আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

থাই রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করবে না সেনাবাহি÷

থাইল্যান্ডের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে হস্তক্ষেপ না করার কথা ঘোষণা করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। গতকাল থাই সেনাপ্রধান প্রায়উথ চান-ওচা এক নজিরবিহীন টেলিভিশন ভাষণে এ ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, সরকার ও বিরোধী দলকে আলোচনার মাধ্যমে চলমান সংকটের সমাধান করতে হবে।

থাইল্যান্ডে একদিকে যেমন বহু সেনা অভ্যুত্থানের ইতিহাস রয়েছে, তেমনি ক্ষমতাসীন সরকারের পক্ষে শক্ত হাতে বিক্ষোভ দমনও করেছে সেনাবাহিনী। ২০০৬ সালে থাই সেনাবাহিনী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইংলাকের ভাই থাকসিনের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান করেছিল। আবার ২০১০ সালে তারাই তৎকালীন সরকারের পক্ষ হয়ে কঠোর হাতে বিক্ষোভ দমন করে। প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা রাজধানী ব্যাংকক ত্যাগ করেছেন বলে খবর প্রকাশিত হওয়ার পর সেনাপ্রধানের এ বক্তব্য এলো। প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে ব্যাংকক থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরবর্তী একটি স্থানে অবস্থান করছেন বলে তার দফতর জানিয়েছে। তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুরাপং তোভিচাকচাইকুল জানিয়েছেন, ইংলাক মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছেন। এ বৈঠক রাজধানীর বাইরে হতে পারে বলে তিনি জানান। তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইংলাকের বর্তমান অবস্থান জানাতে পারেননি। উল্লেখ্য, থাইল্যান্ডে গত নভেম্বর থেকে সরকারবিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে একটি অনির্বাচিত পরিষদের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। ১৯৩২ সালে সাংবিধানিক রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পর থেকে থাইল্যান্ডে বেশ কয়েকবার সামরিক অভ্যুত্থান হয়েছে। বিবিসি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.