আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রভাব আর জাল দলিলের বেড়াজালে জবির ১০ হল

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) অন্তত ১০টি হল স্থানীয় প্রভাবশালীদের প্রভাব আর জাল দলিলের খপ্পরের মধ্যে বেদখল হয়ে পড়ে আছে বছরের পর বছর। তৎকালীন জগন্নাথ স্কুল ও কলেজের প্রতিষ্ঠাতা জগন্নাথ সাহা তার স্থাবর একাধিক বাড়ি শিক্ষার্থীদের থাকার জন্য দান করেন। একই সঙ্গে ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর স্থানান্তরিত অনেক হিন্দু পরিবার তাদের জায়গা-বাড়িঘর লিখিত ও অলিখিতভাবে শিক্ষার্থীদের জন্য দান করে চলে যান বলে জানান একাধিক সাবেক শিক্ষার্থী। দান সূত্রে প্রাপ্ত এসব সম্পদ ১৯৮৫ সালের আগ পর্যন্ত তৎকালীন কলেজ শিক্ষার্থীরা ভোগ-দখল করে আসছিলেন। পরবর্তীতে এরশাদের শাসনামলে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ হলে স্থানীয় প্রভাবশালীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হলে এসব হল বেদখলে চলে যায়। জানা গেছে, জবি শিক্ষার্থীদের ১০টি হলের মধ্যে তিব্বত হলটি ওয়াইজঘাটের ৮ ও ৯নং জিএল পার্থ লেনের ৮.৮৮৯ কাঠা জায়গার ওপর। এটি হাজী সেলিম এমপি ২০০০ সাল থেকে দখল করে আছেন। সেখানে তার স্ত্রীর নামে গুলশান আরা সিটি মার্কেট নির্মাণ করেন তিনি। তবে জায়গাটি তার নিজস্ব বলে দাবি করেছেন। ৬, এ সি রায় রোডের আবদুর রহমান হলটিতে পুলিশ সদস্যদের আবাসস্থল বানানো হয়েছে। শরৎচন্দ্র চক্রবর্তী রোডের শহীদ আনোয়ার শফিক হলটি ৪০ কাঠা জায়গার ওপর অবস্থিত। এটি বর্তমানে স্থানীয় প্রভাবশালীদের দখলে। সাইদুর রহমান হল ও রউফ মজুমদার হল হিন্দুদের দানকৃত- এ দুটি বর্তমানে প্রভাবশালীদের দখলে। ১৫, ১৭ ও ২০ যদুনাথ বসাক লেনের এসব জায়গায় হার্ডওয়্যারের দোকান বসানো হয়েছে। ১৬ ও ১৭নং রমাকান্ত নন্দী লেনের শহীদ আজমল হোসেন হলটি এখন পুলিশ সদস্যদের পরিবারের আবাসস্থল। কিছু অংশে গড়ে ওঠেছে বিভিন্ন সংঘ-সমিতি। ১৯৯৬ সালে এর একাংশ ভোগ-দখল করে রেখেছে স্থানীয় মোশারফ হোসেন খান। বংশালের ২৬, মালিটোলার বজলুর রহমান হলটিতে সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে শহীদ জিয়াউর রহমান উচ্চ বিদ্যালয় বানানো হয়েছে। গোপীমোহন বসাক লেনের ৫/১, ২, ৩, ৪ ও ৬নং টিপু সুলতান রোডের নজরুল ইসলাম হলটির ২০ কাঠা জায়গায় গড়ে উঠেছে জামেয়া শরীয়াবাগ জান্নাত মাদ্রাসা ও এতিমখানা। সাবেক কমিশনার আওলাদ হোসেন দিলীপ এর তত্ত্বাবধায়ক। হলটির একাংশ দখল করে ভবন নির্মাণ করেছেন বিটিভির সাবেক ক্যামেরাম্যান গোলামনবী। তাঁতীবাজারের ৮২, ঝুলনবাড়ী লেনের শহীদ শাহাবুদ্দিন হলটি দুই যুগেরও বেশি সময় পুলিশের দখলে ছিল। ২০০৯ সালের জুনে আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল হকের দখলে যায় সেটি। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের আবাসস্থল ২৬, পাটুয়াটুলীর কর্মচারী আবাসে ছয়তলাবিশিষ্ট ক্রাউন মার্কেট তৈরি হয়েছে। ওবায়দুলাহ এর মালিকানা দাবি করছেন। ড. হাবিবুর রহমান ও বাণী ভবণ- হল দুটি ২০১২ সালের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের দখলে চলে আসে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.