকা, গহনা নৌকা, বাণিজ্য তরী। হতো নৌকা বাইচ। পূজা-পার্বণে নদের দুই তীরে বসত মিলনমেলা। ১৭০৬ সালে নারদকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে রাজ সভ্যতা। রাজা রামজীবন, রাজা রঘুনন্দন প্রতিষ্ঠা করেন রাজবাড়ী। সুবে রাজধানী মুর্শিদাবাদের সঙ্গে নাটোর যোগাযোগের সরাসরি সহজ নৌপথ ছিল নারদ। গোসল, গৃহস্থালিসহ কৃষিকাজে ব্যবহৃত হতো নারদের পান।

কিন্তু অদৃষ্টের পরিহাস যমুনা ডিস্টিলারি নির্মাণের পর কেমিক্যালযুক্ত অপরিশোধিত বিষাক্ত বর্জ্য নারদ নদে ফেলায় নদের পানি আজ নাটোরবাসীর দুঃখের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এখতিয়ারবহিভর্ূত, বেআইনি বিষাক্ত বর্জ্য শোধন না করে যেন যমুনা ডিস্টিলারি নারদে ফেলতে না পারে সে কারণে জনস্বার্থে বাদী পক্ষ ঘোষণামূলক ডিগ্রির প্রার্থনায় মামলা দায়ের করে। উল্লেখ্য, নারদে যমুনা বিষাক্ত বর্জ্য ফেলা বন্ধের দাবিতে নাটোরবাসী দীর্ঘদিন থেকে আন্দোলন করে আসছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.