প্রায় ১৫ বছর পর পূর্ণাঙ্গ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রূপান্তর হচ্ছে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দর। মার্চের মধ্যে রিফুয়েলিং স্টেশনের কাজ শেষ হলেই ওসমানীতে দেশি-বিদেশি এয়ারলাইনসের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ওঠানামা শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন সংশ্লিষ্টরা।জানা যায়, ১৯৯৮ সালের ২০ ডিসেম্বর ওসমানীকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীত করার পর আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু হয়। তবে রিফুয়েলিং স্টেশন না থাকায় অল্প দিনের মধ্যেই বন্ধ হয়ে যায় সরাসরি ফ্লাইট। এর পর থেকে আন্দোলনে নামে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন। এ পরিপ্রেক্ষিতে ২০১০ সালে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ওসমানী বিমানবন্দরে রিফুয়েলিং স্টেশন নির্মাণের উদ্যোগ নেন। ২০১২ সালে সিলেটে রিফুয়েলিং স্টেশন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। প্রায় ৫১ কোটি ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০১৩ সালের জুনে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও হয়নি। পরে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর পাশাপাশি ব্যয় ২ কোটি বাড়িয়ে ৫৩ কোটি ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা করা হয়। প্রকল্পের সহকারী ব্যবস্থাপক শাকিল মাসুদ জানান, রিফুয়েলিং স্টেশন নির্মাণ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আশা করি আগামী মাসেই সিলেট থেকে এয়ারলাইনসগুলো রিফুয়েলিংয়ের সুবিধা পাবে। তিনি জানান, দক্ষিণ সুরমার পুরনো রেলস্টেশন এলাকায় পদ্মা অয়েলের ডিপো ও বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে কাজ চলছে। সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক হাফিজ উদ্দিন আহমদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বিমানবন্দরে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকার পরও শুধু রিফুয়েলিং ব্যবস্থা না থাকায় সিলেট থেকে সরাসরি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ ছিল। রিফুয়েলিং সুবিধা হয়ে গেলে পূর্ণাঙ্গ আন্তর্জাতিক রূপ পাবে এ বিমানবন্দর।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।