নিরন্তর সত্যের উপর পথ চলি, দুমড়ে মুচড়ে দেই সব বাধা!
'তুমি জানো না রে প্রিয় তুমি মোর জীবনের সাধনা' গানটি প্রথম শুনেছিলাম গোয়ালন্দের ফুটপাথে একটা বাচ্চা ছেলের মুখে। সেই অসাধারন সুর আজ প্রায় ৩০/৩৫ বছর পরও ভুলতে পারি না। এর মধ্যে অনেকেই গেয়েছেন ভিন্ন ভিন্ন সুরে, আমাদের জহুরুল হক হলের জুনিয়র বন্ধু খালেদ তার মধ্যে একজন। পপ স্টাইলের সুরে গাওয়া গানটা শুনতে শুনতে আসল সুরটাই প্রায় ভুলতে বসেছিলাম। গত রাতে হঠাৎ নেট ঘেটে পেয়ে গেলাম হারিয়ে যাওয়া সুরের কিছু মিলের সেই গানটা।
সকালে উচ্চ ভলিউমে গানটা শুনছিলাম সাথে চলছিল গতরাতের জমে যাওয়া ডিস ওয়াসিং এর কাজ। হঠাত করেই সেল ফোনটা বেজে উঠলো।
হ্যালো, কে বলছেন?
-স্লামালেকুম, আমি দুই তারিখে উপজেলা চেয়ারম্যানের নমিনেশন সাবমিট করবো, তাই ফোন দিলাম। দোয়া করবেন।
ও আচ্ছা, কি খবর কেমন আছেন সবাই?
-জ্বী ভালো।
আপনিতো 'রিপাকলিকান দল' থেকে নমিনেশন নিয়েছেন,রাইট?
-না মানে হ্যা। গতবার স্বতন্ত্র দাড়ায়ে অল্পের জন্য ফেল করলাম, ওরা জোর করেই ছিইরা ছুইট্যা নিয়া গেল। তাই এবার সরকারী দল থেকেই সমর্থন নিলাম।
ও আচ্ছা ভালোতো। চালায়ে যান।
-না মানে হইছে কি আপনার ছোট ভাই আমারে 'লিবারেল পার্টি' থেকে নমিনেশন নেবার জন্য সাবেক এমপির কাছে নিয়া গেছিল। কিন্তু দিল না। ওরা অন্য একজনরে সাপোর্ট দিছে। তাই আমি....।
ওকে ওকে সমস্যা নাই।
বুঝতে পেরেছি। ঠিক আছে, চালিয়ে যান, আমার মনে হয় আপনি পাস করবেন। তবে যদি পাস করেন সততার সাথে কাজ চালাতে পারবেন তো?
-হে হে হে, চেয়ারম্যান সাহেব যে কি বলেন! আমিতো সততার সাথেই ইউনিয়ন পরিষদ চালাইছি এতবছর, না হইলে কি জনগন আমারে বার বার ভোট দিছে। তয় একটা খয় খরচেরতো ব্যাপার আছে, একেবারে সৎ থাকলে মানুষ চালাবো কি করে?
হুম বুঝলাম। তবে উপজেলায় সৎ থাকতে হলেতো অনেক বেশী চ্যালেন্জের মুখোমুখী হতে হবে, পারবেন?
-আপনি দোয়া কইরেন আর যদি পারেন কিছু অর্থনৈতিক সাহায্য কইরেন, আর মানুষ জনরে একটু বলে দিয়েন।
ইনশাল্লাহ, দেখা যাক।
-ওকে, স্লামালেকুম, খোদা হাফেজ।
(কিছুক্ষণ আগের সংলাপ, গোয়ালন্দ টু টরন্টো। তয় পার্টির নাম গুলো কাল্পনিক। )
মোরালঃ দুর্বৃত্তায়নের পৃষ্ঠপোষক দুটি রাজনৈতিক দল জোর করেই স্হানীয় সরকার ইলেকশনকে দলীয় ছাপ্পা মেরে দিয়েছে তাতে জনগন বা প্রার্থীদের সম্মতি থাকুক আর না থাকুক।
এরশাদের সৃ্ষ্ট উপজেলাকে কিভাবে আরো বেশী যুগোপযোগী করা যায়, কার্যকর করা যায় সে বিষয়ে তাদের কোন মাথা ব্যাথা নেই। দলীয় এমপিদের ভয়ে এই উপজেলা ব্যবস্হাকে রেখেছে ঠুটো জগন্নাথ করে। আবার আইছে এখন ঢাক ঢোল পিটিয়ে বলতে, দেখো দেখো, বিএনপি কয়টা পাইছে, আর আওয়ামী লীগ কয়টা পাইছে! সাথেতো আছেই কুলাংগার কর্পোরেট মিডিয়াগুলো!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।